১৩/১৩.
যে ব্যক্তি জুনুবী অবস্থায় ফাজর করল তার সওমের কোন ক্ষতি হবে না।
আল লু'লু ওয়াল মারজান : ৬৭৭
আল লু'লু ওয়াল মারজানহাদিস নম্বর ৬৭৭
حديث عَائِشَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمنِ بْنِ الْحرِثِ بْنِ هِشَامٍ، أَنَّ أَبَاهُ عَبْدَ الرَّحْمنِ أَخْبَرَ مَرْوَانَ أَنَّ عَائِشَةَ وَأُمَّ سَلَمَةَ أَخْبَرَتَاهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُدْرِكُهُ الْفَجْرُ وَهُوَ جُنُبٌ مِنْ أَهْلِهِ، ثُمَّ يَغْتَسِلُ وَيَصُومفَقَالَ مَرْوَانُ لِعَبْدِ الرَّحمنِ بْنِ الْحرِثِ: أُقْسِمُ بِاللهِ لَتُقَرِّ عَنَّ بِهَا أَبَا هُرَيْرَةَ، وَمَرْوَان يَوْمَئِذٍ عَلَى الْمَدِينَةِ؛ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: فَكَرِهَ ذلِكَ عَبْدُ الرَّحْمنِ ثُمَّ قُدِّرَ لَنَا أَنْ نَجْتَمِعَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ، وَكَانَتْ لأَبِي هُرَيْرَةَ هُنَالِكَ أَرْضٌ، فَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمنِ لأَبِي هرَيْرَةَ إِنِّي ذَاكِرٌ لَكَ أَمْرًا، وَلَوْلاَ مَرْوَانُ أَقْسَمَ عَلَيَّ فِيهِ لَمْ أَذْكرْهُ لَكَ فَذَكَرَ قَوْلَ عَائِشَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ؛ فَقَالَ: كَذلِكَ حَدَّثَنِي الْفَضْلُ ابْنُ عَبَّاسٍ، وَهُوَ أَعْلَمُ
আবূ বকর ইব্নু ‘আবদুর রাহমান (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি এবং আমার পিতা ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) এবং উম্মে সালামাহ (রাঃ)-এর নিকট গেলাম। (অপর বর্ণনায়) আবুল ইয়ামান (রহ.)...মারওয়ান (রহ.) হতে বর্ণিত যে, ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) এবং উম্মু সালামাহ (রাঃ) তাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, নিজ স্ত্রীর সাথে মিলনজনিত জুনূবী অবস্থায় আল্লাহর রসূল সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ফাজরের সময় হয়ে যেত। তখন তিনি গোসল করতেন এবং সওম পালন করতেন। মারওয়ান (রহ.) ‘আবদুর রাহমান ইব্নু হারিস (রহ.)-কে বললেন, আল্লাহর শপথ করে বলছি, এ হাদীস শুনিয়ে তুমি আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-কে শঙ্কিত করে দিবে। এ সময় মারওয়ান (রহ.) মাদীনার গভর্নর ছিলেন। আবূ বকর (রহ.) বলেন, মারওয়ান (রহ.)-এর কথা ‘আবদুর রাহমান (রহ.) পছন্দ করেননি। রাবী বলেন, এরপর ভাগ্যক্রমে আমরা যুল-হুলাইফাতে একত্রিত হই। সেখানে আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-এর একখণ্ড জমি ছিল। ‘আবদুর রাহমান (রহ.) আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-কে বললেন, আমি আপনার নিকট একটি কথা বলতে চাই, মারওয়ান যদি এ বিষয়টি আমাকে কসম দিয়ে না বলতেন, তা হলে আমি তা আপনার সঙ্গে আলোচনা করতাম না। অতঃপর তিনি ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) ও উম্মু সালামাহ (রাঃ)-এর বর্ণিত উক্তিটি উল্লেখ করলেন। ফায্ল ইব্নু ‘আব্বাস (রাঃ) অনুরূপ একটি হাদীস আমাকে শুনিয়েছেন এবং এ বিষয়ে তিনি সর্বাধিক অবগত। (বুখারী পর্ব ৩০ ঃ /২২ হাঃ ১৯২৫-১৯২৬৬, মুসলিম ১৩/১৩, হাঃ ১১০৯)