১/৯২.
মুসলিমগণের কিছু সংখ্যকের বিনা হিসাবে এবং বিনা শাস্তিতে জান্নাতে প্রবেশের প্রমাণ।
আল লু'লু ওয়াল মারজান : ১৩১
আল লু'লু ওয়াল মারজানহাদিস নম্বর ১৩১
حديث ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: خَرَجَ عَلَيْنَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمًا فَقَالَ عُرِضَتْ عَلَيَّ الأُمَمُ فَجَعَلَ يَمُرُّ النَّبِيُّ مَعَهُ الرَّجُلُ، وَالنَّبِيُّ مَعَهُ الرَّجُلاَنِ، وَالنَّبِيُّ مَعَهُ الرَّهْطُ، وَالنَّبِيُّ لَيْسَ مَعَهُ أَحَدٌ، وَرَأَيْتُ سَوَادًا كَثِيرًا سَدَّ الأُفُقَ، فَرَجَوْتُ أَنْ تَكُونَ أُمَّتِي، فَقِيلَ هذَا مُوسى وَقَوْمُهُ؛ ثُمَّ قِيلَ لي انْظُرْ، فَرَأَيْتُ سَوَادًا كَثِيرًا سَدَّ الأُفُقَ، فَقِيلَ لِي انْظُرْ هكَذَا وَهكَذَا، فَرَأَيْتُ سَوَادًا كَثِيرًا سَدَّ الأُفُقَ، فَقِيلَ هؤُلاَءِ أُمَّتُكَ، وَمَعَ هؤُلاَءِ سَبْعُونَ أَلْفًا يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ بَغَيْرِ حِسَابٍ فَتَفَرَّقَ النَّاسُ وَلَمْ يُبَيِّنْ لَهُمْ؛ فَتَذَاكَرَ أَصْحَابُ [ص: 55] النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالُوا: أَمَّا نَحْنُ فَوُلِدْنا فِي الشِّرْكِ، وَلكِنَّا آمَنَّا بِاللهِ وَرَسُولِهِ، وَلكِنَّ هؤُلاَءِ هُمْ أَبْنَاؤُنَا فَبَلَغَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: هُمُ الَّذِينَ لاَ يَتَطَيَّرُونَ وَلاَ يَسْتَرْقُونَ وَلاَ يَكْتَوُونَ وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ فَقَامَ عُكَّاشَةُ بْنُ مِحْصَنٍ، فَقَالَ أَمِنْهُمْ أَنَا يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ: نَعَمْ فَقَامَ آخَرُ فَقَالَ: أَمِنْهُمْ أَنَا فَقَالَ: سَبَقَكَ بِهَا عُكَّاشَةُ
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক দিন নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নিকট আগমন করেন এবং বলেনঃ আমার সামনে (পূর্ববর্তী নাবীগণের) উম্মাতদের পেশ করা হল। (আমি দেখলাম) একজন নাবী যাচ্ছেন, তাঁর সাথে রয়েছে মাত্র একজন লোক এবং আর একজন নাবী যাঁর সঙ্গে রয়েছে দু’জন লোক। অন্য এক নাবীকে দেখলাম, তাঁর সঙ্গে আছে একটি দল, আর একজন নাবী, তাঁর সাথে কেউ নেই। আবার দেখলাম, একটি বিরাট দল যা দিগন্ত জুড়ে আছে। আমি আকাঙ্খা করলাম যে, এ বিরাট দলটি যদি আমার উম্মাত হত। বলা হলঃ এটা মূসা (‘আ.) ও তাঁর কওম। এরপর আমাকে বল হয়ঃ দেখুন। দেখলাম, একটি বিশাল জামাআত দিগন্ত জুড়ে আছে। আবার বলা হলঃ এ দিকে দেখুন। ও দিকে দেখুন। দেখলাম বিরাট বিরাট দল দিগন্ত জুড়ে ছেয়ে আছে। বলা হলঃ ঐ সবই আপনার উম্মাত এবং ওদের সাথে সত্তর হাজার লোক এমন আছে যারা বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। এরপর লোকজন এদিক ওদিক চলে গেল। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আর তাদের (সত্তর হাজারের) ব্যাখ্যা করে বলেননি। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবীগণ এ নিয়ে জল্পনা-কল্পনা আরম্ভ করে দিলেন। তাঁরা বলাবলি করলেনঃ আমরা তো র্শিকের মধ্যে জন্মলাভ করেছি, পরে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের উপর ঈমান এনেছি। বরং এরা আমাদের সন্তানরাই হবে। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এ কথা পৌঁছলে তিনি বলেনঃ তাঁরা (হবে) ঐ সব লোক যাঁরা অবৈধভাবে মঙ্গল অমঙ্গল নির্ণয় করে না, ঝাড়-ফুঁক করে না এবং আগুনে পোড়ানো লোহার দাগ লাগায় না, আর তাঁরা তাঁদের রবের উপর একমাত্র ভরসা রাখে। তখন ‘উক্কাশাহ ইবনু মিহসান (রাঃ) দাঁড়িয়ে বললঃ হে আল্লাহ্র রাসূল! আমি কি তাদের মধ্যে আছি? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। তখন আর একজন দাঁড়িয়ে বললঃ হে আল্লাহ্র রাসূল! আমি কি তাদের মধ্যে আছি? তিনি বললেনঃ এ ব্যাপারে ‘উক্কাশাহ তোমাকে অতিক্রম করে গেছে। (বুখারী পর্ব ৭৬ : /৪২ হাঃ ৫৭৫২, মুসলিম ১/৯৪ হাঃ ২২০)