১/৮.
যে পর্যন্ত লোকেরা “আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহ্র রাসূল” না বলবে ততক্ষণ তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে যাওয়ার নির্দেশ।
আল লু'লু ওয়াল মারজান : ১৩
আল লু'লু ওয়াল মারজানহাদিস নম্বর ১৩
حديث أَبي بَكْر وَعُمَر قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: لَمّا تُوُفِّيَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكانَ أَبُو بَكْرٍ رضي الله عنه، وَكَفَرَ مَنْ كَفَرَ مِنَ الْعَرَب، فَقالَ عُمَرُ رضي الله عنه: كَيْفَ تُقاتِلُ النَّاسَ وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أُمِرْتُ أَنْ أُقاتِلَ النَّاسَ حَتّى يَقُولوا لا إِلهَ إِلاَّ اللهُ، فَمَنْ قالَها فَقَدْ عَصَمَ مِنِّي مَالَهُ وَنَفْسَهُ إِلاَّ بِحَقِّهِ، وَحِسابُهُ عَلى اللهِ فَقالَ أَبُو بَكْرٍ: وَاللهِ لأُقاتِلَنَّ مَنْ فَرَّقَ بَيْنَ الصَّلاةِ وَالزَّكاةِ، فَإِنَّ الزَّكاةَ حَقُّ الْمالِ، وَاللهِ لَوْ مَنَعُوني عَناقًا كَانوا يُؤَدُّونَها إِلى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَقاتَلْتُهُمْ عَلى مَنْعِهاقالَ عُمَر رضي الله عنه: فَواللهِ ما هُوَ إِلاَّ أَنْ قَدْ شَرَحَ اللهُ صَدْرَ أَبي بَكْرٍ رضي الله عنه فَعَرَفْتُ أَنَّهُ الْحَقُّ
আবূ বকর ও ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
আবূ বকর ও ‘উমার (রাঃ)-এর হাদীস। আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন ইনতিকাল করলেন এবং আবূ বকর (রাঃ) খিলাফত লাভ করলেন। আরবদের মধ্য হতে যারা কাফির হওয়ার হলো তখন ‘উমার (রাঃ) বললেন, কেমন করে তুমি মানুষদের সাথে যুদ্ধ করবে? অথচ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, মানুষ ‘লা- ইলা-হা ইল্লাল্লাহ’ বলার আগ পর্যন্ত তাদের সাথে যুদ্ধ করার নির্দেশিত হয়েছি। যে ব্যক্তি এ কথা বলবে সে তার নিজের জান এবং মালকে রক্ষা করল। কিন্তু ইসলামের অধিকারে (অর্থাৎ ইসলাম যদি তার জান ও মাল কুরবান করতে চায় তাহলে এ হুকুম প্রযোজ্য নয়) তাকে হত্যা বা তার মাল কুরবান করতে পারেন। আবূ বকর (রাঃ) বললেনঃ আল্লাহ্র শপথ! তাদের বিরুদ্ধে নিশ্চয়ই আমি যুদ্ধ করবো যারা সলাত ও যাকাতের মধ্যে পার্থক্য করবে, কেননা যাকাত হল সম্পদের উপর আরোপিত হাক্ব। আল্লাহর কসম, যদি তারা একটি মেষ শাবক যাকাত দিতেও অস্বীকৃতি জানায় যা আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে তারা দিত, তাহলে যাকাত না দেয়ার কারণে তাদের বিরুদ্ধে আমি অবশ্যই যুদ্ধ করবো। ‘উমার (রাঃ) বলেনঃ আল্লাহর কসম, আল্লাহ আবূ বকর (রাঃ)-এর হৃদয় বিশেষ জ্ঞানালোকে উদ্ভাসিত করেছেন বিধায় তাঁর এ দৃঢ়তা, এতে আমি বুঝতে পারলাম তাঁর সিদ্ধান্তই যথার্থ। (বুখারী পর্ব ২৪ : কিতাবুয যাকাত/অধ্যায় ১ হাঃ ১৪০০, মুসলিম ১/৮, হাঃ ২০, আহমাদ ২৪, ১০৮)