পরিচ্ছেদঃ

১ থেকে ১০০ নং হাদিস

জাল জয়িফ হাদিস সিরিজহাদিস নম্বর ৩২

বর্ণনাকারী হতে বর্ণিতঃ

আখেরাতের অধিবাসীদের জন্য দুনিয়া হারাম আর দুনিয়ার অধিবাসীদের জন্য আখেরাত হারাম। দুনিয়া ও আখেরাত উভয়টি হারাম আল্লাহ্‌র ওয়ালাদের জন্য।হাদীসটি জাল।হাদীসটি সে সব হাদীসের একটি যার দ্বারা সুয়ূতী তার “জামে’উস সাগীর” গ্রন্থকে কালিমালিপ্ত করে বলেছেন যে, দাইলামী “মুসনাদুল ফিরদাউস” গ্রন্থে ইবনু আব্বাস (রঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।মানাবী তার সমালোচনা করে বলেছেনঃ এ হাদীসের সনদে জাবালাত ইবনু সুলায়মান নামে এক বর্ণনাকারী রয়েছেন। যাহাবী তাকে “আয-যু’ইয়াফা” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। অতঃপর বলেছেনঃ তার সম্পর্কে ইবনু মা’ঈন বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নন।আমি (আলবানী) বলছিঃ সত্যিই যিনি এ হাদীস বর্ণনা করবেন তিনি নির্ভরযোগ্য হবেন না, বরং তিনি হবেন অত্যন্ত নিকৃষ্ট মিথ্যুক। কারণ এ হাদীসটি বাতিল তাতে কোন বিবেকমান মু’মিন সন্দেহ পোষণ করতে পারেন না। কীভাবে রসূল (সা) আখেরাতের অধিবাসী মু’মিনদের উপর দুনিয়াকে হারাম করেন। যার উত্তম উত্তম বস্তু দ্বারা উপকৃত হওয়াকে তাদের জন্য স্বয়ং আল্লাহ্‌ হালাল করে দিয়েছেন তাঁর {هُوَ الَّذِي خَلَقَ لَكُم مَّا فِي الْأَرْضِ جَمِيعًا } অর্থঃ “তিনিই সেই সত্তা যিনি তোমাদের জন্য যমীনের সব কিছুকেই সৃষ্টি করেছেন” (সূরা: বাক্বারাহ্‌ : ২৯) এ বাণী দ্বারা, তিনি আরো বলেছেনঃ}قُلْ مَنْ حَرَّمَ زِينَةَ اللَّهِ الَّتِي أَخْرَجَ لِعِبَادِهِ وَالطَّيِّبَاتِ مِنَ الرِّزْقِ ۚ قُلْ هِيَ لِلَّذِينَ آمَنُوا فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا خَالِصَةً يَوْمَ الْقِيَامَةِ{“আপনি বলে দিন আল্লাহ্‌র অলংকারাজী, যা তিনি তাঁ বান্দাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন এবং পানাহারের হালাল বস্তুগুলোকে হারাম করেছেন। আপনি বলে দিন সে নে’য়ামাতগুলো মু’মিনদের জন্যেই পার্থিব জীবনে এবং বিশেষ করে কিয়ামাত দিবসে.....” (সূরা আল-আরাফঃ ৩২)। (এই আয়াতের রেফারেন্স বইতে সূরা আলে ইমরানঃ ৩২ দেয়া আছে, যা ভুল। সঠিক হচ্ছে সূরা আল-আরাফঃ ৩২)অতঃপর কীভাবে বলা সম্ভব যে, রসূল (সাঃ) দুনিয়া ও আখেরাতকে একসাথে হারাম করে দিয়েছেন আল্লাহ্‌ ভক্তদের উপর। অথচ আল্লাহ্‌ ভক্তরাই হচ্ছেন কুরআনের ভক্ত। যারা তাকে প্রতিষ্ঠা করে এবং তাঁর নির্দেশনাবলীর উপর আমল করে। আর আখেরাত হয় জান্নাত নয়তোবা জাহান্নাম। আল্লাহ্‌ ভক্তদের উপর জাহান্নামকে আল্লাহ্‌ হারাম করে দিয়েছেন। এ সংবাদ তিনি নিজেই দিয়েছেন, যেমনিভাবে তিনি মু’মিনদের জন্য জান্নাতকে ওয়াজিব করে দিয়েছেন। কীভাবে এ মিথ্যুক বলে যে, রসূল (সাঃ) আখেরাতকে তাদের উপর হারাম করে দিয়েছেন? অথচ এ আখেরাতেই রয়েছে জান্নাত, যা মুত্তাকীদের জন্য ওয়াদা করা হয়েছে।আমার ধারণা এ হাদীসটির জালকারী হচ্ছেন একজন মূর্খ সূফী। তিনি এ দ্বারা মুসলমানদের মাঝে সূফী আক্বীদাহ্‌ ছড়িয়ে দিতে চেয়েছেন।অতঃপর আমি দাইলামীর “মুসনাদ” গ্রন্থে এটির সনদ সম্পর্কে (২/১৪৮) অবহিত হয়েছি। তাতে (তিনজন) বর্ণনাকারী রয়েছেন, যাদেরকে আমি চিনি না। এ ছাড়াও এটি ইবনু যুরায়েজ হতে আন্‌ আন্‌ শব্দে বর্ণিত হয়েছে। তিনি মুদাল্লিস বর্ণনাকারী। [মুদাল্লিস-এর অর্থ হচ্ছে “দোষ গোপনকারী]

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন