পরিচ্ছেদ ০২.

কতটুকু পরিমান ওয়াসিয়্যাত করা হবে – এর বর্ণনা

বুলুগুল মারামহাদিস নম্বর ৯৫৯

وَعَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ - رضي الله عنه - قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ! أَنَا ذُو مَالٍ، وَلَا يَرِثُنِي إِلَّا ابْنَةٌ لِي وَاحِدَةٌ، أَفَأَتَصَدَّقُ بِثُلُثَيْ مَالِي? قَالَ: «لَا»، قُلْتُ: أَفَأَتَصَدَّقُ بِشَطْرِهِ? قَالَ: «لَا»، قُلْتُ: أَفَأَتَصَدَّقُ بِثُلُثِهِ? قَالَ: «الثُّلُثُ، وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ، إِنَّكَ أَنْ تَذَرَ وَرَثَتَكَ أَغْنِيَاءَ خَيْرٌ مِنْ أَنْ تَذَرَهُمْ عَالَةً يَتَكَفَّفُونَ النَّاسَ» مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ

সাদ বিন আবূ অক্কাস (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমি সম্পদশালী। আর একমাত্র কন্যা ছাড়া কেউ আমার উত্তরাধিকারী নেই । তবে আমি কি আমার সম্পদের দু’তৃতীয়াংশ সদাকাহ করতে পারি? তিনি বললেন, না । আমি আবার নিবেদন করলাম, তাহলে অর্ধেক । তিনি বললেন, না । অতঃপর তিনি বললেন, এক তৃতীয়াংশ আর এক তৃতীয়াংশও বিরাট পরিমাণ অথবা অধিক । তোমার ওয়ারিসদের অভাবমুক্ত রেখে যাওয়া, তাদিরকে খালি হাতে পরমুখাপেক্ষী অবস্থায় রেখে যাওয়ার চেয়ে উত্তম । [১০৩৫]

[১০৩৫] বুখারী ৫৬, ১২৯৫, ২৮৪২, ২৭৪৪, ৩৯৩৬, ৪৪০৯, মুসলিম ১৬২৮, তিরমিযী ২১১৬, নাসায়ী ৩৬২৬, ৩৬২৭, আবূ দাউদ ২৮৬৫, আহমাদ ১৪৪৩, ১৪৭৭, মুওয়াত্তা মালেক ১৪৯৫, দারেমী ৩১৯৬ । বুখারী এবং মুসলিমের বর্ণনায় রয়েছে । সা‘দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) হতে বর্ণিত । তিনি বলেন, বিদায় হাজ্জে একটি কঠিন রোগে আমি আক্রান্ত হলে, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার খোঁজ খবর নেয়ার জন্য আসতেন । একদা আমি তাঁর কাছে নিবেদন করলাম, আমার রোগ চরমে পৌঁছেছে আর আমি সম্পদশালী । আতঃপর উপরোক্ত হাদীসের মতই বর্ণিত হয়েছে । তারপর আরো রয়েছে, আর আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য তুমি যে কোন ব্যয় করো না কেন, তোমাকে তার বিনিময় প্রদান করা হবে । এমনকি যা তুমি তোমার স্ত্রীর মুখে তুলে দিবে (তারও প্রতিদান পাবে) । আমি নিবেদন করলাম, হে আল্লাহর রসূল! (আফসোস) আমি আমার সাথীদের হতে পিছনে থেকে যাব? তিনি বললেন, তুমি যদি পিছনে থেকে নেক ‘আমল করতে থাক, তাহলে তাতে তোমার মর্যাদা ও উন্নতি বৃদ্ধিই পেতে থাকবে । তাছাড়া, সম্ভবত তুমি পিছনে (থেকে যাবে) । যার ফলে তোমার দ্বারা অনেক কাওম উপকার লাভ করবে । আর অন্যরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে । হে আল্লাহ্! আমার সাহাবীগণের হিজরত বলবৎ রাখুন । পশ্চাতে ফিরিয়ে দিবেন না । কিন্তু আফসোস! সা‘দ ইবনু খাওলার জন্য (এ বলে) আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর জন্য শোক প্রকাশ করছিলেন, যেহেতু মাক্কাহ্‌’য় তাঁর মৃত্যু হয়েছিল ।

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন