পরিচ্ছেদ ০১.
ঋণ প্রদানে বরকত হয়
বুলুগুল মারাম : ৯০৫
বুলুগুল মারামহাদিস নম্বর ৯০৫
عَنْ صُهَيْبٍ - رضي الله عنه - أَنَّ النَّبِيَّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «ثَلَاثٌ فِيهِنَّ الْبَرَكَةُ: الْبَيْعُ إِلَى أَجَلٍ، وَالْمُقَارَضَةُ، وَخَلْطُ الْبُرِّ بِالشَّعِيرِ لِلْبَيْتِ، لَا لِلْبَيْعِ» رَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ بِإِسْنَادٍ ضَعِيفٍوَعَنْ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ - رضي الله عنه - أَنَّهُ كَانَ يَشْتَرِطُ عَلَى الرَّجُلِ إِذَا أَعْطَاهُ مَالًا مُقَارَضَةً: أَنْ لَا تَجْعَلْ مَالِي فِي كَبِدٍ رَطْبَةٍ، وَلَا تَحْمِلْهُ فِي بَحْرٍ، وَلَا تَنْزِلْ بِهِ فِي بَطْنِ مَسِيلٍ، فَإِنْ فَعَلْتَ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ فَقَدَ ضَمِنْتَ مَالِي. رَوَاهُ الدَّارَقُطْنِيُّ، وَرِجَالُهُ ثِقَاتٌ (2).وَقَالَ مَالِكٌ فِي الْمُوَطَّأِ عَنِ العَلَاءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَعْقُوبَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ: أَنَّهُ عَمِلَ فِي مَالٍ لِعُثْمَانَ عَلَى أَنَّ الرِّبْحَ بَيْنَهُمَا. وَهُوَ مَوْقُوفٌ صَحِيحٌ (3).
সুহায়ব (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তিনটি জিনিসের মধ্যে বরকত রয়েছেঃ মেয়াদ নির্দিষ্ট করে ক্রয়-বিক্রয়, মুকারাযা ব্যবসা এবং পারিবারিক প্রয়োজনে গমে যব মিশানো, ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে নয় । -ইবনু মাজাহ দুরবল মানাদে । [৯৭০]৯০৫. হাকিম বিন হিযাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনই যৌথভাবে কারবার করার জন্য কোন ব্যক্তিকে মাল দিলে এ শর্তগুলো আরোপ করতেনঃ জানোয়ার ও কাঁচা অস্থায়ী মালে আমার পুঁজি লাগবে না, আমার মাল সামুদ্রিক যানে চাপাবে না, কোন প্লাবনভূমিতে তা নিয়ে রাখবে না । যদি তুমি এরূপ কিছু কর তাহলে তুমি আমার মালের খেসারত দিতে বাধয থাকবে । - দারাকুতনী, এর রাবীগণ নির্ভরযোগ্য। [৯৭১]ইমাম মালিক মুয়াত্তায় বলেছেন- আলা বিন আবদুর রহমান বিন ইয়াকূব হতে বর্ণিত, তিনি তাঁর পিতা হতে, তিনি তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি (ইয়াকূব) উসমান (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মাল নিয়ে উভয়ের মধ্যে লাভ বন্টিত হবার শর্তে ব্যবসা করেছিলেন । -এই হাদীসে মাওকূফ্ সুত্রে সহীহ্ । [৯৭২]
[৯৭০] বিন বায তাঁর হাশিয়া বুলুগুল মারাম ৫৩৭ গ্রন্থে বলেন, এর সনদে তিনজন অপরিচিত বর্ণনাকারী রয়েছে । ইমাম শওকানী আদ দুরারী আল মাযিয়্যাহ ২৮৪ গ্রন্থে বলেন, এতে দু’জন অপরিচিত রাবী রয়েছে । তিনি নাইলুল আওত্বার ৫/৩৯৪ গ্রন্থে বলেন, নাসর ইবনুল কাসেম আবদুর রহীম বিন দাউদ থেকে বর্ণনা করেছেন, যারা উভয়েই অপরিচিত । শাইখ আলবানী যঈফ ইবনু মাজাহ ৪৫৪, যঈফুল জামে ২৫২৫ গ্রন্থদ্বয়ে অত্যন্ত দুর্বল বলেছেন । আবার তাখরীজ মিশকাত ২৮৬৬ গ্রন্থে শুধু দুর্বল বলেছেন । কিন্তু সিলসিলা যঈফা ২১০০ গ্রন্থে একে মুনকার বলেছেন। মীযানুল ই’তিদাল ২/৬০৫ গ্রন্থে ইমাম যাহাবীও আকে মুনকার বলেছেন ।[৯৭১] দারাকুতনী (৩/৬৩) শক্তিশালী সনদে বর্ণনা করেছেন ।[৯৭২] মূওয়াত্তা মালিক (২/৬৮৮) ।