পরিচ্ছেদঃ
তিলাওয়াতের সাজদাহ এর বিধান
বুলুগুল মারাম : ৩৪৫
বুলুগুল মারামহাদিস নম্বর ৩৪৫
وَعَنْ عُمَرَ - رضي الله عنه - قَالَ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّا نَمُرُّ بِالسُّجُودِ، فَمَنْ سَجَدَ فَقَدْ أَصَابَ، وَمَنْ لَمْ يَسْجُدْ فَلَا إِثْمَ عَلَيْهِ. رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ. وَفِيهِ: إِنَّ اللَّهَ لَمْ يَفْرِضِ السُّجُودَ إِلَّا أَنْ نَشَاءَ. وَهُوَ فِي «الْمُوَطَّأِ»
‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বললেন, হে লোক সকল! আমরা যখন সাজদাহ্র আয়াত তিলাওয়াত করি, তখন যে সাজদাহ্ করবে সে ঠিকই করবে, যে সাজদাহ্ করবে না তার কোন গুনাহ নেই। [৩৮৬] তাতে আরো আছে- “আল্লাহ অবশ্য তিলাওয়াতের সাজদাহকে ফার্য করেন নি; তবে যদি আমরা করতে চাই করতে পারি। হাদীসটি মুআত্তা গ্রন্থে আছে।
[৩৮৬] বুখারী ১০৭৭। বুখারীতে রয়েছে, রাবীআ’ বিন আব্দুল্লাহ আল হুদাইর থেকে বর্ণিত, উমার (রাঃ) এক জুমু‘আহ্র দিন মিম্বরে দাঁড়িয়ে সুরা নাহ্ল তিলাওয়াত করেন। এতে যখন সাজদাহ্র আয়াত এল, তখন তিনি মিম্বর হতে নেমে সাজদাহ্ করলেন এবং লোকেরাও সাজদাহ্ করল। এভাবে যখন পরবর্তী জুমু‘আহ এল, তখন তিনি সে সূরাহ্ পাঠ করেন। এতে যখন সাজদাহ্র আয়াত এল, তখন তিনি বললেন, যে লোক সকল! আমরা যখন সাজদাহ্র আয়াত তিলাওয়াত করি, তখন যে সাজদাহ্ করবে সে ঠিকই করবে, যে সাজদাহ্ করবে না তার কোন গুনাহ নেই। তার বর্ণনায় (বর্ণনাকারী বলেন) আর ‘উমার (রাঃ) সাজদাহ্ করেননি। নাফি‘ (রহঃ) ইব্নু ‘উমার (রাঃ) হতে আরো বলেছেন, আল্লাহ্ তা‘আলা সাজদাহ্ ফার্য করেননি, তবে আমরা ইচ্ছা করলে সাজদাহ্ করতে পারি।