পরিচ্ছেদঃ
সালাম ফিরানোর পর সন্দেহকারীর সাজদাহ এর প্রসঙ্গ
বুলুগুল মারাম : ৩৩৭
বুলুগুল মারামহাদিস নম্বর ৩৩৭
وَعَنْ عُمَرَ - رضي الله عنه - عَنِ النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «لَيْسَ عَلَى مَنْ خَلْفَ الْإِمَامِ سَهْوٌ، فَإِنْ سَهَا الْإِمَامُ، فَعَلَيْهِ وَعَلَى مَنْ خَلْفَهُ» رَوَاهُ الْبَزَّارُ وَالْبَيْهَقِيُّ بِسَنَدٍ ضَعِيفٍ
উমার (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ইমামের পিছনের লোকেদের (মুক্তাদীর) জন্য কোন সাহ্উ সাজদাহ নাই, ইমাম ভুল করলে তাঁকে ও মুক্তাদীর সকলকেই সাহ্উ সাজদাহ করতে হবে। বায্যার ও বাইহাকী এটিকে দুর্বল সানাদে রিওয়ায়াত করেছেন। [৩৭৮]
[৩৭৮] অত্যন্ত দুর্বল। বাইহাকী ২/৩৫২, ইবনুল মুলকীন আল বাদরুল মুনীর (৪/২২৯) গ্রন্থে বলেন, এর সনদে খারেজা বিন মুসআব রয়েছেন যাকে ইমাম দারাকুতনী ও প্রমুখ দুর্বল বলেছেন। আর আবুল হাসান হচ্ছে অপরিচিত ব্যক্তি। ইবনু হাজার আসকালানী তাঁর আত তালখীসুল হাবীর (২/৪৮০) গ্রন্থে বলেন, এর সনদে খারেজা বিন মুসআব রয়েছেন যিনি দুর্বল। ইমাম সনআনী তাঁর সুবুলুস সালাম (১/৩২৭) গ্রন্থেও উক্ত রাবী সম্পর্কে একই কথা বলেছেন। ইবনু কাসীর তাঁর ইরশাদুল ফাক্বীহ (১/১৬১) গ্রন্থে এ রাবীকে মাতরুকুল হাদীস বলেছেন।