পরিচ্ছেদ ১১৬.
তাশাহহুদ
বুলুগুল মারাম : ৩১৪
বুলুগুল মারামহাদিস নম্বর ৩১৪
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ - رضي الله عنه - قَالَ: الْتَفَتَ إِلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - فَقَالَ:«إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ فَلْيَقُلِ: التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ، وَالصَّلَوَاتُ، وَالطَّيِّبَاتُ، السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ، السَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، ثُمَّ لِيَتَخَيَّرْ مِنَ الدُّعَاءِ أَعْجَبَهُ إِلَيْهِ، فَيَدْعُو» مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ، وَاللَّفْظُ لِلْبُخَارِيِّ (1).وَلِلنَّسَائِيِّ: كُنَّا نَقُولُ قَبْلَ أَنْ يُفْرَضَ عَلَيْنَا التَّشَهُّدُ
আবদুল্লাহ (ইবনু মাস‘উদ) (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের দিকে তাকিয়ে বললেনঃ তাই যখন তোমরা কেউ সলাত আদায় করবে, তখন সে যেন বলে (আরবী)উচ্চারণঃ আত্তাহিয়াতু লিল্লাহি ওয়াস সালাওয়াতু ওয়াত তাইয়্যিবাতু আসসালামু আলাইকা আইয়ুহান-নাবিইউ ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু, আসসালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিস সালিহীন। আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুল্লাহ ওয়া রসূলুল্লাহু। "সকল মৌখিক, দৈহিক ও আর্থিক ইবাদত আল্লাহর জন্য। হে নাবী! আপনার উপর আল্লাহর সালাম, রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক। সালাম আমাদের এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের উপর বর্ষিত হোক।" (আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন মা'বূদ নেই এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার বান্দা ও রসূল) -ও পড়বে।; শব্দ বিন্যাস বুখারীর।” [৩৫১]নাসায়ীতে আছে, আমাদের উপর তাশাহহুদ ফার্য হবার পূর্বে আমরা উপরোক্ত তাশাহহুদ পড়তাম। আহমাদে আছে, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে (ইবনু মাস‘উদকে) তাশাহহুদ শিখিয়েছিলেন আর এ নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, লোকেদেরকেও তিনি যেন তা শিখিয়ে দেন। [৩৫২]
[৩৫১] বুখারীর এক বর্ণনায় আরো রয়েছে, এ সময় তিনি আমাদের মাঝেই অবস্থান করছিলেন। তারপর যখন তার ওফাত হয়ে গেলো, তখন থেকে আমরা (আরবী) এ স্থলে (আরবী পড়তে লাগলাম। হাফিজ ইবনু হাজার আসকালানী বলেন, প্রকৃতপক্ষে সাহাবীর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর জীবদ্দশায় সম্বোধন করে বলতেন, (আরবী) অতঃপর তিনি যখন মৃত্যুবরণ করেন, তখন সাহাবীর সম্বোধন করা ছেড়ে দিলেন এবং (আরবী) এর সীগাহ উল্লেখ করে বলতেনঃ (আরবী)শাইখ আলবানী তাঁর আসল সিফাতুস সালাত ৩/৮৭৩ গ্রন্থে বলেন, এর সনদে দুর্বলতা ও বিচ্ছিনতা রয়েছে। তিনি ইরওয়াউল গালীল ২/২৭ গ্রন্থেও এর দুর্বলতার কথাই বলেছেন।[৩৫২] বুখারী ৮৩৫, ১২০২, ৬২৩০, ৬২৬৫, মুসলিম ৪০২, তিরমিযী ২৮৯, ১১০৫, নাসায়ী ১২৫২, ১১৬৩, ১১৬৪ আবু দাউদ ৯৬৮ ইবনু মাজাহ ৮৯৯, আহমাদ ৩৫৫২, ৩৬১৫, ৩৮৬৭, ৪৪০৮, দারিমী ১৩৪০, ১৩৪১