পরিচ্ছেদ ১১৩.

বিতরের কুনুতে যা পড়তে হয়

বুলুগুল মারামহাদিস নম্বর ৩০৮

وَعَنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: عَلَّمَنِي رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - كَلِمَاتٍ أَقُولُهُنَّ فِي قُنُوتِ الْوِتْرِ: «اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ، وَعَافِنِي فِيمَنْ عَافَيْتَ، وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ، وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ، وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ، فَإِنَّكَ تَقْضِي وَلَا يُقْضَى عَلَيْكَ، إِنَّهُ لَا يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ، تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ» رَوَاهُ الْخَمْسَةُ (1)، وَزَادَ الطَّبَرَانِيُّ وَالْبَيْهَقِيُّ: «وَلَا يَعِزُّ مَنْ عَادَيْتَ» (2)،زَادَ النَّسَائِيُّ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ فِي آخِرِهِ: «وَصَلَّى اللَّهُ عَلَى النَّبِيِّ»

হাসান ইবনু ‘আলী (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বিতর সলাতের কুনৃতে পড়ার জন্য কতগুলো বাক্য শিক্ষা দিয়েছেন যা আমি বিতর সলাতের কুনুতে পড়ে থাকি। উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মাহদিনী কীমান হাদায়তা, ওয়া আফিনী ফীমান আফায়তা, ওয়া তাওয়াল-লানী ফীমান তাওয়াল্লায়তা, ওয়া বারিক লী ফীমা আ‘তায়তা, ওয়া কিনী শাররা মা কাদায়তা, ফাইন্নাকা তাকদী ওয়া লা ইয়ুকদা আলায়কা ইন্নাহু লা ইয়াদিল্লু মান ওয়ালায়তা, তাবারাকতা রাব্বানা ওয়া তা'আলায়তা। "হে আল্লাহ! তুমি আমাকে হিদায়াত দান কর, যাদের তুমি হিদায়াত করেছ তাদের সাথে। আমাকে মাফ করে দাও, যাদের মাফ করেছ তাদের সাথে। আমার অভিভাবক হও, যাদের অভিভাবক হয়েছে তাদের সাথে। তুমি আমাকে যা দান করেছ তাতে বরকত দাও। আর আমাকে ঐ অনিষ্ট হ’তে বাচাও, যা তুমি নির্ধারণ করেছ। তুমি ফায়সালা কর কিন্তু তোমার উপরে কেউ ফায়সালা করতে পারে না। তুমি যার সাথে শক্ৰতা রাখ, সে সম্মান লাভ করতে পারে না। নিশ্চয়ই অপমান হয়না সেই যাকে তুমি মিত্র হিসাবে গ্রহণ করেছ। হে আমাদের রব! তুমি বরকতময়, তুমি উচ্চ এবং নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর উপর রহমত অবতীর্ণ হোক'। তাবারানী ও বাইহাকী বৃদ্ধি করেছেনঃ উচ্চারণঃ ওয়ালা ইয়া‘উযযু মান ‘আদাইতা’ "তুমি যার সাথে শক্ৰতা পোষণ কর সে কখনো ইজ্জত লাভ করতে পারে না।" নাসায়ীতে ভিন্ন সূত্রে আরো রয়েছেঃ উচ্চারণঃ ওয়া সল্লাল্লাহু আলান নাবিয়্যি “আর নবীর প্রতি আল্লাহর সলাত (দরুদ) বর্ষিত হোক। [৩৪৫]

৩৪৫. আবু দাউদ ১৪২৫, তিরমিযী ৪৬৪, নাসায়ী ১৭৪৫, ১৭৪৬, ইবনু মাজাহ ১১৭৪, আহমাদ ১৭২০, ২৭৮২০, দারেমী ১৫৯১, বাইহাকী ২য় খণ্ড ২০৯ পৃঃ হাঃ ৪৬৩৭, ৩২৬৩, তাবরানী ২৭০১, ২৭০৩, ২৫০৫, ২৫০৭, আবু দাউদ ১৪২৫ কুনূতের শেষে (আরবী) শব্দগুলো বলা সম্পর্কিত বর্ণনার ব্যাপারে ইমাম নববী তাঁর আল মাজমু (৩/৪৯৯) গ্রন্থে এবং ইমাম সাখাবী তার আল কাওলুল বাদী (২৬১) গ্রন্থে বলেন, এর সনদ হাসান অথবা সহীহ ও আল আযকার (৮৭) গ্রন্থে এর সনদকে হাসান বলেছেন। ইবনুল মুলকিন তাঁর তুহফাতুল মুহতাজ (১/৪১০) গ্রন্থে এর সনদকে হাসান বলেছেন। পক্ষান্তরে ইবনু হাজার আসকালানী তার নাতায়িজুল আফকার (২/১৫৩) গ্রন্থে বলেন, এই অতিরিক্ত অংশটির সনদ গরীব, সাব্যস্ত নয়, কেননা আবদুল্লাহ বিন আলী পরিচিত নয়। ইবনু হাজার আত তালখীসুল হাবীর (১/৪০৫) গ্রন্থে উপরোক্ত ইমাম নববীর মন্তব্য উদ্ধৃত করে বলেন, তিনি যে সহীহ অথবা হাসান বলেছেন, তা সঠিক নয়, কেননা, হাদীসটি মুনকাতি বা বিচ্ছিন্ন। শাইখ আলবানী তামামুল মিন্না (২৪৩) গ্রন্থে বলেন, কুনুতের শেষে যে অতিরিক্ত শব্দগুলো রয়েছে সেটি দুর্বল। কেননা, এর সনদে অজ্ঞতা ও বিচ্ছিন্নতা রয়েছে। শাইখ আলবানী যঈফ নাসায়ী (১৭৪৫) গ্রন্থে দুর্বল ও ইরওয়াউল গালীল (২/১৭৬), সিফাতুস সালাত (১৮০) গ্রন্থে এর সনদকে দুর্বল বলেছেন।

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন