পরিচ্ছেদ ১০৮.
পটির উপর মাসাহ করার বিধান
বুলুগুল মারাম : ১৩৬
বুলুগুল মারামহাদিস নম্বর ১৩৬
وَعَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا -فِي الرَّجُلِ الَّذِي شُجَّ، فَاغْتَسَلَ فَمَاتَ-: «إِنَّمَا كَانَ يَكْفِيهِ أَنْ يَتَيَمَّمَ، وَيَعْصِبَ عَلَى جُرْحِهِ خِرْقَةً، ثُمَّ يَمْسَحَ عَلَيْهَا وَيَغْسِلَ سَائِرَ جَسَدِهِ» رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ بِسَنَدٍ فِيهِ ضَعْفٌ، وَفِيهِ اخْتِلَافٌ عَلَى رُوَاتِهِ
জাবির বিন ‘আবদিল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
এক সহাবী সম্পর্কে বর্ণিত- যিনি গোসল করার পর মারা গিয়েছিলেন। তাঁর জন্য তায়াম্মুমই যথেষ্ট হতো, সে ক্ষতস্থানে পট্টি বেঁধে নিত। অতঃপর তার উপর মাসহ করে নিত এবং বাকি সমস্ত শরীর ধুয়ে নিত।’ আবূ দাঊদ দূর্বল সানাদে এবং তাতে বর্ণনাকারীর ব্যাপারেও মতানৈক্য রয়েছে। [১৬৩]
[১৬৩] যঈফ। আবূ দাঊদ (৩৩৬) জাবির (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমরা সফরে রওয়ানা হলাম। আমাদের এক সাথীর পাথর লেগে মাথা ফুড়ে গেল। অতঃপর তার স্বপ্লদোষ হল। সে তার সাথীদের কাছে এ মর্মে জিজ্ঞেস করলো যে, তার জন্য কি তায়াম্মুমের অনুমতি আছে? তারা বললেন, আমরা তোমার জন্য এ ব্যাপারে কোন অনুমতি পাচ্ছি না। আর তুমি তো পানি ব্যবহারে সক্ষম। ফলে ঐ ব্যক্তি গোসল করল, অতঃপর মারা গেল। যখন সফর শেষে আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এ ঘটনা বিবৃত করলাম, তিনি বললেন, তার সাথীগণ তাকে ধ্বংস করেছে, আল্লাহ তাদের ধ্বংস করুন। যেহেতু তাদের এ সম্পর্কিত জ্ঞান নেই তাহলে কেন জিজ্ঞাসা করলো না। আর ঐ ব্যক্তির জিজ্ঞেস করার অর্থই হলো সে (গোসল করার) ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছিল। ...আল-হাদীস বিন বায তাঁর হাশিয়া বুলুগুল মারাম (১৩৭) গ্রন্থে বলেন, এর সনদে আয যুবাইর বিন খারীক আল যাযারী রয়েছে, যাকে ইমাম দারাকুতনী ও ইমাম আবূ দাঊদ শক্তিশালী নয় বলে মন্তব্য করেছেন। আর ইবনু আব্বাস বর্ণিত হাদীসটিতে দুর্বলতা ও সনদের বিচ্ছিন্নতা রয়েছে। শাইখ আলবানী তাঁর যঈফুল জামে (৪০৭৪) গ্রন্থে হাদীসটিকে দুর্বল বলেছেন। ইবনু উসাইমীন তাঁর বুলুগুল মারামের শরাহ (১/৩৭৫) গ্রন্থে বলেন, এর সনদে দুর্বলতা রয়েছে ও ইযতিরাব (পরস্পর বিরোধিতা) সংঘটিত হয়েছে। ইবনু হাজার তাঁর তালখীসুল হাবীর (১/২২৯) গ্রন্থে দারাকুতনী ও ইমাম যাহাবীর মন্তব্য উদ্ধৃত করেছেন, দারাকুতনী বলেন, সে শক্তিশালী নয়। ইমাম যাহাবী বলেন, “এ রাবীটি সত্যবাদী ও হাদীসটি এবং আলীর হাদীসটি যুক্ত করলে শক্তিশালী হয়”। ইমাম সনআনী সুবুলুস সালাম (১/১৫৪) ইবনু হাজারের উপরোক্ত মন্তব্য নকল করেছেন।
