পরিচ্ছেদ ০৮.
ক্ষত সেরে উঠার পূর্বে কিসাস বা প্রতিশোধ নেওয়া নিষেধ
বুলুগুল মারাম : ১১৬৭
বুলুগুল মারামহাদিস নম্বর ১১৬৭
وَعَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ - رضي الله عنه - أَنَّ رَجُلًا طَعَنَ رَجُلًا بِقَرْنٍ فِي رُكْبَتِهِ، فَجَاءَ إِلَى النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم - فَقَالَ: أَقِدْنِي. فَقَالَ: «حَتَّى تَبْرَأَ»، ثُمَّ جَاءَ إِلَيْهِ. فَقَالَ: أَقِدْنِي، فَأَقَادَهُ، ثُمَّ جَاءَ إِلَيْهِ. فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ! عَرجْتُ ، فَقَالَ: «قَدْ نَهَيْتُكَ فَعَصَيْتَنِي، فَأَبْعَدَكَ اللَّهُ وَبَطَلَ عَرَجُكَ». ثُمَّ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - أَنْ يُقْتَصَّ مِنْ جُرْحٍ حَتَّى يَبْرَأَ صَاحِبُهُ. رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالدَّارَقُطْنِيُّ، وَأُعِلَّ بِالْإِرْسَالِ
শুআইব (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি তার দাদা হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেনঃ কোন এক লোক অন্য এক লোকের হাঁটুতে শিং দ্বারা আঘাত করে । সে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে এসে বললোঃ আমার বদলা নিয়ে দিন। তিনি বললেনঃ তুমি ক্ষত সেরে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা কর। লোকটি কিন্তু (সেরে যাওয়ার আগেই) আবার এসে বললোঃ আমার জখমের মূল্য বা খেসারত আদায় করে দিন। ফলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার খেসারত আদায় করে দেন। তারপর লোকটি এসে বললোঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমি তো খোড়া হয়ে গেলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি তোমাকে নিষেধ করেছিলাম তুমি তা মাননি। ফলে আল্লাহ তোমাকে (তাঁর রহমাত হতে) দূর করে দিয়েছেন এবং তোমার খোড়াত্ব বাতিল হয়ে গেছে। (দিয়াত আদায়ের যোগ্য রাখেননি)। এরপর থেকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন জখম আরোগ্য না হওয়া পর্যন্ত জখমী লোকের পক্ষে কোন বদলা আদায়ের ফয়সালা দিতে নিষেধ করেছেন। [১২৭০]
[১২৭০] আহমাদ ২১৭, দারাকুতনী ৩/৮৮ এর সনদে ইরসালের দোষ থাকলেও তা ক্ষতিকর নয়, কেননা অনেকগুলো শাহেদ থাকার কারণে এটি সহীহর পর্যায়ভুক্ত। ইমাম সনআনী বলেন, এর সমার্থক হাদীস থাকার কারণে এটিকে শক্তিশালী করেছে। ইবনু তুর্কমান বলেন, ৮৬৭, অনেক সনদে বর্ণিত বলে একে অপরকে শক্তিশালী করেছে।