পরিচ্ছেদ ০২.
হায়েয অবস্থায় তালাকের বিধান
বুলুগুল মারাম : ১০৭০
বুলুগুল মারামহাদিস নম্বর ১০৭০
رَسُولِ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - فَسَأَلَ عُمَرُ رَسُولَ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - عَنْ ذَلِكَ، فَقَالَ: «مُرْهُ فَلْيُرَاجِعْهَا، ثُمَّ لْيَتْرُكْهَا حَتَّى تَطْهُرَ، ثُمَّ تَحِيضَ، ثُمَّ تَطْهُرَ، ثُمَّ إِنْ شَاءَ أَمْسَكَ بَعْدُ، وَإِنْ شَاءَ طَلَّقَ بَعْدَ أَنْ يَمَسَّ، فَتِلْكَ الْعِدَّةُ الَّتِي أَمَرَ اللَّهُ أَنْ يُطَلَّقَ لَهَا النِّسَاءُ» مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ (1).وَفِي رِوَايَةٍ لِمُسْلِمٍ: «مُرْهُ فَلْيُرَاجِعْهَا، ثُمَّ لْيُطَلِّقْهَا طَاهِرًا أَوْ حَامِلًا» (2).وَفِي رِوَايَةٍ أُخْرَى لِلْبُخَارِيِّ: «وَحُسِبَتْ عَلَيْهِ (3) تَطْلِيقَةً» (4).وَفِي رِوَايَةٍ لِمُسْلِمٍ: قَالَ ابْنُ عُمَرَ: أَمَّا أَنْتَ طَلَّقْتَهَا وَاحِدَةً أَوِ اثْنَتَيْنِ; فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - أَمَرَنِي أَنْ أُرَاجِعَهَا، ثُمَّ أُمْهِلَهَا (1) حَتَّى تَحِيضَ حَيْضَةً أُخْرَى، وَأَمَّا أَنْتَ طَلَّقْتَهَا ثَلَاثًا، فَقَدْ عَصَيْتَ رَبَّكَ فِيمَا أَمَرَكَ مِنْ طَلَاقِ امْرَأَتِكَ (2)، وَفِي رِوَايَةٍ أُخْرَى: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ: فَرَدَّهَا عَلَيَّ، وَلَمْ يَرَهَا شَيْئًا، وَقَالَ: «إِذَا طَهُرَتْ فَلْيُطَلِّقْ أَوْ لِيُمْسِكْ» (3).
আবদুল্লাহ্ ইব্ন উমার (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি রসূল (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগে স্বীয় স্ত্রীকে হায়েয অবস্থায় ত্বলাক্ব দেন। 'উমার ইবন খাত্তাব (রাঃ) এ ব্যাপারে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করলেন। তখন রসূলুল্লাহ বললেনঃ তাকে নির্দেশ দাও, সে যেন তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনে এবং নিজের কাছে রেখে দেয় যতক্ষণ না সে মহিলা পবিত্র হয়ে আবার ঋতুবতী হয় এবং আবার পবিত্র হয়। অতঃপর সে যদি ইচ্ছে করে, তাকে রেখে দিবে আর যদি ইচ্ছে করে তবে সহবাসের পূর্বে তাকে ত্বলাক্ব দেবে। আর এটাই তুলাকের নিয়ম, যে নিয়মে আল্লাহ্ তা'আলা স্ত্রীদের ত্বলাক্ব দেয়ার বিধান দিয়েছেন।মুসলিমের অন্য বর্ণনায় এসেছে 'আপনি তাকে (ইবনু 'উমারকে) হুকুম দিন তার স্ত্রীকে সে ফেরত নিক তারপর পবিত্র অবস্থায় বা গর্ভাবস্থায় ত্বলাক্ব দিক।বুখারীর অন্য বর্ণনায় আছে, এতে তার একটি ত্বলাক্ব হিসাব ধরা হয়েছিল।মুসলিমের অন্য বর্ণনায় আছে- ইবনু উমর (রাঃ) কোন জিজ্ঞেসকারীকে বললেন, যদি তুমি তোমার স্ত্রীকে এক বা দু-ত্বলাক্ব দাও তাহলে এক্ষেত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে আদেশ করেছিলেন- যেন আমি তাকে ফেরত নিই তারপর তার অন্য একটি হায়িয হওয়া পর্যন্ত তাকে আমি ঐ অবস্থায় রেখে দিই। অতঃপর পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত অবকাশ দিই। তারপর তাকে স্পর্শ করার পূর্বে ত্বলাক্ব দিই।আর তুমি তাকে তিন ত্বলাক্ব দিয়েছ আর তুমি তোমার প্রভুর যে নির্দেশ তোমার স্ত্রীকে তালাক দেয়ার ব্যাপারে ছিল তাঁর বিরুদ্ধাচরণ করেছ।অন্য বর্ণনায় আছে- ‘আবদুল্লাহ বিন 'উমার (রাঃ) বলেছেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে স্ত্রী ফেরত দিয়েছিলেন আর হায়িয অবস্থার ঐ ত্বলাক্বটিকে কোন ব্যাপার বলে মনে করেননি এবং তিনি বলেছিলেন যখন সে পবিত্র হবে তখন ত্বলাক্ব দিবে অথবা (ত্বলাক্ব না দিয়ে) রেখে দিবে। [১১৭০]
[১১৭০] বুখারী ৪৯০৮, ৫২৫২, ৫২৫৩, ৫২৫৮, ৫৩৩২, ৫৩৩৩, মুসলিম ১০১৫, ১৪৭১, তিরমিয়ী ১১৭৫, ১১৭৬, নাসায়ী ৩৩৮৯, ৩৩৯০, ৩৩৯১, আবূ দাউদ ২১৭৯, ২১৮১, ২১৮২, ইবনু মাজাহ ২০১৯, ২০২২, আহমাদ ৩০৬, ৪৪৮৬, ৪৭৭৪, মালেক ১২২০, দারেমী ২২৬২, ২২৬৩।