পরিচ্ছেদঃ
ওলামাগণকে সম্মান, মর্যাদা ও শ্রদ্ধা দেয়ার প্রতি উদ্ধৃদ্ধ করণ ও তাদেরকে অসম্মান করা ও তাদেরকে পরওয়া না করার প্রতি ভীতি প্ৰদৰ্শনঃ
সহিহ তারগিব ওয়াত তাহরিব : ৯৮
সহিহ তারগিব ওয়াত তাহরিবহাদিস নম্বর ৯৮
(حسن ) و عَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ مِنْ إِجْلَالِ اللَّهِ إِكْرَامَ ذِي الشَّيْبَةِ الْمُسْلِمِ وَحَامِلِ الْقُرْآنِ غَيْرِ الْغَالِي فِيهِ وَالْجَافِي عَنْهُ وَإِكْرَامَ ذِي السُّلْطَانِ الْمُقْسِطِ. رواه أبو داود
আবু মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, আল্লাহকে মর্যাদা দেয়ার অন্তর্ভুক্ত হল এই ব্যক্তিবর্গকে সম্মান করাঃ (১) বৃদ্ধ মুসলিম ব্যক্তি (২) কুরআন ধারণকারী [১] যিনি সে ব্যাপারে অতিরঞ্জনকারী নয় এবং তার সাথে রুঢ় আচরণকারীও নয়। এবং (৩) ন্যায় পরায়ন শাসককে সম্মান করা। (আবু দাউদ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন)
[১] অর্থাৎ কুরআন পাঠ্যকারী, মুখস্তকারী ও তাফসীরকারী। অতিরঞ্জনের অর্থ হচ্ছে, উচ্চারণ ও তাজবীদ নিয়ে বাড়াবাড়ি করা বা কুরআনকে এত তাড়াহুড়া করে পাঠ করা যাতে তার অর্থ অনুধাবন করা অসম্ভব হয়, অথবা কুরআনের গোপন অর্থ অনুসন্ধান করা বা অপব্যাখ্যার আশ্রয় নেয়া। আর রূঢ়তা হচ্ছে, কুরআন পাঠ করার পর তা থেকে দূরে থাকা, অর্থ অনুধাবন না করা, আমল না করা, ভুলে যাওয়া ইত্যাদি। দ্রঃ আউনুল মা’বূদ হা/৪২০৩)