পরিচ্ছদঃ
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর হেলমেট (শিরস্ত্রাণ)
শামায়েলে তিরমিযি : ৮৪
শামায়েলে তিরমিযিহাদিস নম্বর ৮৪
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ : أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ مَكَّةَ وَعَلَيْهِ مِغْفَرٌ ، فَقِيلَ لَهُ : هَذَا ابْنُ خَطَلٍ مُتَعَلِّقٌ بِأَسْتَارِ الْكَعْبَةِ ، فَقَالَ : " اقْتُلُوهُ " .
আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সঃ) শিরস্ত্রাণ পরিহিত অবস্থায় মক্কায় (বিজয়ী বেশে) প্রবেশ করেন। তখন তাকে বলা হলো, ঐ যে ইবনে খাতাল কাৰাগৃহের গিলাফ ধরে ঝুলছে। তিনি বললেন, তোমরা তাকে হত্যা করো। [৮৬] ব্যাখ্যা : ইবনে খাতালকে যে কারণে হত্যা করা হয় : জাহেলী যুগে তার নাম ছিল আবদুল উজ্জা। সে মদিনায় এসে ইসলাম কবুল করলে তার নাম রাখা হয় আবদুল্লাহ। রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাকে এক এলাকায় যাকাত আদায় করার জন্য নিযুক্ত করেন। তার সহযোগী একজন মুসলিম গোলাম ছিল। খাবার তৈরি করতে একটু দেরী হওয়ায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে গোলামটিকে মেরে ফেলে এবং পালিয়ে মক্কায় গিয়ে ধর্মত্যাগী বা মুরতাদ হয়ে যায়। তাই মক্কা বিজয়ের দিন এ পাপিষ্ঠের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। কোন অপরাধী কাবা ঘরের চাদর ধরে থাকলে তাকে নিরাপত্তা দেয়া হতো। নিয়মানুযায়ী নিরাপত্তার আশায় ইবনে খাতাল ঐ সময় কাবার গিলাফ ধরে থাকে। রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাকে হত্যার আদেশ দিলে সাহাবীগণ তাকে যমযম কূপ ও মাকামে ইবরাহীমের মধ্যবর্তী স্থানে এনে হত্যা করেন।
[৮৬]সহীহ বুখারী, হা/১৮৪৬; সহীহ মুসলিম, হা/৩৩৭৪; আবু দাউদ, হা/২৬৮৭;