পরিচ্ছেদঃ
তাঁর দু’কাঁধের মধ্যবর্তী স্থান প্রশস্ত ছিল
শামায়েলে তিরমিযি : ০৪
শামায়েলে তিরমিযিহাদিস নম্বর ০৪
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلَانَ قَالَ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ [ص: 31] : «مَا رَأَيْتُ مِنْ ذِي لِمَّةٍ فِي حُلَّةٍ حَمْرَاءَ أَحْسَنَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ، لَهُ شَعْرٌ يَضْرِبُ مَنْكِبَيْهِ، بَعِيدُ مَا بَيْنَ الْمَنْكِبَيْنِ، لَمْ يَكُنْ بِالْقَصِيرِ وَلَا بِالطَّوِيلِ»
বারা ইবনে আযিব (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি কাঁধ পর্যন্ত লম্বা চুলবিশিষ্ট লাল চাদর ও লাল লুঙ্গি পরিহিত অবস্থায় রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর চেয়ে সুদর্শন কাউকে দেখিনি। তাঁর কেশগুচ্ছ ছিল কাঁধ বরাবর। তাঁর দু’কাঁধের মধ্যবর্তী স্থান অন্যদের তুলনায় কিছুটা প্রশস্ত ছিল তিনি অধিক খাটো বা অধিক দীর্ঘাকৃতির ছিলেন না।" [৪]ব্যাখ্যাঃ ৩ নং হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর মাথার চুল কানের লতি পর্যন্ত দীর্ঘ ছিল। আর এ হাদীসে বলা হয়েছে, কাঁধ পর্যন্ত দীর্ঘ ছিল। উভয় বক্তব্যই ঠিক। কেননা, চুল সব সময় এক অবস্থায় থাকে না। কখনো কম হয়, কখনো বেশি হয়। আবার ইচ্ছাকৃতভাবেও বড় ছোট রাখা হয়। চুলের ভিন্ন ভিন্ন অবস্থার ব্যাখ্যা এভাবে করা যায় যে, তিনি সর্বোচ্চ কাধ পর্যন্ত লম্বা করেছেন, যাকে জিম্মা’ বলা হয়। আর সর্বাধিক ছোট করার পরিমান ছিল কানের লতি, যাকে 'ওয়াফরা' বলে। আর এর মাঝামাঝি অবস্থানকে লিম্মা’ বলা হয়।
[৪] সহীহ মুসলিম, হা/৬২১১; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৮৫৮১।