২৭. অধ্যায়ঃ
সলাতরত অবস্থায় শান্ত থাকার নির্দেশ, হাত দিয়ে ইশারা করা এবং সালামের সময় হাত উত্তোলন করা নিষেধ, প্রথম লাইন পূর্ণ করা এবং একে অপরের সাথে মিলিত হয়ে দাঁড়ানোর নির্দেশ
সহিহ মুসলিম : ৮৫৬
সহিহ মুসলিমহাদিস নম্বর ৮৫৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ مِسْعَرٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - قَالَ أَخْبَرَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ مِسْعَرٍ، حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ ابْنُ الْقِبْطِيَّةِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ كُنَّا إِذَا صَلَّيْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قُلْنَا السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ . وَأَشَارَ بِيَدِهِ إِلَى الْجَانِبَيْنِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " عَلاَمَ تُومِئُونَ بِأَيْدِيكُمْ كَأَنَّهَا أَذْنَابُ خَيْلٍ شُمُسٍ إِنَّمَا يَكْفِي أَحَدَكُمْ أَنْ يَضَعَ يَدَهُ عَلَى فَخِذِهِ ثُمَّ يُسَلِّمُ عَلَى أَخِيهِ مَنْ عَلَى يَمِينِهِ وَشِمَالِهِ " .
জাবির ইবনু সামুরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা যখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে সলাত আদায় করতাম তখন, 'আস্সালা-মু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্ল-হ' 'আস্সালা-মু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্ল-হ' বলে নামায শেষ করতাম। তিনি (জাবির) হাত দিয়ে উভয় দিকে ইশারা করে দেখালেন। (অর্থাৎ- সালামের সাথে সাথে হাতে ইশারাও করা হত)। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমরা (সালামের সময়) দুষ্ট ঘোড়ার লেজ ঘুরানোর মতো দু'হাত দিয়ে ইশারা করো কেন? তোমরা উরুর উপর হাত রেখে ডানে-বায়ে মুখ ফিরিয়ে তোমাদের ভাইদের সালাম দিবে। এরূপ করাই তোমাদের জন্য যথেষ্ট। (ই.ফা. ৮৫২, ই.সে. ৮৬৫) ১০৩
টীকা১০৩ ঃ আমাদের সমাজে এ কথা প্রচলিত রয়েছে, রফউল ইয়াদাঈন করাটা ঘোড়ার লেজ নড়াবার মতো, যা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন। কিন্তু উপরোক্ত হাদীস প্রমাণ করে যে, ঘোড়ার লেজের উক্তিটি সালাম ফিরানোর সাথে সম্পৃক্ত, নামাযের ভিতরে রফউল ইয়াদাঈনের সাথে নয়।