৫. অধ্যায়ঃ
স্ত্রী হতে দূরে থাকার কসম করা, স্ত্রী হতে বিরত থাকা ও তাদের অবকাশ দেয়া এবং আল্লাহ তা‘আলার বানী- “যদি তারা যিহারে লিপ্ত হয়” ইত্যাদি প্রসঙ্গে
সহিহ মুসলিম : ৩৫৮৪
সহিহ মুসলিমহাদিস নম্বর ৩৫৮৪
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي سُلَيْمَانُ، - يَعْنِي ابْنَ بِلاَلٍ - أَخْبَرَنِي يَحْيَى، أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ بْنُ حُنَيْنٍ، أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ، يُحَدِّثُ قَالَ مَكَثْتُ سَنَةً وَأَنَا أُرِيدُ، أَنْ أَسْأَلَ، عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ عَنْ آيَةٍ، فَمَا أَسْتَطِيعُ أَنْلَهُ حَتَّى خَرَجَ حَاجًّا فَخَرَجْتُ مَعَهُ فَلَمَّا رَجَعَ فَكُنَّا بِبَعْضِ الطَّرِيقِ عَدَلَ إِلَى الأَرَاكِ لِحَاجَةٍ لَهُ فَوَقَفْتُ لَهُ حَتَّى فَرَغَ ثُمَّ سِرْتُ مَعَهُ فَقُلْتُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ مَنِ اللَّتَانِ تَظَاهَرَتَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَزْوَاجِهِ فَقَالَ تِلْكَ حَفْصَةُ وَعَائِشَةُ . قَالَ فَقُلْتُ لَهُ وَاللَّهِ إِنْ كُنْتُ لأُرِيدُ أَنْ أَسْأَلَكَ عَنْ هَذَا مُنْذُ سَنَةٍ فَمَا أَسْتَطِيعُ هَيْبَةً لَكَ . قَالَ فَلاَ تَفْعَلْ مَا ظَنَنْتَ أَنَّ عِنْدِي مِنْ عِلْمٍ فَسَلْنِي عَنْهُ فَإِنْ كُنْتُ أَعْلَمُهُ أَخْبَرْتُكَ - قَالَ - وَقَالَ عُمَرُ وَاللَّهِ إِنْ كُنَّا فِي الْجَاهِلِيَّةِ مَا نَعُدُّ لِلنِّسَاءِ أَمْرًا حَتَّى أَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى فِيهِنَّ مَا أَنْزَلَ وَقَسَمَ لَهُنَّ مَا قَسَمَ قَالَ فَبَيْنَمَا أَنَا فِي أَمْرٍ أَأْتَمِرُهُ إِذْ قَالَتْ لِي امْرَأَتِي لَوْ صَنَعْتَ كَذَا وَكَذَا فَقُلْتُ لَهَا وَمَا لَكِ أَنْتِ وَلِمَا هَا هُنَا وَمَا تَكَلُّفُكِ فِي أَمْرٍ أُرِيدُهُ فَقَالَتْ لِي عَجَبًا لَكَ يَا ابْنَ الْخَطَّابِ مَا تُرِيدُ أَنْ تُرَاجَعَ أَنْتَ وَإِنَّ ابْنَتَكَ لَتُرَاجِعُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى يَظَلَّ يَوْمَهُ غَضْبَانَ . قَالَ عُمَرُ فَآخُذُ رِدَائِي ثُمَّ أَخْرُجُ مَكَانِي حَتَّى أَدْخُلَ عَلَى حَفْصَةَ فَقُلْتُ لَهَا يَا بُنَيَّةُ إِنَّكِ لَتُرَاجِعِينَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى يَظَلَّ يَوْمَهُ غَضْبَانَ . فَقَالَتْ حَفْصَةُ وَاللَّهِ إِنَّا لَنُرَاجِعُهُ . فَقُلْتُ تَعْلَمِينَ أَنِّي أُحَذِّرُكِ عُقُوبَةَ اللَّهِ وَغَضَبَ رَسُولِهِ يَا بُنَيَّةُ لاَ يَغُرَّنَّكِ هَذِهِ الَّتِي قَدْ أَعْجَبَهَا حُسْنُهَا وَحُبُّ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِيَّاهَا . ثُمَّ خَرَجْتُ حَتَّى أَدْخُلَ عَلَى أُمِّ سَلَمَةَ لِقَرَابَتِي مِنْهَا فَكَلَّمْتُهَا فَقَالَتْ لِي أُمُّ سَلَمَةَ عَجَبًا لَكَ يَا ابْنَ الْخَطَّابِ قَدْ دَخَلْتَ فِي كُلِّ شَىْءٍ حَتَّى تَبْتَغِي أَنْ تَدْخُلَ بَيْنَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَزْوَاجِهِ . قَالَ فَأَخَذَتْنِي أَخْذًا كَسَرَتْنِي عَنْ بَعْضِ مَا كُنْتُ أَجِدُ فَخَرَجْتُ مِنْ عِنْدِهَا وَكَانَ لِي صَاحِبٌ مِنَ الأَنْصَارِ إِذَا غِبْتُ أَتَانِي بِالْخَبَرِ وَإِذَا غَابَ كُنْتُ أَنَا آتِيهِ بِالْخَبَرِ وَنَحْنُ حِينَئِذٍ نَتَخَوَّفُ مَلِكًا مِنْ مُلُوكِ غَسَّانَ ذُكِرَ لَنَا أَنَّهُ يُرِيدُ أَنْ يَسِيرَ إِلَيْنَا فَقَدِ امْتَلأَتْ صُدُورُنَا مِنْهُ فَأَتَى صَاحِبِي الأَنْصَارِيُّ يَدُقُّ الْبَابَ وَقَالَ افْتَحِ افْتَحْ . فَقُلْتُ جَاءَ الْغَسَّانِيُّ فَقَالَ أَشَدُّ مِنْ ذَلِكَ اعْتَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَزْوَاجَهُ . فَقُلْتُ رَغِمَ أَنْفُ حَفْصَةَ وَعَائِشَةَ . ثُمَّ آخُذُ ثَوْبِي فَأَخْرُجُ حَتَّى جِئْتُ فَإِذَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي مَشْرُبَةٍ لَهُ يُرْتَقَى إِلَيْهَا بِعَجَلَةٍ وَغُلاَمٌ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَسْوَدُ عَلَى رَأْسِ الدَّرَجَةِ فَقُلْتُ هَذَا عُمَرُ . فَأُذِنَ لِي . قَالَ عُمَرُ فَقَصَصْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم هَذَا الْحَدِيثَ فَلَمَّا بَلَغْتُ حَدِيثَ أُمِّ سَلَمَةَ تَبَسَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَإِنَّهُ لَعَلَى حَصِيرٍ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَهُ شَىْءٌ وَتَحْتَ رَأْسِهِ وِسَادَةٌ مِنْ أَدَمٍ حَشْوُهَا لِيفٌ وَإِنَّ عِنْدَ رِجْلَيْهِ قَرَظًا مَضْبُورًا وَعِنْدَ رَأْسِهِ أُهُبًا مُعَلَّقَةً فَرَأَيْتُ أَثَرَ الْحَصِيرِ فِي جَنْبِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَبَكَيْتُ فَقَالَ " مَا يُبْكِيكَ " . فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ كِسْرَى وَقَيْصَرَ فِيمَا هُمَا فِيهِ وَأَنْتَ رَسُولُ اللَّهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَمَا تَرْضَى أَنْ تَكُونَ لَهُمَا الدُّنْيَا وَلَكَ الآخِرَةُ " .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি দীর্ঘ এক বছর যাবত ইচ্ছা পোষণ করে আসছিলাম যে, একটি আয়াত সম্পর্কে ‘উমার উবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করব। কিন্তু আমি তার গাম্ভীর্যের কারণে তাঁকে জিজ্ঞেস করতে সাহস পাইনি। একবার তিনি হজ্জ পালনের জন্য রওনা হলেন, আমিও তার সঙ্গে বেরিয়ে পড়লাম। যখন আমরা কোন এক রাস্তা দিয়ে চলছিলাম এই সময় তিনি (প্রকৃতির) প্রয়োজনে পিলুগাছের ঝোপের দিকে গেলেন। আমি তাঁর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে রইলাম। তিনি তাঁর প্রয়োজন পূরণ করে ফিরে এলেন। এরপর আমি তাঁর সঙ্গে রওনা করলাম। (এক সুযোগ পেয়ে) আমি বললাম, হে আমীরুল মু’মিনীন! রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহধর্মিনীগণের মধ্যে থেকে কোন্ দু’জন তাঁর অপ্রিয় কাজে একে অপরকে সহযোগিতা করেছিল? তিনি বললেন, তারা ছিল হাফ্সাহ্ (রাঃ) ও ‘আয়িশা (রাঃ)। তিনি [‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)] বলেন, আমি তাঁকে [‘উমার (রাঃ)-কে] বললামঃ আল্লাহ্র কসম! দীর্ঘ এক বছর যাবত এই বিষয়টি সম্পর্কে আপনাকে জিজ্ঞেস করব বলে মনে মনে ইচ্ছা পোষণ করে আসাছিলাম, কিন্তু আপনার ভয়ের কারণে সাহস পাইনি। তিনি [‘উমার রা)] বললেন, কখনো এরূপ করবে না বরং আমার কাছে কোন বিষয়ের জ্ঞান আছে বলে তোমার ধারণা হলে তুমি অবশ্যই সে সম্পর্কে আমার কাছে জিজ্ঞেস করে জেনে নিবে। যদি তা আমার জানা থাকে তাহলে তোমাকে অবহিত করবই। রাবী [‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)] বলেন, তখন ‘উমার (রাঃ) বললেন, আল্লাহ্র কসম! জাহিলিয়্যাত যুগে আমরা নারী জাতির জন্য কোন অধিকার স্বীকার করতাম না। এরপর আল্লাহ তাদের অধিকার সম্পর্কে যা অবতীর্ণ করার অবতীর্ণ করলেন এবং তাদের জন্য যা নির্ধারণের ছিল তা নির্ধারণ করে দিলেন। তিনি বলেন, আমি কোন একদিন এক বিষয়ে চিন্তা করছিলাম। এমন সময় আমার স্ত্রী আমার কাছে এসে বলল, আপনি যদি এরূপ এরূপ করতেন তাহলে বেশ ভাল হত। আমি তাকে বললাম, তোমার কী হয়েছে? তুমি এখানে এলে কেন? আমি যে বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছি তাতে তুমি নাক গলাচ্ছ কেন? তখন সে বলল, হে খাত্ত্বাবের পূত্র! আপনি তো আমাকে মুখ খুলতেই দিচ্ছেন না, কী আশ্চর্য! অথচ আপনার (স্নেহের) কন্যাটি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে প্রতি উত্তর করে, যার ফলে তিনি সারা দিন রাগান্বিত অবস্হায় অতিবাহিত করেন। ‘উমার (রাঃ) বলেন, এরপর আমি (তড়িঘড়ি) আমার চাদর গুটিয়ে নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়লাম এবং সোজা হাফ্সার কাছে পৌছলাম। আমি তাঁকে বললাম, হে আমার কন্যা! তুমি নাকি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কথার প্রত্যুত্তর করে থাক, যাতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সারা দিন রাগান্বিত থাকেন? হাফ্সাহ্ (রাঃ) বললেন, আল্লাহ্র কসম! আমরা সত্যিই তাঁর কথার প্রত্যুত্তর দিয়ে থাকি। তখন আমি বললাম, জেনে রাখ! আমি তোমাকে আল্লাহ্র শাস্তির ও রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অসন্তুষ্টির ভীতি প্রদর্শন করছি। হে আমার কন্যা! ঐ মেয়েটি যেন তোমাকে ধোঁকায় ফেলতে না পারে যাকে তাঁর সৌন্দর্য ও তার প্রতি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনুরাগ গর্বিতা করে ফেলেছে [এর দ্বারা তিনি ‘আয়িশা (রাঃ)-কে বুঝাতে চেয়েছেন]। এরপর আমি সেখানে থেকে বেরিয়ে উম্মু সালামাহ্ (রাঃ)-এর কাছে গেলাম। তাঁর সাথে আমার আত্মীয়তার সস্পর্ক ছিল। আমি তাঁর সঙ্গে কথা বললাম। তখন উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) আমাকে বললেন, কী আশ্চার্য! হে খাত্ত্বাবের পূত্র! তুমি সব কিছুতেই দখল নিতে চাচ্ছ? এমন কি তুমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং তাঁর সহধর্মিনীগণের মধ্যকার বিষয়ে দখল নিতে চাচ্ছ? তিনি বলেন, এই বিষয়ে উম্মু সালামাহ্ (রাঃ)-এর কথা আমাকে এমনভাবে জব্দ করল যে, আমি হতোদ্যম হয়ে পড়লাম। তাই আমি তার নিকট হতে কেটে পড়লাম। এদিকে আমার একজন আনসারী বন্ধু ছিলেন। আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মজলিসে অনুপস্হিত থাকলে তিনি আমাকে জানাতেন এবং তিনি তাঁর মজলিসে অনুপস্হিত থাকলে আমি তার কাছে এসে তাকে (আলোচ্য বিষয়ে) জানাতাম। সে সময়ে আমরা জনৈক গাস্সানী বাদশার আক্রমণের আশংকা করছিলাম। কারণ তখন আমাদের মাঝে সংবাদ (শুজব) ছড়িয়ে পড়েছিল যে, সে আমাদের উপর হামলার পাঁয়তারা করছে তাই ভয়-ভীতি ও দুশ্চিন্তায় আমাদের অন্তর ছিল আচছন্ন। ইত্যবসরে আমার আনসারী বন্ধুটি এসে দরজা খটখটাতে লাগলেন এবং বললেন, খুলে দিন! আমি বললাম, তাহলে গাস্সানীরা কি এসেই পড়ল। তিনি (আমার আনসারী বন্ধুটি) বললেন, (না, গাস্সানীরা আসেনি) তবে তার চাইতেও সাংঘাতিক কিছু। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সহধর্মিনীগণকে ত্বলাক্ব দিয়েছেন। ‘উমার (রাঃ) বললেন, তখন আমি বললাম, হাফ্সাহ্ ও ‘আয়িশার নাক ধূলোয় মলিন হোক। এরপর আমি আমার কাপড়-চোপড় পরিধান করলাম এবং ঘর থেকে বেরিয়ে সরাসরি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এলাম। আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তাঁর বালাখানায় দেখতে পেলাম। সেটা ছিল এমন ছাদযুক্ত কামরা যাতে খেজুর কাণ্ড নির্মিত সিড়ি বেয়ে উঠতে হত। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবক সিঁড়ির কামরার দরজায় পাহাড়ারত ছিল। তখন আমি তাকে বললাম, আমি ‘উমার। আমাকে অনুমতি এনে দাও। সে অনুমতি নিয়ে এলে আমি ভিতরে প্রবেশ করে এই ঘটনা বিশদভাবে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে খুলে বললাম। আমি যখন উম্মু সালামাহ্ (রাঃ)-এর ঘটনা পর্যন্ত পৌছলাম, তখন তিনি মুচকি হাসি দিলেন। তিনি তখন একটি সাদামাটা চাটাইয়ের উপর (কাত হয়ে শায়িত) ছিলেন, তাঁর ও চাটাইয়ের মাঝখানে অন্য কিছুই ছিল না। তাঁর মাথার নিচে ছিল চামড়ার তৈরি একটি বালিশ যার মধ্যে খেজুর গাছের ছাল ভর্তি ছিল। তাঁর পায়ের কাছে ছিল স্তুপীকৃত বাবলা জাতীয় গাছের কিছু পাতা এবং শিয়রের কাছে ঝুলন্ত ছিল একটি কাঁচা চামড়া। আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর শরীরের পার্শ্বদেশে চাটাই-এর দাগ দেখতে পেলাম, এতে আমি কাঁদলাম। তিনি বললেন, (হে খাত্ত্বাব তনয়) তুমি কাঁদছ কেন? তখন আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রসূল! পারস্য সম্রাট ও রোমক সম্রটি কত বিলাসব্যসনে কাটাচ্ছে আর আপনি হলেন আল্লাহ্র রসূল, (আপনার অবস্হা এই)। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, (হে ‘উমার) তুমি কি এতে পরিতুষ্ট নয় যে, তাদের জন্য কেবল দুনিয়া (পার্থিব ভোগ-বিলাস) আর তোমার জন্য রয়েছে আখিরাত (চিরস্হায়ী সুখ শান্তি)। (ই.ফা. ৩৫৫৫, ই.সে. ৩৫৫৫)