২. অধ্যায়ঃ
তিন ত্বলাক্ব প্রসঙ্গে
সহিহ মুসলিম : ৩৫৬৫
সহিহ মুসলিমহাদিস নম্বর ৩৫৬৫
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ رَافِعٍ - قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ ابْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ الطَّلاَقُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبِي بَكْرٍ وَسَنَتَيْنِ مِنْ خِلاَفَةِ عُمَرَ طَلاَقُ الثَّلاَثِ وَاحِدَةً فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ إِنَّ النَّاسَ قَدِ اسْتَعْجَلُوا فِي أَمْرٍ قَدْ كَانَتْ لَهُمْ فِيهِ أَنَاةٌ فَلَوْ أَمْضَيْنَاهُ عَلَيْهِمْ . فَأَمْضَاهُ عَلَيْهِمْ .
ইবনু ‘‘আব্বাস (রাঃ)-এর সূত্র হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগে এবং আবূ বকর (রাঃ)-এর যুগে ও ‘উমার (রাঃ)-এর খিলাফাতের প্রথম দু’ বছর পর্যন্ত তিন ত্বলাক্ব এক ত্বলাক্ব সাব্যস্ত হত। পরে ‘উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) বললেন, লোকেরা একটি বিষয়ে অতি ব্যস্ততা দেখিয়েছে যাতে তাদের ধৈর্যের (ও সুযোগ গ্রহণের) অবকাশ ছিল। এখন যদি বিষয়টি তাদের জন্য কার্যকর সাব্যস্ত করে দেই...(তবে তা-ই কল্যাণকর হবে)। সুতরাং তিনি তা তাদের জন্য বাস্তবায়িত ও কার্যকর সাব্যস্ত করলেন। [৫৮] (ই.ফা. ৩৫৩৭, ই.সে. ৩৫৩৬)
[৫৮] ইসলামের প্রথমিক যুগ থেকে শুরু করে ‘উমার (রাঃ)-এর যুগ পর্যন্ত তিন ত্বলাক্ব গণনা করা হতো। অতঃপর মানুষের মধ্যে ত্বলাক্ব প্রদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ার ধমকী স্বরূপে এক বৈঠকে প্রদত্ত ত্বলাক্বকে তিন ত্বলাক্ব হিসেবেই গণ্য করার নির্দেশ জারি করা হয়। যা ছিল রাজনৈতিক ও সাময়িক।(তাহতবী হাশিয়াহ্ দুর্রে মুখতার ৬ষ্ঠ খন্ড ১১৫ পৃষ্ঠা বৈরূত ছাপা, জামিউর রূমূজ ১ম খণ্ড ৫০২ পৃষ্ঠা মাজমাউল আনহর শারহ মুনতাফাল আবহর ২য় খণ্ড ৬ পৃষ্ঠা, দুর্রূল মুনতাফা ফী শারহিল মুলতাকা ২য় খণ্ড ৬ পৃষ্ঠা)