১৬. অধ্যায়ঃ
কুমারীর পানিগ্রহণ মুস্তাহাব
সহিহ মুসলিম : ৩৫৩০
সহিহ মুসলিমহাদিস নম্বর ৩৫৩০
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ، هَلَكَ وَتَرَكَ تِسْعَ بَنَاتٍ - أَوْ قَالَ سَبْعَ - فَتَزَوَّجْتُ امْرَأَةً ثَيِّبًا فَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا جَابِرُ تَزَوَّجْتَ " . قَالَ قُلْتُ نَعَمْ . قَالَ " فَبِكْرٌ أَمْ ثَيِّبٌ " . قَالَ قُلْتُ بَلْ ثَيِّبٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " فَهَلاَّ جَارِيَةً تُلاَعِبُهَا وَتُلاَعِبُكَ " . أَوْ قَالَ " تُضَاحِكُهَا وَتُضَاحِكُكَ " . قَالَ قُلْتُ لَهُ إِنَّ عَبْدَ اللَّهِ هَلَكَ وَتَرَكَ تِسْعَ بَنَاتٍ - أَوْ سَبْعَ - وَإِنِّي كَرِهْتُ أَنْ آتِيَهُنَّ أَوْ أَجِيئَهُنَّ بِمِثْلِهِنَّ فَأَحْبَبْتُ أَنْ أَجِيءَ بِامْرَأَةٍ تَقُومُ عَلَيْهِنَّ وَتُصْلِحُهُنَّ . قَالَ " فَبَارَكَ اللَّهُ لَكَ " . أَوْ قَالَ لِي خَيْرًا وَفِي رِوَايَةِ أَبِي الرَّبِيعِ " تُلاَعِبُهَا وَتُلاَعِبُكَ وَتُضَاحِكُهَا وَتُضَاحِكُكَ " .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
‘আবদুল্লাহ (রাঃ) মৃত্যু (শাহাদাত) বরণ করলেন এবং নয়টি (কিংবা তিনি বলেছেন, সাতটি) কন্যা রেখে গেলেন। পরে আমি (জাবির) এক বিধবা মহিলাকে বিয়ে করলাম। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেন, হে জাবির, তুমি বিয়ে করেছো? আমি বললামঃ হাঁ। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তা কুমারী না বিধবা? আমি বললামঃ বরং বিধবা হে আল্লাহর রসূল। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তবে তা কোন তরুনী (কুমারী) কেন নয় যে, (ইয়াহ্ইয়া রিওয়ায়াতে) তুমি তার সঙ্গে আমোদ-স্ফূর্তি করবে, সেও তোমার সাথে ক্রীড়া-কৌতুক করবে কিংবা তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছিলেন, তুমি তার সঙ্গে হাস্য-রস করতে, সেও তোমার সঙ্গে হাস্য-রস করত। জাবির (রাঃ) বলেন, আমি তাকে বললাম, (আমার পিতা) ‘আবদুল্লাহ নয়টি (কিংবা সাতটি) মেয়ে রেখে মৃত্যুবরণ করেছেন এবং আমি তাদের মাঝে তাদের মতো একজনকে নিয়া আসা অপছন্দ করলাম। তাই আমি এমন একটি মহিলাকে নিয়ে আসা পছন্দ করলাম যে তাদের দেখাশুনা করবে এবং তাদের শুধরে দিবে ও গড়ে তুলবে। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তবে আল্লাহ তোমাকে বারাকাত দান করুন। তিনি আমাকে (এ ধরনের) কোন উত্তম কথা বললেন। আবূ রবী’ (রহঃ)-এর রিওয়ায়াতে রয়েছে- “তুমি তার সঙ্গে আমোদ-স্ফূর্তি করবে ও তার সঙ্গে হাস্য-রস করবে, সেও তোমার সাথে হাস্য রস করবে।” (ই.ফা. ৩৫০৩, ই.সে. ৩৫০২)