৮৬. অধ্যায়ঃ
মাদীনাতে বসবাস করার প্রতি উৎসাহ প্রদান ও এর বিপদে ধৈর্য ধারণ করা
সহিহ মুসলিম : ৩২২৭
সহিহ মুসলিমহাদিস নম্বর ৩২২৭
حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ابْنِ عُلَيَّةَ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ وُهَيْبٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي، إِسْحَاقَ أَنَّهُ حَدَّثَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، مَوْلَى الْمَهْرِيِّ أَنَّهُ أَصَابَهُمْ بِالْمَدِينَةِ جَهْدٌ وَشِدَّةٌ وَأَنَّهُ أَتَى أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ فَقَالَ لَهُ إِنِّي كَثِيرُ الْعِيَالِ وَقَدْ أَصَابَتْنَا شِدَّةٌ فَأَرَدْتُ أَنْ أَنْقُلَ عِيَالِي إِلَى بَعْضِ الرِّيفِ . فَقَالَ أَبُو سَعِيدٍ لاَ تَفْعَلِ الْزَمِ الْمَدِينَةَ فَإِنَّا خَرَجْنَا مَعَ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - أَظُنُّ أَنَّهُ قَالَ - حَتَّى قَدِمْنَا عُسْفَانَ فَأَقَامَ بِهَا لَيَالِيَ فَقَالَ النَّاسُ وَاللَّهِ مَا نَحْنُ هَا هُنَا فِي شَىْءٍ وَإِنَّ عِيَالَنَا لَخُلُوفٌ مَا نَأْمَنُ عَلَيْهِمْ . فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " مَا هَذَا الَّذِي بَلَغَنِي مِنْ حَدِيثِكُمْ - مَا أَدْرِي كَيْفَ قَالَ - وَالَّذِي أَحْلِفُ بِهِ أَوْ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَقَدْ هَمَمْتُ أَوْ إِنْ شِئْتُمْ - لاَ أَدْرِي أَيَّتَهُمَا قَالَ - لآمُرَنَّ بِنَاقَتِي تُرْحَلُ ثُمَّ لاَ أَحُلُّ لَهَا عُقْدَةً حَتَّى أَقْدَمَ الْمَدِينَةَ - وَقَالَ - اللَّهُمَّ إِنَّ إِبْرَاهِيمَ حَرَّمَ مَكَّةَ فَجَعَلَهَا حَرَمًا وَإِنِّي حَرَّمْتُ الْمَدِينَةَ حَرَامًا مَا بَيْنَ مَأْزِمَيْهَا أَنْ لاَ يُهَرَاقَ فِيهَا دَمٌ وَلاَ يُحْمَلَ فِيهَا سِلاَحٌ لِقِتَالٍ وَلاَ يُخْبَطَ فِيهَا شَجَرَةٌ إِلاَّ لِعَلْفٍ اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي مَدِينَتِنَا اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي صَاعِنَا اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي مُدِّنَا اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي صَاعِنَا اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي مُدِّنَا اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي مَدِينَتِنَا اللَّهُمَّ اجْعَلْ مَعَ الْبَرَكَةِ بَرَكَتَيْنِ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ مَا مِنَ الْمَدِينَةِ شِعْبٌ وَلاَ نَقْبٌ إِلاَّ عَلَيْهِ مَلَكَانِ يَحْرُسَانِهَا حَتَّى تَقْدَمُوا إِلَيْهَا - ثُمَّ قَالَ لِلنَّاسِ - ارْتَحِلُوا " . فَارْتَحَلْنَا فَأَقْبَلْنَا إِلَى الْمَدِينَةِ فَوَالَّذِي نَحْلِفُ بِهِ أَوْ يُحْلَفُ بِهِ - الشَّكُّ مِنْ حَمَّادٍ - مَا وَضَعْنَا رِحَالَنَا حِينَ دَخَلْنَا الْمَدِينَةَ حَتَّى أَغَارَ عَلَيْنَا بَنُو عَبْدِ اللَّهِ بْنِ غَطَفَانَ وَمَا يَهِيجُهُمْ قَبْلَ ذَلِكَ شَىْءٌ .
আবূ সা’ঈদ মাওলা আল মাহরী (রহঃ) হতে বর্ণিতঃ
তাঁরা মাদীনায় কষ্ট ও দুঃখে পতিত হন। তিনি আবূ সা’ঈদ আল খুদ্রী (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে তাঁকে বললেন, আমার পরিবারের সদস্য সংখ্যা অনেক এবং আমরা দুঃখ দুর্দশার সম্মুখীন হয়েছি। তাই আমি আমার পরিবারকে কোন শস্য শ্যামল এলাকায় স্থানান্তরের মনস্থ করেছি। আবূ সা’ঈদ (রাঃ) বললেন, তা করো না বরং মাদীনাকে আঁকড়ে থাক। কারণ, একদা আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে বের হলাম, আমার মনে হয়, তিনি এও বলেছেন যে, এবং ‘উস্ফান পর্যন্ত পৌঁছলেন। এখানে তিনি কয়েক রাত অবস্থান করলেন। লোকেরা বলল, আল্লাহর কসম! আমরা এখানে অযথা সময় নষ্ট করছি। অথচ আমাদের পরিবার পরিজন আমাদের পশ্চাতে নিরাপত্তাহীন অবস্থায় রয়েছে এবং আমরা তাদের (নিরাপত্তার) ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারছি না।এ কথা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে পৌঁছলে তিনি বলেনঃ কী ব্যাপার, তোমাদের এ কথা আমার নিকটে পৌঁছেছে। রাবী বলেন, আবূ সা’ঈদ (রাঃ) কথাটা কিভাবে পুনর্ব্যক্ত করেছেন তা আমার হুবহু মনে নেই। সে সত্তার নামে শপথ অথবা সে সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার প্রাণ! অবশ্য আমি মনস্থ করেছি, অথবা যদি তোমরা চাও- রাবী বলেন, আবূ সা’ঈদ (রাঃ) কোন্টি বলেছেন তা আমার সঠিক মনে নেই। তবে আমি নিশ্চত আমার উষ্ট্রীকে অগ্রসর হবার নির্দেশ দিব এবং মাদীনায় পৌঁছা পর্যন্ত তার একটি গিটও খুলব না। (যাত্রা বিরতি করব না)। অতঃপর তিনি বললেন, “হে আল্লাহ! নিশ্চয় ইব্রাহীম (‘আঃ) মাক্কাকে হারাম ঘোষণা করেছেন এবং তা পবিত্র ও সম্মানিত হয়েছে। আর আমি মাদীনাকে হারাম ঘোষনা করলাম- যা দু’পাহাড়ের (‘আয়র ও উহুদ) মধ্যস্থলে অবস্থিত। অতএবং এখানে রক্তপাত করা যাবে না, এখানে যুদ্ধের উদ্দেশে অস্ত্রবহন করা যাবে না এবং পশু খাদ্য হিসেবে ব্যবহারের উদ্দেশ্য ব্যতীত গাছপালার পাতাও পাড়া যাবে না। হে আল্লাহ! আমাদের এ শহরে বারাকাত দান করুন, হে আল্লাহ! আমাদের সা’-এ বারাকাত দান করুন, হে আল্লাহ! আমাদের মুদ্দ-এ বারাকাত দান করুন, হে আল্লাহ! বারাকাতের সাথে আমাদের আরো দু’টি বারাকাত দান করুন।সে সত্তার শপথ যাঁর হাতে আমার প্রাণ! মাদীনার এমন কোন প্রবেশ পথ বা গিরি পথ, বা পাহাড়ের পথ নেই যেখানে তোমাদের মাদীনায় ফিরে আসা পর্যন্ত দু’জন করে মালাক পাহারায় নিযুক্ত নেই। পুনরায় তিনি লোকদের উদ্দেশে বললেন, “তোমরা রওনা হও”। অতএব আমরা রওনা হলাম এবং মাদীনাহ্ এসে পৌঁছলাম। সে সত্তার শপথ যাঁর নামে আমরা শপথ করি অথবা যাঁর নামে শপথ করা হয়- হাম্মাদ তাঁর ঊর্দ্ধতন রাবী কোন্টি বলেছেন সে সম্বন্ধে সন্দেহে পড়েছেন। আমরা মাদীনাহ্ প্রবেশ করে বাহনের পিঠের হাওদা তখনও খুলিনি- ইত্যবসরে ‘আবদুল্লাহ ইবনু গাত্বফান গোত্রের লোকেরা আমাদের উপর অতর্কিতে আক্রমণ করে, অথচ ইতোপূর্বে এরূপ কিছু করার দুঃসাহস তাদের হয়নি। (ই.ফা. ৩২০২, ই.সে. ৩১৯৯)