৪৩. অধ্যায়ঃ

সাফা-মারওয়ার মাঝে দৌড়ানো (সা‘ঈ) হাজ্জের অন্যতম রুকন, এ ছাড়া হাজ্জ শুদ্ধ হয় না

সহিহ মুসলিমহাদিস নম্বর ২৯৬৯

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَ قُلْتُ لَهَا إِنِّي لأَظُنُّ رَجُلاً لَوْ لَمْ يَطُفْ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ مَا ضَرَّهُ ‏.‏ قَالَتْ لِمَ قُلْتُ لأَنَّ اللَّهَ تَعَالَى يَقُولُ ‏{‏ إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ‏}‏ إِلَى آخِرِ الآيَةِ ‏.‏ فَقَالَتْ مَا أَتَمَّ اللَّهُ حَجَّ امْرِئٍ وَلاَ عُمْرَتَهُ لَمْ يَطُفْ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَلَوْ كَانَ كَمَا تَقُولُ لَكَانَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ لاَ يَطَّوَّفَ بِهِمَا ‏.‏ وَهَلْ تَدْرِي فِيمَا كَانَ ذَاكَ إِنَّمَا كَانَ ذَاكَ أَنَّ الأَنْصَارَ كَانُوا يُهِلُّونَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ لِصَنَمَيْنِ عَلَى شَطِّ الْبَحْرِ يُقَالُ لَهُمَا إِسَافٌ وَنَائِلَةٌ ‏.‏ ثُمَّ يَجِيئُونَ فَيَطُوفُونَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ ثُمَّ يَحْلِقُونَ ‏.‏ فَلَمَّا جَاءَ الإِسْلاَمُ كَرِهُوا أَنْ يَطُوفُوا بَيْنَهُمَا لِلَّذِي كَانُوا يَصْنَعُونَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ قَالَتْ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ‏ {‏ إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ‏}‏ إِلَى آخِرِهَا - قَالَتْ - فَطَافُوا ‏.

হিশাম ইবনু ‘উরওয়াহ্ (রহঃ) থেকে তার পিতা সূত্র হতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশা (রাঃ)-কে বললাম, আমি মনে করি কোন ব্যক্তি সাফা-মারওয়াহ্‌ পাহাড়দ্বয়ের মাঝে সা‘ঈ না করলে তার কোন ক্ষতি হবে না। তিনি জিজ্ঞেস করলেন কেন? আমি বললাম, কেননা আল্লাহ্ তা‘আলা বলেছেনঃ ‘সাফা-মারওয়াহ্‌ আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম ......” – (সূরাহ্‌ আল বাক্বারাহ্ ২ : ১৫৮)। তখন ‘আয়িশা (রাঃ) বললেন, কোন ব্যক্তি সাফা-মারওয়ার মাঝে সা‘ঈ না করলে আল্লাহ তার হাজ্জ ও ‘উমরাহ্ পূর্ণ করেন না। তুমি যা বলেছ যদি তাই হতো তবে আয়াতটি এভাবে হতো, “ঐ দুই পাহাড়ের মাঝে না দৌড়ালে কোন অসুবিধা নেই।” তুমি কি জান ব্যাপারটি কী ছিল? ব্যাপার তো ছিল এই যে, আনসারগণ জাহিলী যুগে দু’টি প্রতিমার নামে সমুদ্রের তীরে ইহরাম বাঁধত। একটির নাম ইনসাফ, অপরটির নাম নায়িলাহ্। তারা এসে সাফা-মারওয়াহ্ সা‘ঈ করত। অতঃপর মাথা কামাতো। ইসলামের আবির্ভাবের পর তারা জাহিলী যুগে যা করত, সে কারণে সাফা-মারওয়ার মাঝে সা‘ঈ করা খারাপ মনে করল। তাই আল্লাহ তা‘আলা নাযিল করলেন : “সাফা-মারওয়াহ্ আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম.......।” অতঃপর লোকেরা সা‘ঈ করে। [২২] (ই.ফা. ২৯৪৫, ই.সে. ২৯৪৩)

[২২] জাহিলী যুগে প্রতিমার নামে সমুদ্রের তীরে ইহরাম বাঁধত।প্রতিমা দু’টি কখনও সমুদ্রের তীরে ছিল না। বলা হয় যে, আসাফ ও নায়িলাহ্ দু’জন ব্যক্তি। একজন পুরুষ, অন্যজন মহিলা। তারা ছিল জুরহাস গোত্রের। তারা উভয়ে কা‘বার অভ্যন্তরে যিনা করে, ফলে আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে পাথরে পরিণত করে দেন। এ দু’টি পাথরকে কা’বার নিকটে, আবার বলা হয়েছে সাফা-মারওয়াহ্ পাহাড়ের উপর স্থাপন করা হয়েছে যাতে করে লোকেরা এগুলো থেকে শিক্ষা লাভ করতে পারে যে, তাদের পাপের পরিণতি কী দাঁড়িয়েছিল।

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন