২৬. অধ্যায়ঃ
বাধাপ্রাপ্ত হলে হালাল হওয়ার বৈধতা এং হাজ্জে ক্বিরান বৈধ হওয়ার বিবরণ
সহিহ মুসলিম : ২৮৭৯
সহিহ মুসলিমহাদিস নম্বর ২৮৭৯
وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْمَخْزُومِيُّ، وَعَبْدُ الْمَجِيدِ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ حَدَّثَتْنِي حَفْصَةُ، - رضى الله عنها - أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ أَزْوَاجَهُ أَنْ يَحْلِلْنَ عَامَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ . قَالَتْ حَفْصَةُ فَقُلْتُ مَا يَمْنَعُكَ أَنْ تَحِلَّ قَالَ " إِنِّي لَبَّدْتُ رَأْسِي وَقَلَّدْتُ هَدْيِي فَلاَ أَحِلُّ حَتَّى أَنْحَرَ هَدْيِي " .
নাফি’ (রহঃ) হতে বর্ণিতঃ
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হাঙ্গামা [হাজ্জাজ ইবনু ইউসুফ ও ‘আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ)-এর মধ্যকার সংঘাত] চলাকালীন সময়ে ‘উমরাহ্ করার উদ্দেশে রওনা হন। তিনি বলেন, বায়তুল্লাহ পৌঁছতে আমরা যদি বাধাপ্রাপ্ত হই তবে (অনুরূপ পরিস্থিতিতে) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে যেরূপ করেছিলাম, এখনও তদ্রূপ করব। অতএব তিনি রওনা হলেন এবং ‘উমরার ইহরাম বাঁধলেন, তিনি সফর অব্যাহত রাখলেন; যতক্ষণ না আল বায়দা নামক স্থানে পৌঁছলেন। এখানে তিনি নিজের সঙ্গীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বললেন, হাজ্জ ও ‘উমরাহ্ উভয়ের নিয়ম একই। আমি তোমাদের সাক্ষী করছি যে, আমি নিজের জন্য হাজ্জকে ‘উমরার সাথে বাধ্যতামূলক করলাম। (রাবী বলেন) অতএব তিনি রওনা হয়ে বায়তুল্লাহ পৌঁছলেন, সাতবার ত্বওয়াফ করলেন এবং সাফা-মারওয়ার মাঝে সাতবার সা’ঈ করলেন, এর অতিরিক্ত কিছু করেননি এবং নিজের (হাজ্জ ও ‘উমরার) জন্য এটাই (এক ত্বওয়াফ ও এক সা’ঈ) যথেষ্ট বিবেচনা করলেন এবং কুরবানী করলেন। (ই.ফা. ২৮৫৫, ই.সে. ২৮৫৪)