২২. অধ্যায়ঃ
ইহরাম থেকে হালাল হওয়া রহিতকরণ এবং তা পূর্ণ করার নির্দেশ প্রসঙ্গে
সহিহ মুসলিম : ২৮৪৯
সহিহ মুসলিমহাদিস নম্বর ২৮৪৯
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، - يَعْنِي ابْنَ مَهْدِيٍّ - حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ قَيْسٍ، عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى، - رضى الله عنه - قَالَ قَدِمْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ مُنِيخٌ بِالْبَطْحَاءِ فَقَالَ " بِمَ أَهْلَلْتَ " . قَالَ قُلْتُ أَهْلَلْتُ بِإِهْلاَلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " هَلْ سُقْتَ مِنْ هَدْىٍ " . قُلْتُ لاَ . قَالَ " فَطُفْ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ ثُمَّ حِلَّ " . فَطُفْتُ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ ثُمَّ أَتَيْتُ امْرَأَةً مِنْ قَوْمِي فَمَشَطَتْنِي وَغَسَلَتْ رَأْسِي فَكُنْتُ أُفْتِي النَّاسَ بِذَلِكَ فِي إِمَارَةِ أَبِي بَكْرٍ وَإِمَارَةِ عُمَرَ فَإِنِّي لَقَائِمٌ بِالْمَوْسِمِ إِذْ جَاءَنِي رَجُلٌ فَقَالَ إِنَّكَ لاَ تَدْرِي مَا أَحْدَثَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ فِي شَأْنِ النُّسُكِ . فَقُلْتُ أَيُّهَا النَّاسُ مَنْ كُنَّا أَفْتَيْنَاهُ بِشَىْءٍ فَلْيَتَّئِدْ فَهَذَا أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ قَادِمٌ عَلَيْكُمْ فَبِهِ فَائْتَمُّوا فَلَمَّا قَدِمَ قُلْتُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ مَا هَذَا الَّذِي أَحْدَثْتَ فِي شَأْنِ النُّسُكِ قَالَ إِنْ نَأْخُذْ بِكِتَابِ اللَّهِ فَإِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ قَالَ { وَأَتِمُّوا الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ لِلَّهِ} وَإِنْ نَأْخُذْ بِسُنَّةِ نَبِيِّنَا عَلَيْهِ الصَّلاَةُ وَالسَّلاَمُ فَإِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَحِلَّ حَتَّى نَحَرَ الْهَدْىَ .
আবূ মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এলাম। তিনি বাত্বহা নামক স্থানে উট বসিয়ে অবস্থান করছিলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কিসের ইহরাম বেঁধেছ? আমি বললাম, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনুরূপ ইহরাম বেঁধেছি। তিনি পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি কুরবানীর পশু এনেছ? আমি বললাম, না। তিনি বললেন, তাহলে তুমি বায়তুল্লাহ-এর ত্বওয়াফ এবং সাফা- মারওয়ার মাঝে সা’ঈ করার পর ইহরাম খুলে ফেল। অতএব আমি বায়তুল্লাহ-এর ত্বওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার মাঝে সা‘ঈ করার পর ইহরাম খুলে ফেললাম। এরপর আমার গোত্রের এক মহিলার নিকট এলাম, সে আমার মাথার চুল আঁচড়িয়ে দিল এবং আমার মাথা ধুয়ে দিল। আমি আবূ বাক্র (রাঃ) ও ‘উমার (রাঃ) – এর খিলাফাতকালে লোকদেরকে অনুরূপ ফাতাওয়া দিতাম। হাজ্জের মৌসুম আগত, এ সময় এক ব্যক্তি আমার নিকট এসে বলল, আপনি হয়ত জানেন না , আমীরুল মু’মিনীন (‘উমার) হাজ্জের ব্যাপারে কী নতুন বিধান প্রবর্তন করেছেন। আমি বললাম, হে জনগণ! আমি যাদেরকে কতগুলো বিষয় সম্পর্কে যে ফাতাওয়া দিয়েছি- তারা যেন অপেক্ষা করে। কারণ, ইতোমধ্যেই আমীরুল মু’মিনীন তোমাদের মধ্যে এসে পৌঁছবেন। তোমরা তাঁর অনুসরণ করবে। তিনি (‘উমার) এসে পৌঁছলে আমি বললাম, হে আমীরুল মু’মিনীন! আপনি হাজ্জের ব্যাপারে নতুন কী বিধান দিচ্ছেন? তিনি বললেন, আমরা যদি আল্লাহর কিতাব আঁকড়ে ধরি, তবে আল্লাহ বলেনঃ “তোমরা আল্লাহর উদ্দেশে হাজ্জ ও ‘উমরাহ্ পূর্ণ কর”- (সূরাহ্ আল বাক্বারাহ্ ২ : ১৯৬)। আর আমরা যদি আমাদের নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর সুন্নাতের অনুসরণ করি, তাহলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাথে করে নিয়ে আসা পশু যবাহ না করা পর্যন্ত ইহরাম খুলতেন না। (ই. ফা. ২৮২৫, ই.সে. ২৮২৪)