২১. অধ্যায়ঃ
''আরাফায় অবস্থান এবং আল্লাহ তা’আলার বাণী- “অতঃপর তোমরা ফিরে যাও যেখান থেকে মানুষেরা ফিরে যায়”
সহিহ মুসলিম : ২৮৪৫
সহিহ মুসলিমহাদিস নম্বর ২৮৪৫
وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَتِ الْعَرَبُ تَطُوفُ بِالْبَيْتِ عُرَاةً إِلاَّ الْحُمْسَ وَالْحُمْسُ قُرَيْشٌ وَمَا وَلَدَتْ كَانُوا يَطُوفُونَ عُرَاةً إِلاَّ أَنْ تُعْطِيَهُمُ الْحُمْسُ ثِيَابًا فَيُعْطِي الرِّجَالُ الرِّجَالَ وَالنِّسَاءُ النِّسَاءَ وَكَانَتِ الْحُمْسُ لاَ يَخْرُجُونَ مِنَ الْمُزْدَلِفَةِ وَكَانَ النَّاسُ كُلُّهُمْ يَبْلُغُونَ عَرَفَاتٍ . قَالَ هِشَامٌ فَحَدَّثَنِي أَبِي عَنْ عَائِشَةَ - رضى الله عنها - قَالَتِ الْحُمْسُ هُمُ الَّذِينَ أَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فِيهِمْ { ثُمَّ أَفِيضُوا مِنْ حَيْثُ أَفَاضَ النَّاسُ} قَالَتْ كَانَ النَّاسُ يُفِيضُونَ مِنْ عَرَفَاتٍ وَكَانَ الْحُمْسُ يُفِيضُونَ مِنَ الْمُزْدَلِفَةِ يَقُولُونَ لاَ نُفِيضُ إِلاَّ مِنَ الْحَرَمِ فَلَمَّا نَزَلَتْ { أَفِيضُوا مِنْ حَيْثُ أَفَاضَ النَّاسُ} رَجَعُوا إِلَى عَرَفَاتٍ .
হিশাম (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্র হতে বর্ণিতঃ
তিনি (‘উরওয়াহ্) বলেন, আল-হুমস্ ব্যতীত সকল আরব উলঙ্গ অবস্থায় বায়তুল্লাহ-এর ত্বওয়াফ করত। কুরায়শ ও তাদের বংশধরগণকে ‘আল-হুমস্’ বলা হতো। আরবরা উলঙ্গ অবস্থায়ই ত্বওয়াফ করত। কিন্তু আল-হুমস্ তাদেরকে কাপড় দান করলে স্বতন্ত্র কথা। তাদের পুরুষরা পুরুষদের এবং মহিলারা মহিলাদের কাপড় দান করত। আল-হুমস্ মুযদালিফার বাইরে যেত না, আর সব লোক ‘আরাফায় চলে যেত। হিশাম বলেন, আমার পিতা (‘উরওয়াহ্) ‘আয়িশা (রাঃ)-এর সূত্রে আমার কাছে বর্ণনা করেছেন, ’আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেছেন, আল হুমস্- যাদের সম্পর্কে আল্লাহ তা’আলা এ আয়াত নাযিল করেছেনঃ “অতঃপর অন্যান্য লোক যেখান থেকে প্রত্যাবর্তন করে, তোমরাও সেখান থেকে প্রত্যাবর্তন করবে”- (সূরাহ্ আল বাক্বারাহ্ ২ : ১৯৯)। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, লোকেরা ‘আরাফাহ্ থেকে প্রত্যাবর্তন করত আর আল-হুমস্ মুযদালিফাহ্ থেকে প্রত্যাবর্তন করত। তারা বলত, আমরা কেবলমাত্র হারাম এলাকা থেকেই প্রত্যাবর্তন করব। অতঃপর যখন “তোমরা প্রত্যাবর্তন কর- যেখান থেকে লোকেরা প্রত্যাবর্তন করে” আয়াত নাযিল হ’ল, তখন থেকে তারা ‘আরাফায় গেল। (ই. ফা. ২৮২২, ই.সে. ২৮২০)