১৭. অধ্যায়ঃ
ইহরামের প্রকারভেদ, ইফরাদ, ক্বিরান ও তামাত্তু’ হাজ্জের জন্য ইহরাম বাঁধা জায়িয, একত্রে ‘উমরাহ ও হাজ্জের ইহরাম বাঁধাও জায়িয এবং ক্বিরান হাজ্জ পালনকারী কখন ইহরাম মুক্ত হবে
সহিহ মুসলিম : ২৮০২
সহিহ মুসলিমহাদিস নম্বর ২৮০২
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، - رضى الله عنها - قَالَتْ خَرَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عَامَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ فَأَهْلَلْتُ بِعُمْرَةٍ وَلَمْ أَكُنْ سُقْتُ الْهَدْىَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " مَنْ كَانَ مَعَهُ هَدْىٌ فَلْيُهْلِلْ بِالْحَجِّ مَعَ عُمْرَتِهِ ثُمَّ لاَ يَحِلَّ حَتَّى يَحِلَّ مِنْهُمَا جَمِيعًا " . قَالَتْ فَحِضْتُ فَلَمَّا دَخَلَتْ لَيْلَةُ عَرَفَةَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي كُنْتُ أَهْلَلْتُ بِعُمْرَةٍ فَكَيْفَ أَصْنَعُ بِحَجَّتِي قَالَ " انْقُضِي رَأْسَكِ وَامْتَشِطِي وَأَمْسِكِي عَنِ الْعُمْرَةِ وَأَهِلِّي بِالْحَجِّ " . قَالَتْ فَلَمَّا قَضَيْتُ حَجَّتِي أَمَرَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي بَكْرٍ فَأَرْدَفَنِي فَأَعْمَرَنِي مِنَ التَّنْعِيمِ مَكَانَ عُمْرَتِي الَّتِي أَمْسَكْتُ عَنْهَا .
‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা বিদায় হাজ্জের বছর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সঙ্গে রওনা হলাম। আমি ‘উমরার ইহরাম বাঁধলাম এবং সাথে কুরবানির পশু নেইনি। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, যার সাথে কুরবানির পশু আছে, সে যেন তার ‘উমরার সাথে হাজ্জের ইহরামও বাঁধে এবং উভয়ের অনুষ্ঠানাদি সমাপ্ত করার পূর্বে যেন ইহরাম না খুলে। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমার মাসিক ঋতু শুরু হয়ে গেল। ‘আরাফার রাত শুরু হলে আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রসূল! আমি ‘উমরার ইহরাম বেঁধেছিলাম, অতএব আমি কিভাবে হাজ্জ করব? তিনি বললেন, তোমার চুল খুলে ফেল এবং চিরুণী কর, ‘উমরাহ্ স্থগিত রাখ এবং হাজ্জের ইহরাম বাঁধ। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমি যখন হাজ্জ সমাপ্ত করলাম, তখন তিনি (আমার ভাই) ‘আবদূর রহমানকে নির্দেশ দিলেন এবং তিনি তদানুযায়ী আমাকে তার বাহনের পেছন দিকে বসিয়ে তান’ঈম থেকে উমরাহ্ করালেন- যেহেতু আমি ‘উমরার অনুষ্ঠান পালন থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হয়েছিলাম। (ই.ফা. ২৭৭৯, ই.সে. ২৭৭৭)