১৩. অধ্যায:
জানাবাত অবস্থায় কারো প্রভাত হলে তার সওম শুদ্ধ হবে
সহিহ মুসলিম : ২৪৭৯
সহিহ মুসলিমহাদিস নম্বর ২৪৭৯
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ، بْنُ رَافِعٍ - وَاللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ بْنُ هَمَّامٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ، بْنُ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي بَكْرٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، - رضى الله عنه - يَقُصُّ يَقُولُ فِي قَصَصِهِ مَنْ أَدْرَكَهُ الْفَجْرُ جُنُبًا فَلاَ يَصُمْ . فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ - لأَبِيهِ - فَأَنْكَرَ ذَلِكَ . فَانْطَلَقَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ وَانْطَلَقْتُ مَعَهُ حَتَّى دَخَلْنَا عَلَى عَائِشَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ - رضى الله عنهما - فَسَأَلَهُمَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ عَنْ ذَلِكَ - قَالَ - فَكِلْتَاهُمَا قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُصْبِحُ جُنُبًا مِنْ غَيْرِ حُلُمٍ ثُمَّ يَصُومُ - قَالَ - فَانْطَلَقْنَا حَتَّى دَخَلْنَا عَلَى مَرْوَانَ فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ . فَقَالَ مَرْوَانُ عَزَمْتُ عَلَيْكَ إِلاَّ مَا ذَهَبْتَ إِلَى أَبِي هُرَيْرَةَ فَرَدَدْتَ عَلَيْهِ مَا يَقُولُ - قَالَ - فَجِئْنَا أَبَا هُرَيْرَةَ وَأَبُو بَكْرٍ حَاضِرُ ذَلِكَ كُلِّهِ - قَالَ - فَذَكَرَ لَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ أَهُمَا قَالَتَاهُ لَكَ قَالَ نَعَمْ . قَالَ هُمَا أَعْلَمُ . ثُمَّ رَدَّ أَبُو هُرَيْرَةَ مَا كَانَ يَقُولُ فِي ذَلِكَ إِلَى الْفَضْلِ بْنِ الْعَبَّاسِ فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ سَمِعْتُ ذَلِكَ مِنَ الْفَضْلِ وَلَمْ أَسْمَعْهُ مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ فَرَجَعَ أَبُو هُرَيْرَةَ عَمَّا كَانَ يَقُولُ فِي ذَلِكَ . قُلْتُ لِعَبْدِ الْمَلِكِ أَقَالَتَا فِي رَمَضَانَ قَالَ كَذَلِكَ كَانَ يُصْبِحُ جُنُبًا مِنْ غَيْرِ حُلُمٍ ثُمَّ يَصُومُ .
আবূ বাক্র (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) তাঁর আলোচনায় বললেন, জানাবাত অবস্থায় কারো ভোর হলে তার সওম হবে না। এরপর এ কথাটি আমি ‘আবদুর রহমান ইবনু হারিস (রাঃ)-এর নিকট বর্ণনা করলাম। কিন্তু তিনি তা অস্বীকার করলেন। তরপর ‘আবদুর রহমান চললেন। আমিও তাঁর সাথে সাথে চললাম। আমরা ‘আয়িশাহ্ এবং উম্মু সালামাহ্ (রাঃ)-এর নিকট গেলাম। এরপর ‘আবদুর রহমান তাঁদের উভয়কে এ সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করলেন। তাঁরা বললেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইহতিলাম ব্যতিরেকে জানাবাতের অবস্থায় ভোর করতেন এবং সওম পালন করতেন। তারপর আমরা মারওয়ানের নিকট আসলাম এবং ‘আবদুর রহমান তার সাথে এ নিয়ে আলোচনা করলেন। এরপর মারওয়ান বললেন, আমি তোমাকে কসম দিয়ে বলছি, তুমি আবূ হুরায়রার নিকট যাও এবং তার কথাটি রদ করে দাও। এরপর আমি আবূ হুরায়রার নিকট গেলাম। এ সময় আবূ বকর (রাঃ) ‘আবদুর রহমানের সাথে ছিলেন। ‘আবদুর রহমান এ নিয়ে আবূ হুরায়রার সঙ্গে আলোচনা করলেন। আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) বললেন, তোমার নিকট তাঁরা উভয়েই কি এ কথা বলেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, তাঁরা উভয়েই এ কথা বলেছেন। তখন আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) বললেন, বস্তুত তাঁরাই সর্বাধিক অবগত। তারপর আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) তাঁর এ কথাটিকে ফায্ল ইবনু ‘আব্বাসের প্রতি সম্পর্কিত করে বললেন, আমি এ কথাটি ফায্লের (ইবনু আব্বাস) থেকে শুনেছিলাম, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে শুনিনি। রাবী বলেন, এরপর আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) এ বিষয়ে তাঁর মত পরিবর্তন করেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি ‘আবদুল মালিককে জিজ্ঞেস করলাম, তারা রমাযানের কথা বলেছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ অনুরূপই নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইহতিলাম ব্যতিরেকেও জানাবাত অবস্থায় ভোর করতেন। এরপর সওম পালন করতেন। (ই.ফা. ২৪৫৬, ই.সে. ২৪৫৫)