৬০. অধ্যায়ঃ
ঈমান সম্পর্কে ওয়াস্ওয়াসার সৃষ্টি হওয়া এবং কারো অন্তরে যদি তা সৃষ্টি হয় তবে সে কি বলবে?
সহিহ মুসলিম : ২৪১
সহিহ মুসলিমহাদিস নম্বর ২৪১
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ مَعْرُوفٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ، - وَاللَّفْظُ لِهَارُونَ - قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يَزَالُ النَّاسُ يَتَسَاءَلُونَ حَتَّى يُقَالَ هَذَا خَلَقَ اللَّهُ الْخَلْقَ فَمَنْ خَلَقَ اللَّهَ فَمَنْ وَجَدَ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا فَلْيَقُلْ آمَنْتُ بِاللَّهِ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, মানুষের মনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে এমন প্রশ্নেরও সৃষ্টি হয় যে, এ সৃষ্টিজগত তো আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন, তাহলে আল্লাহকে সৃষ্টি করল কে? রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যার অন্তরে এমন প্রশ্নের উদয় হয় সে যেন বলে, ‘আমরা আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছি’। [৪৭] (ই.ফা. ২৪৩; ই.সে. ২৫১)
[৪৭] শাইতানের কুমন্ত্রণা হতে বাঁচার জন্য আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করতে হয়, ‘আ’উযুবিল্লাহ-হি ..... ’ পাঠ করবে এবং বলবে, (আরবী) ‘আমি আল্লাহর উপর এবং রসূলগণের উপর ঈমান এনেছি’-(মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি) । হাদীসে উল্লেখ আছে, তাহলে শাইতান নিরাশ হয়ে চলে যায়। কেননা, তার প্রতারণায় কোন ক্ষতি হলো না। যদি কারো মনে সন্দেহ আসে তবে তার আরও একটি চিকিৎসা আছে, তা হলো শাইতানকে বলবে, আল্লাহ সকলের সৃষ্টিকর্তা। তাঁর সৃষ্টিকর্তা কেউ হতে পারে না। অতএব তোমার এ ধরনের প্রশ্ন বোকামী ছাড়া আর কিছুই নয়। (সংক্ষিপ্ত নাবাবী)