২. অধ্যায়ঃ
চাঁদ দেখে সিয়াম পালন করা, চাঁদ দেখে ইফতার করা এবং মাসের প্রথম বা শেষ দিন মেঘাছন্ন থাকলে ত্রিশ দিনে মাস পুরা করা।
সহিহ মুসলিম : ২৩৮৯
সহিহ মুসলিমহাদিস নম্বর ২৩৮৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رضى الله عنهما أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَكَرَ رَمَضَانَ فَضَرَبَ بِيَدَيْهِ فَقَالَ " الشَّهْرُ هَكَذَا وَهَكَذَا وَهَكَذَا - ثُمَّ عَقَدَ إِبْهَامَهُ فِي الثَّالِثَةِ - فَصُومُوا لِرُؤْيَتِهِ وَأَفْطِرُوا لِرُؤْيَتِهِ فَإِنْ أُغْمِيَ عَلَيْكُمْ فَاقْدِرُوا لَهُ ثَلاَثِينَ " .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রমাযান সম্পর্কে আলোচনা করলেন। তিনি এক হাতের উপর অন্য হাত মেরে (ইঙ্গিত করে) বললেন, মাস এ রকম, এ রকম এবং তৃতীয়বারে বুড়ো আঙ্গুলটি বন্ধ করে হাত মারলেন (অর্থাৎ মাস ঊনত্রিশ দিনে)। তিনি পুনরায় বললেন, তোমরা চাঁদ দেখে সিয়াম পালন কর এবং চাঁদ দেখে ইফতার কর (অর্থাৎ ‘ঈদ কর)। আর যদি আকাশ মেঘে ঢাকা থাকে তাহলে মাসের ত্রিশ দিন পূর্ণ কর। [১] (ই.ফা. ২৩৬৬, ই.সে. ২৩৬৭)
[১] অর্থাৎ ২৯শে শা’বান ঝড় বৃষ্টির কারণে চাঁদ না দেখা যায় তবে শা’বান মাস ত্রিশ পূর্ণ করে পরের দিন থেকে সওম পালন শুরু করবে। অনুরূপভাবে ২৯শে রমাযানে আকাশ মেঘলা থাকার ফলে যদি চন্দ্র দৃষ্টিগোচর না হয় তবে রমাযান ৩০ পূর্ণ করে পরের দিন ‘ঈদুল ফিতর উদযাপন করবে। অধিকাংশ মুহাদ্দিস এ হাদীসের এই অর্থ করেছেন এবং অন্যান্য হাদীস ও বর্ণনা এ অর্থের পৃষ্টপোষকতা করে।