৪৬. অধ্যায়ঃ
ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য মুয়াল্লিফাতে কুলুবকে দান করা এবং দৃঢ় ঈমানের অধিকারীকে না দেয়া প্রসঙ্গে
সহিহ মুসলিম : ২৩৩১
সহিহ মুসলিমহাদিস নম্বর ২৩৩১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَرْعَرَةَ، - يَزِيدُ أَحَدُهُمَا عَلَى الآخَرِ الْحَرْفَ بَعْدَ الْحَرْفِ - قَالاَ حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ مُعَاذٍ حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْنٍ عَنْ هِشَامِ بْنِ زَيْدِ بْنِ أَنَسٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ لَمَّا كَانَ يَوْمُ حُنَيْنٍ أَقْبَلَتْ هَوَازِنُ وَغَطَفَانُ وَغَيْرُهُمْ بِذَرَارِيِّهِمْ وَنَعَمِهِمْ وَمَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَوْمَئِذٍ عَشَرَةُ آلاَفٍ وَمَعَهُ الطُّلَقَاءُ فَأَدْبَرُوا عَنْهُ حَتَّى بَقِيَ وَحْدَهُ - قَالَ - فَنَادَى يَوْمَئِذٍ نِدَاءَيْنِ لَمْ يَخْلِطْ بَيْنَهُمَا شَيْئًا - قَالَ - فَالْتَفَتَ عَنْ يَمِينِهِ فَقَالَ " يَا مَعْشَرَ الأَنْصَارِ " . فَقَالُوا لَبَّيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَبْشِرْ نَحْنُ مَعَكَ - قَالَ - ثُمَّ الْتَفَتَ عَنْ يَسَارِهِ فَقَالَ " يَا مَعْشَرَ الأَنْصَارِ " . قَالُوا لَبَّيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَبْشِرْ نَحْنُ مَعَكَ - قَالَ - وَهُوَ عَلَى بَغْلَةٍ بَيْضَاءَ فَنَزَلَ فَقَالَ أَنَا عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ . فَانْهَزَمَ الْمُشْرِكُونَ وَأَصَابَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غَنَائِمَ كَثِيرَةً فَقَسَمَ فِي الْمُهَاجِرِينَ وَالطُّلَقَاءِ وَلَمْ يُعْطِ الأَنْصَارَ شَيْئًا فَقَالَتِ الأَنْصَارُ إِذَا كَانَتِ الشِّدَّةُ فَنَحْنُ نُدْعَى وَتُعْطَى الْغَنَائِمُ غَيْرَنَا . فَبَلَغَهُ ذَلِكَ فَجَمَعَهُمْ فِي قُبَّةٍ فَقَالَ " يَا مَعْشَرَ الأَنْصَارِ مَا حَدِيثٌ بَلَغَنِي عَنْكُمْ " . فَسَكَتُوا فَقَالَ " يَا مَعْشَرَ الأَنْصَارِ أَمَا تَرْضَوْنَ أَنْ يَذْهَبَ النَّاسُ بِالدُّنْيَا وَتَذْهَبُونَ بِمُحَمَّدٍ تَحُوزُونَهُ إِلَى بُيُوتِكُمْ " . قَالُوا بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ رَضِينَا . قَالَ فَقَالَ " لَوْ سَلَكَ النَّاسُ وَادِيًا وَسَلَكَتِ الأَنْصَارُ شِعْبًا لأَخَذْتُ شِعْبَ الأَنْصَارِ " . قَالَ هِشَامٌ فَقُلْتُ يَا أَبَا حَمْزَةَ أَنْتَ شَاهِدٌ ذَاكَ قَالَ وَأَيْنَ أَغِيبُ عَنْهُ
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, হুনায়নের যুদ্ধে হাওয়াযিন, গাত্বফান ও অন্যান্য গোত্রের লোকেরা তাদের সন্তান-সন্ততি ও গবাদি পশু নিয়ে এবং নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দশ হাজারের এক বিরাট বাহিনী এবং মাক্কার তুলাক্বাদের নিয়ে সম্মুখ যুদ্ধে অবতীর্ণ হলেন। তুমুল যুদ্ধের মুখে এরা সবাই পিছে হটে গেল এবং (নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একা যুদ্ধ ক্ষেত্রে রয়ে গেলেন। সেদিন তিনি দু’টি ডাক দিলেন কিন্তু এর মাঝখানে কোন কথা বলেননি। প্রথমে তিনি ডান দিকে ফিরে ডাক দিয়ে বললেনঃ “হে আনসার সম্প্রদায়”! তারা তাকে সাড়া দিয়ে বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমরা আপনার সাথেই আছি- আপনি এ সুসংবাদ গ্রহণ করুন। অতঃপর তিনি বাম দিকে ফিরে পুনরায় ডেকে বললেনঃ হে আনসার সম্প্রদায়! তারা ডাকে সাড়া দিয়ে বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমরা আপনার সাথেই আছি, আপনি সুসংবাদ গ্রহণ করুন। বর্ণনাকারী বলেন, এ সময় তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাদা বর্ণের একটি খচ্চরের পিঠে উপবিষ্ট ছিলেন। অতঃপর তিনি নীচে নেমে এসে বললেন, “আমি আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রসূল! মুশরিকরা পরাজিত হলো, গনীমাতের অনেক মাল রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হস্তগত হলো। তিনি এসব মাল মুহাজির ও তুলাক্বাদের মধ্যে বন্টন করে দিলেন। তিনি আনসারদের এ থেকে কিছুই দিলেন না। এতে অসন্তুষ্ট হয়ে আনসারগণ বললেন, “বিপদের সময় আমাদের ডাকা হয়, আর গনীমাত বন্টনের সময় মজা লুটে অন্যরা। তাঁদের এ উক্তি তাঁর কানে গিয়ে পৌঁছল। তিনি তাদেরকে একটি তাঁবুর নীচে একত্র করে বললেন, হে আনসার সম্প্রদায়! তোমাদের পক্ষ থেকে কী কথা আমার কাছে পৌঁছেছে? তাঁরা সবাই নীরব হয়ে গেলেন। তিনি বলেন, হে আনসার সম্প্রদায়! তোমরা কি এতে খুশী নও যে, অন্যান্য লোক দুনিয়া নিয়ে ঘরে ফিরবে আর তোমরা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সঙ্গে নিয়ে ফিরবে? তারা (উত্তরে) বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমরা এতে খুশী আছি। রাবী বলেন, অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, “যদি অন্য লোকেরা এক গিরিপথের দিকে যায় আর আনসারগণ অন্য গিরিপথে চলে তাহলে আমি আনসারদের পথই আনুসরণ করব। বর্ণনাকারী হিশাম বলেন, “আমি আনসারকে জিজ্ঞেস করলাম, হে আবূ হামযাহ্! আপনি কি তখন উপস্থিত ছিলেন! তিনি বললেন, আমি তাঁকে ছেড়ে কোথায় যাব?” (ই.ফা. ২৩০৯, ই.সে. ২৩১০)