৩. অধ্যায়ঃ
ঝঞ্ঝাবায়ু ও মেঘ দেখে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা আর বৃষ্টি বর্ষনে খুশি হওয়া
সহিহ মুসলিম : ১৯৭০
সহিহ মুসলিমহাদিস নম্বর ১৯৭০
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ جُرَيْجٍ، يُحَدِّثُنَا عَنْ عَطَاءِ، بْنِ أَبِي رَبَاحٍ عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا عَصَفَتِ الرِّيحُ قَالَ " اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا وَخَيْرَ مَا فِيهَا وَخَيْرَ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ مَا فِيهَا وَشَرِّ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ " . قَالَتْ وَإِذَا تَخَيَّلَتِ السَّمَاءُ تَغَيَّرَ لَوْنُهُ وَخَرَجَ وَدَخَلَ وَأَقْبَلَ وَأَدْبَرَ فَإِذَا مَطَرَتْ سُرِّيَ عَنْهُ فَعَرَفْتُ ذَلِكَ فِي وَجْهِهِ . قَالَتْ عَائِشَةُ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ " لَعَلَّهُ يَا عَائِشَةُ كَمَا قَالَ قَوْمُ عَادٍ { فَلَمَّا رَأَوْهُ عَارِضًا مُسْتَقْبِلَ أَوْدِيَتِهِمْ قَالُوا هَذَا عَارِضٌ مُمْطِرُنَا} " .
আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
যখন বাতাস প্রবল আকার ধারণ করত, তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এভাবে দু‘আ করতেন : “আল্ল-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকা খয়রাহা- ওয়া খয়রা মা- ফীহা- ওয়া খয়রা মা- উর্সিলাত বিহী, ওয়া আ’ঊযুবিকা মিন্ শার্রিহা- ওয়া শার্রি মা- ফীহা- ওয়া শার্রি মা- উর্সিলাত বিহী”- (অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে মেঘের কল্যাণ কামনা করছি ও এর মধ্যে যে কল্যাণ নিহিত আছে এবং যে কল্যাণের সাথে প্রেরিত হয়েছে তাও এবং তোমার কাছে এর অকল্যাণ ও এর মধ্যে যে অকল্যাণ নিহিত আছে এবং যে অকল্যাণ নিয়ে এসেছে তা থেকে আশ্রয় চাই।) ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, যখন আসমানে মেঘ বিদ্যুৎ ছেয়ে যেত তাঁর চেহারা বিবর্ণ হয়ে যেত এবং তিনি ভিতরে বাইরে আগে পিছনে ইতস্ততঃ চলাফেরা শুরু করে দিতেন। এরপর যখন বৃষ্টি হতো তাঁর এ অবস্থা দূর হয়ে যেত। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেনঃ এ অবস্থা বুঝতে পেরে আমি তাঁকে এর কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলতেন, হে ‘আয়িশাহ্ ! আমার আশঙ্কা এরূপ হয় নাকি যেরূপ ‘আদ সম্প্রদায় বলেছিল। যেমন কুরআনে উদ্ধৃত হয়েছে, “যখন তারা এটাকে তাদের প্রান্তর অভিমুখে মেঘের আকারে এগিয়ে আসতে দেখল, তারা বলল, এ মেঘ আমারে ওপর বৃষ্টি বর্ষাবে (পক্ষান্তরে তা ছিল আসমানী গজব)”- (সূরাহ্ আল আহ্ক্বা-ফ ৪৬:২৪)। (ই.ফা. ১৯৫৫, ই.সে. ১৯৬২)