পরিচ্ছেদঃ
ফজর ও আসরের নামাযের ফযীলত
হাদিস সম্ভার : ৬৪৮
হাদিস সম্ভারহাদিস নম্বর ৬৪৮
وَعَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم يَتَعَاقَبُونَ فِيكُمْ مَلاَئِكَةٌ بِاللَّيْلِ وَمَلاَئِكَةٌ بِالنَّهَارِ وَيجْتَمِعُونَ فِي صَلاَةِ الصُّبْحِ وَصَلاَةِ العَصْرِ ثُمَّ يَعْرُجُ الَّذِينَ بَاتُوا فِيكُمْ فَيَسْأَلُهُمُ اللهُ ـ وَهُوَ أعْلَمُ بِهِمْ ـ كَيْفَ تَرَكْتُمْ عِبَادي ؟ فَيَقُوْلونَ : تَرَكْنَاهُمْ وَهُمْ يُصَلُّونَ وَأتَيْنَاهُمْ وَهُمْ يُصَلُّونَ متفقٌ عَلَيْهِ
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “তোমাদের নিকট দিবারাত্রি ফিরিশুাবর্গ পালাক্রমে যাতায়াত করতে থাকেন। আর ফজর ও আসরের নামাযে তাঁরা একত্রিত হন। অতঃপর যারা তোমাদের কাছে রাত কাটিয়েছেন, তাঁরা ঊর্ধ্বে (আকাশে) চলে যান। অতঃপর আল্লাহ তাআলা তাঁদেরকে জিজ্ঞাসা করেন---অথচ তিনি তাদের সম্পর্কে ভালভাবে পরিজ্ঞাত, ‘তোমরা আমার বান্দাদেরকে কী অবস্থায় ছেড়ে এসেছ?’ তাঁরা বলেন, ‘আমরা যখন তাদেরকে ছেড়ে এসেছি, তখন তারা নামাযে প্রবৃত্ত ছিল। আর যখন আমরা তাদের নিকট গিয়েছিলাম, তখনও তারা নামাযে প্রবৃত্ত ছিল।” (বুখারী ৫৫৫নং, মুসলিম ১৪৬৪নং, নাসাঈ ৪৮৫, আহমাদ ৭৪৯১, ইবনে খু্যাইমা ৩২১নং)অন্য বর্ণনায় আছে, “ফজর ও আসরের নামাযে রাত্রি ও দিনের ফিরিশুা একত্রিত হন। ফজরের সময় একত্রিত হয়ে রাতের ফিরিশুা উঠে যান এবং দিনের ফিরিশুা থেকে যান। অনুরূপ আসরের নামাযে একত্রিত হয়ে দিনের ফিরিশুা উঠে যান এবং রাতের ফিরিশুা থেকে যান। তাঁদের প্রতিপালক তাঁদেরকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘তোমরা আমার বান্দাদেরকে কি অবস্থায় ছেড়ে এলে?’ তাঁরা বলেন, “আমরা তাদের কাছে গেলাম, তখন তারা নামায পড়ছিল এবং তাদের কাছ থেকে এলাম, তখনও তার নামায পড়ছিল, সুতরাং কিয়ামতের দিন তাদেরকে মাফ ক’রে দিন৷” (আহমাদ ৯১৪০নং, ইবনে খুযাইমা ১/১৬৫, ইবনে হিব্বান)