পরিচ্ছেদঃ

১ থেকে ১০০ নং হাদিস

জাল জয়িফ হাদিস সিরিজহাদিস নম্বর ৭৯

বর্ণনাকারী হতে বর্ণিতঃ

কোন ব্যক্তির তার ভাইয়ের উচ্ছিষ্ট হতে পান করা নম্রতার অন্তর্ভূক্ত। যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের উচ্ছিষ্ট হতে আল্লাহর সন্তুষ্টি প্রাপ্তির লক্ষ্যে পান করবে, তার মর্যাদা সত্তর গুন বৃদ্ধি করা হবে এবং তার সত্তরটি গুনাহ্ (অপরাধ) মোচন করে দেয়া হবে এবং তার জন্য সত্তরটি মর্যাদা লিখা হবে।হাদীসটি জাল।ইবনুল জাওযী “আল-মাওযু’আত” গ্রন্থে (৩/৪০) দারাকুতনীর বর্ণনায় নূহ ইবনু মারইয়াম সূত্রে ..... উল্লেখ করেছেন। অতঃপর তিনি বলেছেনঃ নূহ এককভাবে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন, তিনি মাতরূক।কিন্তু সুয়ূতী “আল-লাআলিল মাসনূ‘য়াহ” গ্রন্থে (২/২৫৯) তার সমালোচনা করে বলেছেনঃএটির মুতাবা‘য়াত পাওয়া যায়। কিন্তু ইসমাঈলী তার “আল-মু‘জাম” গ্রন্থে (২/১২৩) এমন এক সনদে বর্ণনা করেছেন, যার মধ্যে ইবরাহীম ইবনু আহমাদ আল-বালখী এবং হাসান ইবনু রাশীদ আল-মারওয়াযী নামক দুই বর্ণনাকারী রয়েছেন। আমি (আলবানী) বলছিঃ এ হাসান মুনকারুল হাদীস।ইবনু হাজার আসকালানীর “আল-লিসান” গ্রন্থে এসেছে : উকায়লী বলেনঃ তার হাদীসে সন্দেহ রয়েছে। তিনি মুনকার হাদীস বর্ণনা করতেন। অতঃপর ইবনু আব্বাস (রাঃ)-এর সেই হাদীসটি উল্লেখ করেছেন যেটিকে ইবনু আবী হাতিম মুনকার বলেছেন। তিনি আরো বলেছেনঃ হাদীসটি বাতিল, তার কোন ভিত্তি নেই।আবূ বাক্‌র আল-ইসমাঈলী বলেনঃ ইব্‌রাহীম ইবনু আহমাদ আল-বালখী ও হাসান ইবনু রাশীদ আল-মারওয়াযী তারা উভয়েই মাজহূল (অপরিচিত)।অতএব, সুয়ূতীর পক্ষ হতে সমর্থন সূচক হাদীস রয়েছে এ দাবীকরণ সঠিক নয়। কারণ সেটিও সহীহ নয়।আমি (আলবানী) বলছিঃ এ নূহ ছিলেন জ্ঞানীদের একজন। আবু হানীফা (রহঃ)-এর ফিকাহ জমা করার কারণে আল-জামে’ নামে তার নামকরণ করা হয়। কিন্তু হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন একজন মিথ্যার দোষে দোষী ব্যক্তি। তার সম্পর্কে আবূ আলী নাইসাপূরী বলেনঃ(আরবি) তিনি ছিলেন একজন মিথ্যুক।আবূ সা‘ঈদ আল-নাক্কাশ বলেনঃ তিনি জাল হাদীস বণনা করেছেন।তার সম্পর্কে হাকীম বলেনঃ সত্যবাদিতা ব্যতীত তাকে সব কিছু দান করা হয়েছিল। আল্লাহর নিকট তার পদঙ্খলনের জন্য আশ্রয় প্রার্থনা করছি।ইবনু হিব্বানও অনুরূপ কথা বলেছেন।হাফিয বুরহান উদ্দিন হালাবী “কাশফুল হাদীস” গ্রন্থে তাকে হাদীস জালকারীদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন।এছাড়া হাদীসটির আরো একটি সম্যসা আছে, তা হচ্ছে ইবনু যুবায়েজ কর্তৃক তাদলীস। তিনি একজন সম্মানিত ব্যক্তি হওয়া সত্ত্বেও মুদাল্লিস ছিলেন।ইমাম আহমাদ বলেনঃ কিছু কিছু জাল হাদীসকে ইবনু যুরায়েজ মুরসাল হিসাবে চালিয়ে দিতেন। তিনি কোথা হতে হাদীসটি গ্রহণ করেছেন এ ব্যাপারে বে-পরওয়া ছিলেন। যাহাবীর “আল-মীযান” গ্রন্থে এমনটিই এসেছে।দারাকুতনী বলেনঃ ইবনু যুরায়েজের তাদলীস (শাইখকে গোপন করা) হতে বেঁচে থাকুন। তিনি জঘন্যতম তাদলীস করতেন। তিনি তাদলীস করতেন একমাত্র ঐ ব্যক্তি হতে যিনি দোষনীয়।“আত-তাহযীব” গ্রন্থে ও অনূরূপ বলা হয়েছে।

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন