পরিচ্ছেদঃ
১ থেকে ১০০ নং হাদিস
জাল জয়িফ হাদিস সিরিজ : ৭০
জাল জয়িফ হাদিস সিরিজহাদিস নম্বর ৭০
বর্ণনাকারী হতে বর্ণিতঃ
যে ব্যক্তি তার কোন ভাইকে পরিতৃপ্ত না হওয়া পর্যন্ত রুটি খাওয়াবে। তৃষ্ণা না মেটা পর্যন্ত পানি পান করাবে। তাকে আল্লাহ্ সাত খন্দক সমপরিমাণ জাহান্নাম হতে দূরে সরিয়ে দিবেন। দু’খন্দকের মধ্যের দূরত্ব হবে পাঁচশত বছরের চলার পথের সমপরিমাণ।হাদীসটি জাল।হাদীসটি দুলাবী “আল-কুনা” গ্রন্থে (১/১১৭), ইয়াকূব আল-ফুসাবী “আত-তারীখ” গ্রন্থে (২/৫২৭), ইবনু আবী হাকাম “ফতূহে মিসর” গ্রন্থে (পৃ:২৫৪), হাকিম (৪/১২৯), তাবারানী “আল-আওসাত” গ্রন্থে (১/৯৫/১) ও ইবনু আসাকির (৬/১১৫/২) ইদরীস ইবনু ইয়াহ্ইয়া খাওলানী সূত্রে ...বর্ণনা করেছেন। এ সনদে রাজা ইবনু আবী আতা নামক এক বর্ণনাকারী রয়েছেন।হাকিম হাদীসটি সম্পর্কে বলেন : সহীহ! আর তার সাথে সুর মিলিয়েছেন হাফিয যাহাবী!এটি তাদের দু’জনের মারাত্মক ভুল। কারণ এ রাজাকে কেউ নির্ভরশীল বলেননি, বরং তিনি একজন মিথ্যার দোষে দোষী ব্যক্তি।শুনুন স্বয়ং হাকিম নিজে তার সম্পর্কে কি বলেছেন, যাহাবী নিজেই যা “আল-মীযান” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন।নিজে তাকে কিঞ্চিৎ ভাল বলার পর বলেছেন, হাকিম বলেন : তিনি মিসরী-জাল হাদীসের হোতা।ইবনু হিব্বান বলেন : তিনি জাল হাদীস বর্ণনাকারী। অতঃপর এ হাদীসটি মিসরীদের সূত্রে উল্লেখ করেছেন।ইবনুল জাওযী তার “আল-মাওযূ’আত” গ্রন্থে (২/১৭২) হাদীসটি উল্লেখ করেছেন। সুয়ূতী “আল-লাআলী” গ্রন্থে (২/৮৭) তা সমর্থন করেছেন।হাফিয ইবনু হাজার “লিসানুল মীযান” গ্রন্থে বলেছেন যে, হাদীসটি ইবনু হিব্বান বর্ণনা করেছেন। অতঃপর বলেছেন : এটি জাল। হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করে বলেছেন : হাদীসটির সনদ সহীহ্। আবার তিনি নিজেই তার বর্ণনাকারী (রাজা) সম্পর্কে বলেছেন : তিনি জালের হোতা।মোটকথা হাদীসটি জাল (বানোয়াট) এটিই সঠিক।