পরিচ্ছেদঃ
১ থেকে ১০০ নং হাদিস
জাল জয়িফ হাদিস সিরিজ : ৫৬
জাল জয়িফ হাদিস সিরিজহাদিস নম্বর ৫৬
বর্ণনাকারী হতে বর্ণিতঃ
যদি নারী জাতি না থাকত, তাহলে সত্যিই আল্লাহর ইবাদত করা হত।হাদীসটি জাল।এটির দু’টি সূত্রে বর্ণিত হয়েছেঃপ্রথম সূত্রটিতে বর্ণনাকারী আব্দুর রহীম ইবনু যায়েদ আল-‘আমী রয়েছেন। তিনি তার পিতা যায়েদ হতে…বর্ণনা করেছেন।ইবনু আদী হাদীসটি (কাফ ১/১৩২) উল্লেখ করে বলেছেনঃহাদীসটি মুনকার। এ সূত্র ছাড়া অন্য কোন সূত্রে হাদীসটি চিনি না। নির্ভর যোগ্য বর্ণনা কারীগণ আব্দুর রহীম ইবনু যায়েদ আল-‘আমীর কোন হাদীসকে সমর্থন করেননি।আমি (আলবানী) বলছিঃ ইমাম বুখারী তার সম্পর্কে বলেনঃ (আরবী) মুহাদ্দিসগণ তাকে গ্রহণ করেননি।ইবনু মা’ঈন বলেনঃ তিনি একজন মিথ্যুক, খবীস।আবূ হাতিম বলেনঃ তার হাদীস ছেড়ে দেয়া উচিত, তিনি মুনকারুল হাদীস। তিনি তার পিতাকে দোষী করতেন। তার থেকে তিনি মহাবিপদ বর্ণনা করেছেন।আমি (আলবনী) বলছিঃ তার পিতা যায়েদ দুর্বল।ইবনুল জাওযী হাদীসটি তার “আল-মাওযূ’আত” গ্রন্থে (২/২৫৫) ইবনু আদীর সূত্রে বর্ণনা করে বলেছেনঃ এর কোন ভিত্তি নেই। আব্দুর রহীম ও তার পিতা উভয়েই মাতরূক।সুয়ূতী ইবনুল জাওযীর সমালোচনা করে “আল-লাআলী” গ্রন্থে (১/১৫৯) বলেছেনঃ এটির শাহেদ রয়েছে, কিন্তু তার এ সমালোচনা যথার্থ নয়। কারণ এর শাহেদ হিসাবে যে হাদীসটি উপস্থাপন করা হচ্ছে সেটি আলোচ্য হাদীসটির চেয়ে উত্তম নয়। হাদীসটি নিম্নরূপঃ (আরবি)‘নারীরা যদি না থাকত, তাহলে পুরুষরা জান্নাতে প্রবেশ করত।’কারণ এটির সনদে বিশ্র ইবনু হুসাইন নামক একজন বর্ণনাকারী আছেন। তিনি মাতরূক, মিথ্যা বলতেন।“মুসনাদুল ফিরদাউস” গ্রন্থে হাদীসটির ভাষা এসেছে,(আরবি) ‘যদি নারী জাতি না থাকত তাহলে যথাযথ আল্লাহর ইবাদত করা হতো।’ সুয়ূতী বিশ্র সম্পর্কে বলতে গিয়ে শুধুমাত্র বলেছেনঃ তিনি মাতরূক।এ জন্য তার সমালোচনা করে ইবনু ইরাক “তানযীহুশ শারী’য়াহ” গ্রন্থে (২/২০৪) বলেছেনঃ “(আরবী) বরং তিনি মিথ্যুক, জালকারী, তার হাদীস অন্য হাদীসের সমর্থনে শাহেদ হবার যোগ্য নয়।’এ বিশ্র সম্পর্কে ২৮ নং হাদীসে আলোচনা করা হয়েছে।