পরিচ্ছেদঃ
১ থেকে ১০০ নং হাদিস
জাল জয়িফ হাদিস সিরিজ : ২৬
জাল জয়িফ হাদিস সিরিজহাদিস নম্বর ২৬
বর্ণনাকারী হতে বর্ণিতঃ
ধর্মীয় চেতনা আচ্ছাদিত করবে আমার উম্মাতের উত্তম উত্তম ব্যক্তিগণকে।হাদীসটি দুর্বল।হাদীসটি তাবারানী (৩/১১৮/১, ১/১২৩), ইবনু আদী (১/১৬৩) ও মুখাল্লেস ”আল-ফাওয়াইদুল মুনতাকাত” গ্রন্থে (৬/৪৪/২) সালামুত তাবীল সূত্রে ফযল ইবনু আতিয়া হতে ... বর্ণনা করেছেন।বাগাবী বলেনঃ হাদীসটি মুনকার। সালামুত তাবীল হাদীসের ক্ষেত্রে নিতান্তই দুর্বল বর্ণনাকারী।ইবনুল জাওযী বলেনঃ সালামুত তাবীল মাতরূক [অগ্রহণযোগ্য] এবং ফযল ইবনু আতিয়াও তার ন্যায়।আমি (আলবানী) বলছিঃ ফযল ইবনু আতিয়া যদিও দুর্বল তবুও তাকে হাদীস জাল করার মত দোষ দেয়া যায় না। তবে সালামুত তাবীল তার বিপরীত। কারণ তাকে মিথ্যুক ও জালকারী হিসাবে একাধিক ব্যক্তি দোষী করেছেন।হ্যাঁ তার একটি মুতাবা’য়াত পাওয়া যায় মুহাম্মাদ ইবনু ফযল হতে, যেটি আবূ নু’য়াইম ”আখবারু আসবাহান” গ্রন্থে (২/৬১) ও আল-খাতীব তার ”আত-তারীখ” গ্রন্থে (১৪/৭৩) বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এ মুহাম্মাদ ইবনুল ফযলও মিথ্যুক। তার মুতাবা’য়াত দ্বারা খুশি হওয়ার কিছু নেই। কারণ তাকে ইবনু মা’ঈন, ফাল্লাস ও অন্যরা মিথ্যুক বলেছেন। [মুতাবা’আতের অর্থ জানার জন্য ৫৭ পৃষ্ঠা দেখুন ]।তা সত্ত্বেও হাদীসটি জাল এরূপ হুকুম লাগানো যাচ্ছে না। কারণ এর শাহেদ অন্য সনদে মিলছে, যার অবস্থা এটির চেয়ে উত্তম। সেটি হাসান ইবনু সুফিয়ান তার ”মুসনাদ” গ্রন্থে, বিশ্র ইবনু মাতার তার ”হাদীস” গ্রন্থে (৩/৮৯/১), ইবনু মান্দা ”মা’রিফাতুস সাহাবা” গ্রন্থে (২/২৬৪/২), আবূ নু’য়াইম ”আখবারু আসবাহান” গ্রন্থে (২/৭) ও আল-খাতীব ”আল-মুওয়াযি্যহ” গ্রন্থে (২/৫০) দূরায়েদ ইবনু নাফির সূত্রে আবূ মানসূর আল ফারেসী হতে বর্ণনা করেছেন।এ সনদটিও দুর্বল। কারণ আবূ মানসূর সম্পর্কে ইমাম বুখারী বলেনঃ তার হাদীস মুরসাল।আলোচ্য হাদীসটি বিভিন্ন ভাষায় ও সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। কিন্ত সেগুলোর কোনটিই মিথ্যুক হতে খালী নয়। নিম্নে সেগুলোর তিনটি উল্লেখ করা হলোঃ