৪৩২.
অনুচ্ছেদঃ একজন অপরজনের মাথার উকুন বেছে দিবে কি?
আদাবুল মুফরাদ : ৯৬২
আদাবুল মুফরাদহাদিস নম্বর ৯৬২
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: حَدَّثَنَا الْمُغِيرَةُ بْنُ سَلَمَةَ أَبُو هِشَامٍ الْمَخْزُومِيُّ - وَكَانَ ثِقَةً - قَالَ: حَدَّثَنَا الصَّعْقُ بْنُ حَزْنٍ قَالَ: حَدَّثَنِي الْقَاسِمُ بْنُ مُطَيَّبٍ، عَنِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ، عَنْ قَيْسِ بْنِ عَاصِمٍ السَّعْدِيِّ قَالَ: أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «هَذَا سَيِّدُ أَهْلِ الْوَبَرِ» ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا الْمَالُ الَّذِي لَيْسَ عَلَيَّ فِيهِ تَبِعَةٌ مِنْ طَالِبٍ، وَلَا مِنْ ضَيْفٍ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «نِعْمَ الْمَالُ أَرْبَعُونَ، وَالْأَكْثَرُ سِتُّونَ، وَوَيْلٌ لِأَصْحَابِ الْمِئِينَ إِلَّا مَنْ أَعْطَى الْكَرِيمَةَ، وَمَنَحَ [ص: 329] الْغَزِيرَةَ، وَنَحَرَ السَّمِينَةَ، فَأَكَلَ وَأَطْعَمَ الْقَانِعَ وَالْمُعْتَرَّ» ، قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا أَكْرَمُ هَذِهِ الْأَخْلَاقِ، لَا يُحَلُّ بِوَادٍ أَنَا فِيهِ مِنْ كَثْرَةِ نَعَمِي؟ فَقَالَ: «كَيْفَ تَصْنَعُ بِالْعَطِيَّةِ؟» قُلْتُ: أُعْطِي الْبِكْرَ، وَأُعْطِي النَّابَ، قَالَ: «كَيْفَ تَصْنَعُ فِي الْمَنِيحَةِ؟» قَالَ: إِنِّي لَأَمْنَحُ النَّاقَةَ، قَالَ: «كَيْفَ تَصْنَعُ فِي الطَّرُوقَةِ؟» قَالَ: يَغْدُو النَّاسُ بِحِبَالِهِمْ، وَلَا يُوزَعُ رَجُلٌ مِنْ جَمَلٍ يَخْتَطِمُهُ، فَيُمْسِكُهُ مَا بَدَا لَهُ، حَتَّى يَكُونَ هُوَ يَرُدَّهُ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فَمَالُكَ أَحَبُّ إِلَيْكَ أَمْ مَالُ مَوَالِيكَ؟» قَالَ: مَالِي، قَالَ: «فَإِنَّمَا لَكَ مِنْ مَالِكَ مَا أَكَلْتَ فَأَفْنَيْتَ، أَوْ أَعْطَيْتَ فَأَمْضَيْتَ، وَسَائِرُهُ لِمَوَالِيكَ» ، فَقُلْتُ: لَا جَرَمَ، لَئِنْ رَجَعْتُ لَأُقِلَّنَّ عَدَدَهَا فَلَمَّا حَضَرَهُ الْمَوْتُ جَمَعَ بَنِيهِ فَقَالَ: يَا بَنِيَّ، خُذُوا عَنِّي، فَإِنَّكُمْ لَنْ تَأْخُذُوا عَنْ أَحَدٍ هُوَ أَنْصَحُ لَكُمْ مِنِّي: لَا تَنُوحُوا عَلَيَّ، فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يُنَحْ عَلَيْهِ، وَقَدْ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْهَى عَنِ النِّيَاحَةِ، وَكَفِّنُونِي فِي ثِيَابِي الَّتِي كُنْتُ أُصَلِّي فِيهَا، وَسَوِّدُوا أَكَابِرَكُمْ، فَإِنَّكُمْ إِذَا سَوَّدْتُمْ أَكَابِرَكُمْ لَمْ يَزَلْ لِأَبِيكُمْ فِيكُمْ خَلِيفَةٌ، وَإِذَا سَوَّدْتُمْ أَصَاغِرَكُمْ هَانَ أَكَابِرُكُمْ عَلَى النَّاسِ، وزهدوا فيكم وَأَصْلِحُوا عَيْشَكُمْ، فَإِنَّ فِيهِ غِنًى عَنْ طَلَبِ النَّاسِ، وَإِيَّاكُمْ وَالْمَسْأَلَةَ، فَإِنَّهَا آخِرُ كَسْبِ الْمَرْءِ، وَإِذَا دَفَنْتُمُونِي فَسَوُّوا عَلَيَّ قَبْرِي، فَإِنَّهُ كَانَ يَكُونُ شَيْءٌ بَيْنِي وَبَيْنَ هَذَا الْحَيِّ مِنْ بَكْرِ بْنِ وَائِلٍ: خُمَاشَاتٌ، فَلَا آمَنُ سَفِيهًا أَنْ يَأْتِيَ أَمْرًا يُدْخِلُ عَلَيْكُمْ عَيْبًا فِي دِينِكُمْ. قَالَ عَلِيٌّ: فَذَاكَرْتُ أَبَا النُّعْمَانِ مُحَمَّدَ بْنَ الْفَضْلِ، فَقَالَ: أَتَيْتُ الصَّعْقَ بْنَ حَزْنٍ فِي هَذَا الْحَدِيثِ، فَحَدَّثَنَا عَنِ الْحَسَنِ، فَقِيلَ لَهُ: عَنِ الْحَسَنِ؟ قَالَ: لَا، يُونُسُ بْنُ عُبَيْدٍ، عَنِ الْحَسَنِ، قِيلَ لَهُ: سَمِعْتَهُ مِنْ يُونُسَ؟ قَالَ: لَا، حَدَّثَنِي الْقَاسِمُ [ص: 330] بْنُ مُطَيَّبٍ، عَنْ يُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ قَيْسٍ، فَقُلْتُ لِأَبِي النُّعْمَانِ: فَلِمَ تَحْمِلُهُ؟ قَالَ: لَا، ضَيَّعْنَاهُ
কায়েস ইবনে আসেম আস-সাদী (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হলে তিনি বলেনঃ সে হলো তাঁবুবাসীদের নেতা। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার কি পরিমাণ মাল থাকলে আমার উপর যাঞ্চাকারী বা মেহমানের কোন দায়দায়িত্ব থাকে না? রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ চল্লিশটি (পশু সংখ্যা) উত্তম, আর উর্ধ্বতন সংখ্যা ষাট। আর দুই শতের মালিকদের তো বিপদ। তবে যে ব্যক্তি উঠতি বয়সের উট দান করে, দুধ পানের জন্য কাউকে উস্ত্রী ধার দেয় এবং মোটাতাজা উট যবেহ করে নিজেও আহার করে এবং অভাবী ভদ্রলোক ও যাঞ্চাকারীদেরও আহার করায় (তার ভয়ের কোন কারণ নাইবনে মাজাহ)। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তা তো অতি উত্তম স্বভাব। কিন্তু আমি যে উপত্যকায় বাস করি সেখানে আমার পশুর প্রাচুর্যের বিচারে এটা তো মামুলি ব্যাপার। তিনি জিজ্ঞেস করেনঃ তুমি কিরূপ দান-খয়রাত করো? আমি বললাম, উঠতি বয়সের উষ্ট্রীও দান করে থাকি। তিনি বলেনঃ তুমি কিভাবে দুধ পানের জন্য উষ্ট্রী ধার দিয়ে থাকো? আমি বললাম, আমি শত সংখ্যক দান করি। তিনি পুনরায় জিজ্ঞেস করেনঃ প্রজননের ব্যাপারে তুমি কি করো? আমি বললাম, লোকজন তাদের গর্ভ গ্রহণকারিনী উষ্ট্রী নিয়ে আসে এবং আমার উট পালের মধ্যকার যে উটটিকে প্ররোচিত করতে পারে, তা সাথে নিয়ে যায় এবং তার প্রয়োজন মাফিক তা তার কাছে রেখে দেয়। প্রয়োজন শেষে সে তা ফেরত দিয়ে যায়। নবী (সাঃ) বলেনঃ তোমার নিজের মাল তোমার অধিক প্রিয় নাকি তোমার ওয়ারিসদের মাল? রাবী বলেন, আমার মাল। তিনি বলেনঃ তোমার মাল তাই যা তুমি নিজে পানাহার করে শেষ করেছে অথবা কাউকে (আল্লাহর পথে) দান করেছো। তাছাড়া অবশিষ্টটুকু তোমার ওয়ারিসদের মাল। আমি বললাম, এবার ফিরে গিয়ে অবশ্যই উটের সংখ্যা কমিয়ে ফেলবো। অতঃপর তার মৃত্যুর সময় আসন্ন হলে তিনি তার পুত্রদের ডেকে একত্র করেন এবং বলেন, হে পুত্ৰগণ! তোমরা আমার উপদেশ শোনো। কেননা তোমাদের জন্য আমার উপদেশের চেয়ে অধিক কল্যাণকামী উপদেশদাতা আর কাউকে পাবে না। আমার মৃত্যুর পর আমার জন্য বিলাপ করো না। কেননা রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর ইন্তিকালের পর তাঁর জন্য বিলাপ করা হয়নি। আমি নবী (সাঃ)-কে “বিলাপ করতে নিষেধ করতে শুনেছি”। আর আমার নামায পড়ার বস্ত্র দ্বারা আমার কাফন দিবে। তোমরা তোমাদের মধ্যকার প্রবীণদের নেতা নির্বাচিত করবে। কেননা যাবৎ তোমরা তোমাদের প্রবীণদের নেতা বানাবে তোমাদের পিতৃপুরুষের প্রতিনিধিত্ব তোমাদের মধ্যে বিদ্যমান থাকবে। আর যখন তোমরা তোমাদের মধ্যকার যুবকদের তোমাদের নেতা নির্বাচিত করবে, তখন লোক সমক্ষে তোমাদের পিতৃপুরুষের অবমাননা হবে। তোমাদের মধ্যে কৃচ্ছসাধনার প্রেরণা যোগাবে। তোমাদের জীবনযাত্রাকে সমুন্নত করো। কেননা তাতে অন্যের দ্বারস্থ হতে হয় না। তোমরা ভিক্ষাবৃত্তি থেকে অবশ্যই বিরত থাকবে। কেননা তা হচ্ছে সর্বশেষ নিকৃষ্টতর পেশা। যখন তোমরা আমাকে দাফন করবে তখন আমার কবর মাটির সাথে সমান করে দিবে। কেননা আমার এবং ঐ পার্শ্ববতী জনপদে বসবাসরত বাকর ইবনে ওয়াইল গোত্রের মধ্যে প্রায়ই বিবাদ হতো। পাছে তাদের মধ্যকার কোন নিবোধ ব্যক্তি এমন কোন কর্ম করে বসে যার প্রতিশোধ গ্রহণ তোমাদের বেলায় তোমাদের দীন-ধর্মের জন্য অনিষ্টকর হবে। (হাকিম, ইবনে হিব্বান, আহমাদ, তাবারানী, ইস্তীআব)