২৬৬.
অনুচ্ছেদঃ কাজেকর্মে তাড়াহুড়া বৰ্জনীয়।
আদাবুল মুফরাদ : ৫৮৬
আদাবুল মুফরাদহাদিস নম্বর ৫৮৬
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو هِلَالٍ قَالَ: حَدَّثَنَا الْحَسَنُ، أَنَّ رَجُلًا تُوُفِّيَ وَتَرَكَ ابْنًا لَهُ وَمَوْلًى لَهُ، فَأَوْصَى مَوْلَاهُ بِابْنِهِ، فَلَمْ يَأْلُوهُ حَتَّى أَدْرَكَ وَزَوَّجَهُ، فَقَالَ لَهُ: جَهَّزْنِي أَطْلُبِ الْعِلْمَ، فَجَهَّزَهُ، فَأَتَى عَالِمًا فَسَأَلَهُ، فَقَالَ: إِذَا أَرَدْتَ أَنْ تَنْطَلِقَ فَقُلْ لِي أُعَلِّمْكَ، فَقَالَ: حَضَرَ مِنِّي الْخُرُوجُ فَعَلِّمْنِي، فَقَالَ: اتَّقِ اللَّهَ وَاصْبِرْ، وَلَا تَسْتَعْجِلْ. قَالَ الْحَسَنُ: فِي هَذَا الْخَيْرُ كُلُّهُ - فَجَاءَ وَلَا يَكَادُ يَنْسَاهُنَّ، إِنَّمَا هُنَّ ثَلَاثٌ - فَلَمَّا جَاءَ أَهْلَهُ نَزَلَ عَنْ رَاحِلَتِهِ، فَلَمَّا نَزَلَ الدَّارَ إِذَا هُوَ بِرَجُلٍ نَائِمٍ مُتَرَاخٍ عَنِ الْمَرْأَةِ، وَإِذَا امْرَأَتُهُ نَائِمَةٌ، قَالَ: وَاللَّهِ مَا أُرِيدُ مَا أَنْتَظِرُ بِهَذَا؟ فَرَجَعَ إِلَى رَاحِلَتِهِ، فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يَأْخُذَ السَّيْفَ قَالَ: اتَّقِ اللَّهَ وَاصْبِرْ، وَلَا تَسْتَعْجِلْ. فَرَجَعَ، فَلَمَّا قَامَ عَلَى رَأْسِهِ قَالَ: مَا أَنْتَظِرُ بِهَذَا شَيْئًا، فَرَجَعَ إِلَى رَاحِلَتِهِ، فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يَأْخُذَ سَيْفَهُ ذَكَرَهُ، فَرَجَعَ إِلَيْهِ، فَلَمَّا قَامَ عَلَى رَأْسِهِ اسْتَيْقَظَ الرَّجُلُ، فَلَمَّا رَآهُ وَثَبَ إِلَيْهِ فَعَانَقَهُ وَقَبَّلَهُ، وَسَاءَلَهُ قَالَ: مَا أَصَبْتَ بَعْدِي؟ قَالَ: أَصَبْتُ وَاللَّهِ بَعْدَكَ خَيْرًا كَثِيرًا، أَصَبْتُ وَاللَّهِ بَعْدَكَ: أَنِّي مَشَيْتُ اللَّيْلَةَ بَيْنَ السَّيْفِ وَبَيْنَ رَأْسِكَ ثَلَاثَ مِرَارٍ، فَحَجَزَنِي مَا أَصَبْتُ مِنَ الْعِلْمِ عَنْ قَتْلِكَ
হাসান বসরী (র) হতে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি মৃত্যুকালে একটি পুত্র সস্তান ও একটি মুক্তদাস রেখে যায়। সে তার পুত্রের বিষয়ে তার মুক্তদাসকে ওসিয়াত করে যায়। সে তার ব্যাপারে কোন অবহেলা করেনি। ছেলেটি বালেগ হলে সে তাকে বিবাহও করায়। সে মুক্তদাসকে বললো, আমার সফরের আয়োজন করে দাও। আমি জ্ঞান অন্বেষণ করবো। সে তার সফরের আয়োজন করে দিলো। অতএব সে একজন আলেমের নিকট এসে তার কাছে জ্ঞানদানের আবেদন করলো। আলেম ব্যক্তি তাকে বলেন, তোমার ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে তখন আমাকে বলবে, আমি তোমাকে জ্ঞানের কথা শিখাবো। সে আলেমকে বললো, আমার প্রত্যাবর্তনের সময় হয়েছে। আপনি আমাকে জ্ঞানের কথা শিখিয়ে দিন। আলেম বলেন, “তুমি আল্লাহকে ভয় করো, ধৈর্য ধরো এবং (কোন ব্যাপারে) তাড়াহুড়া করো না”। হাসান (র) বলেন, এতে সার্বিক কল্যাণ নিহিত রয়েছে। সে যখন ফিরে এলো তখন তা তার স্মরণে ছিল। কেননা কথা ছিল মাত্র তিনটি। সে তার পরিবারে পৌছে সওয়ারী থেকে অবতরণ করলো। সে ঘরে ঢুকে দেখলো যে, একটি পুরুষলোক শিথিল অবস্থায় একটি নারীর অদূরে ঘুমিয়ে আছে। আর সেই নারী হচ্ছে তারই স্ত্রী। সে মনে মনে বললো, আল্লাহর শপথ! এই দৃশ্য দেখার পর আর কিসের অপেক্ষা করবো। সে তার সওয়ারীর কাছে ফিরে এলো। তরবারি নিতে গিয়ে তার স্মরণ হলো, “আল্লাহকে ভয় করো, ধৈর্য ধরে এবং তাড়াহুড়া করো না”। সে আবার ফিরে গিয়ে তার শিয়রের নিকট দাঁড়িয়ে বললো, এমন দৃশ্য দেখার পর আর মোটেও অপেক্ষা করবো না। সে তার সওয়ারীর নিকট ফিরে এলো এবং তরবারি তুলতে যেতেই উপদেশের কথা স্মরণ হলো। পুনরায় সে তার নিকট ফিরে গেলো। সে তার শিয়রের নিকট দাড়াতেই নিদ্রিত ব্যক্তি জেগে উঠলো এবং তাকে দেখে জড়িয়ে ধরে আলিঙ্গন করলো, তার কুশলাদি জিজ্ঞেস করলো। সে বললো, আমার নিকট থেকে যাওয়ার পর আপনি কেমন ছিলেন? সে বললো, আল্লাহর শপথ! তোমার নিকট থেকে যাওয়ার পর আমি পর্যাপ্ত কল্যাণ লাভ করেছি, আল্লাহর শপথ। ভালোই। আজ রাতে আমি মোট তিনবার তরবারি ও তোমার মাথার মাঝে যাতায়াত করেছি এবং যে জ্ঞান আমি অর্জন করেছি, তোমাকে হত্যা করার ব্যাপারে তা আমার প্রতিবন্ধক হয়েছে।