১৫৫.
অনুচ্ছেদঃ চাটুকারদের মুখে ধূলি নিক্ষেপ করা।
আদাবুল মুফরাদ : ৩৪১
আদাবুল মুফরাদহাদিস নম্বর ৩৪১
حَدَّثَنَا مُوسَى قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، عَنْ رَجَاءِ بْنِ أَبِي رَجَاءٍ، عَنْ مِحْجَنٍ الْأَسْلَمِيِّ قَالَ رَجَاءٌ: أَقْبَلْتُ مَعَ مِحْجَنٍ ذَاتَ يَوْمٍ حَتَّى انْتَهَيْنَا إِلَى مَسْجِدِ أَهْلِ الْبَصْرَةِ، فَإِذَا بُرَيْدَةُ الْأَسْلَمِيُّ عَلَى بَابٍ مِنْ أَبْوَابِ الْمَسْجِدِ جَالِسٌ، قَالَ: وَكَانَ فِي الْمَسْجِدِ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: سُكْبَةُ، يُطِيلُ الصَّلَاةَ، فَلَمَّا انْتَهَيْنَا إِلَى بَابِ الْمَسْجِدِ، وَعَلَيْهِ بُرْدَةٌ، وَكَانَ بُرَيْدَةُ صَاحِبَ مُزَاحَاتٍ، فَقَالَ: يَا مِحْجَنُ أَتُصَلِّي كَمَا يُصَلِّي سُكْبَةُ؟ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ مِحْجَنٌ، وَرَجَعَ، قَالَ: قَالَ مِحْجَنٌ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخَذَ بِيَدِي، فَانْطَلَقْنَا نَمْشِي حَتَّى صَعِدْنَا أُحُدًا، فَأَشْرَفَ عَلَى الْمَدِينَةِ فَقَالَ: «وَيْلُ أُمِّهَا مِنْ قَرْيَةٍ، يَتْرُكُهَا أَهْلُهَا كَأَعْمَرَ مَا تَكُونُ، يَأْتِيهَا الدَّجَّالُ، فَيَجِدُ عَلَى كُلِّ بَابٍ مِنْ أَبْوَابِهَا مَلَكًا، فَلَا يَدْخُلُهَا» ثُمَّ انْحَدَرَ حَتَّى إِذَا كُنَّا فِي الْمَسْجِدِ، رَأَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلًا يُصَلِّي، وَيَسْجُدُ، وَيَرْكَعُ، فَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ هَذَا؟» فَأَخَذْتُ أُطْرِيهِ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَذَا فُلَانٌ، وَهَذَا. فَقَالَ «أَمْسِكْ، لَا تُسْمِعْهُ فَتُهْلِكَهُ» قَالَ: فَانْطَلَقَ يَمْشِي، حَتَّى إِذَا كَانَ عِنْدَ حُجَرِهِ، لَكِنَّهُ نَفَضَ يَدَيْهِ ثُمَّ قَالَ: «إِنَّ خَيْرَ دِينِكُمْ أَيْسَرُهُ، إِنَّ خَيْرَ دِينِكُمْ أَيْسَرُهُ» ثَلَاثًا
রাজা (র) হতে বর্ণিতঃ
আমি একদিন মিহজান আল-আসলামী (রাঃ)-এর সাথে ছিলাম। শেষে আমরা বসরাবাসীদের এক মসজিদে গিয়ে পৌছলাম। তখন মসজিদের এক দরজায় বুরাইদা আল-আসলামী (রাঃ) বসা ছিলেন। রাবী বলেন, মসজিদে সুকবা নামক এক ব্যক্তিও ছিলেন। তিনি নামায দীর্ঘ করে পড়তেন। আমরা যখন মসজিদের দরজায় পৌছলাম তখন বুরাইদা (রাঃ)-র গায়ে জড়ানো ছিল একটি চাদর। বুরাইদা (রাঃ) ছিলেন রসিক প্রকৃতির। তিনি বলেন, হে মিহজান! তুমি কি সুকবার মতো নামায পড়ো? মিহুজান (রাঃ) এর প্রতিউত্তর না করেই প্রত্যাবর্তন করেন। রাবী বলেন, মিহজান (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আমার হাত ধরলেন। আমরা পদব্রজে অগ্রসর হলাম। শেষে আমরা গিয়ে উহুদ পাহাড়ে উঠলাম। তিনি মদীনার দিকে তাকিয়ে বলেনঃ এই জনপদের জন্য দুঃখ হয় যখন তা বসতিপূর্ণ থাকবে, এমন অবস্থায় তার অধিবাসীরা তা ত্যাগ করবে। এখানে দাজ্জাল আসবে এবং মদীনার প্রতিটি প্রবেশদ্বারে একজন করে ফেরেশতা দেখতে পাবে। অতএব সে তাতে প্রবেশ করতে পারবে না। তিনি ফিরে এলেন। আমরা মসজিদে পৌছলে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এক ব্যক্তিকে নামায ও রুকূ-সিজদায় মশগুল দেখলেন। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আমাকে বলেনঃ লোকটি কে? আমি তার অতিরিক্ত প্রশংসা করে বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! সে অমুক লোক যার এই গুণ আছে। তিনি বলেনঃ ক্ষান্ত হও, তাকে শুনাবে নাসাঈ, অন্যথায় তুমি তার সর্বনাশ করবে। রাবী বলেন, অতঃপর তিনি চলতে থাকলেন, শেষে যখন তাঁর হুজরার নিকট এলেন তখন তার দুই হাত জড়িয়ে ধরে বলেনঃ তোমাদের উত্তম দ্বীন হলো তার সহজ তাবারানী, তোমাদের উত্তম দ্বীন হলো তার সহজতা। তিনি একথা তিনবার বলেন (আবু দাউদ, নাসাঈ, আহমাদ ১৯১৮৫)।