৫৭৮.
অনুচ্ছেদঃ গালের নিচে হাত রাখা।
আদাবুল মুফরাদ : ১২২৮
আদাবুল মুফরাদহাদিস নম্বর ১২২৮
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «خَلَّتَانِ لَا يُحْصِيهِمَا رَجُلٌ مُسْلِمٌ إِلَّا دَخَلَ الْجَنَّةَ، وَهُمَا يَسِيرٌ، وَمَنْ يَعْمَلُ بِهِمَا قَلِيلٌ» ، قِيلَ: وَمَا هُمَا يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: «يُكَبِّرُ أَحَدُكُمْ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلَاةٍ عَشْرًا، وَيَحْمَدُ عَشْرًا، وَيُسَبِّحُ عَشْرًا، فَذَلِكَ خَمْسُونَ وَمِائَةٌ عَلَى اللِّسَانِ، وَأَلْفٌ وَخَمْسُمِائَةٍ فِي الْمِيزَانِ» ، فَرَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعُدُّهُنَّ بِيَدِهِ. «وَإِذَا أَوَى إِلَى فِرَاشِهِ سَبَّحَهُ وَحَمِدَهُ وَكَبَّرَهُ، فَتِلْكَ مِائَةٌ عَلَى اللِّسَانِ، وَأَلْفٌ فِي الْمِيزَانِ، فَأَيُّكُمْ يَعْمَلُ فِي الْيَوْمِ وَاللَّيْلَةِ أَلْفَيْنِ وَخَمْسَمِائَةِ سَيِّئَةٍ؟» قِيلَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، كَيْفَ لَا يُحْصِيهِمَا؟ قَالَ: «يَأْتِي أَحَدَكُمُ الشَّيْطَانُ فِي صَلَاتِهِ، فَيُذَكِّرُهُ حَاجَةَ كَذَا وَكَذَا، فَلَا يَذْكُرُهُ»
আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
নবী (সাঃ) বলেনঃ কোন মুসলমান ব্যক্তি দুইটি অভ্যাসে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত হতে পারলে সে নিশ্চয় জান্নাতে প্রবেশ করবে। অভ্যাস দুটি আয়ত্ত করা খুবই সহজ। তবে খুব কম লোকই তদনুযায়ী আমল করে থাকে। বলা হলো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! সেই দুটি অভ্যাস কি কি? তিনি বলেনঃ প্রতি নামাযের পূর্বে তোমাদের কেউ দশবার আল্লাহু আকবার, দশবার আলহামদু লিল্লাহ এবং দশবার সুবহানাল্লাহ বলবে। তাতে (পাঁচ ওয়াক্তে) মৌখিক উচ্চারণে এক শত পঞ্চাশবার এবং মীযানে দেড় হাজার বার হবে। আমি নবী (সাঃ)-কে (নামাযের পর) তার হাতে সেগুলো গুণে গুণে পড়তে দেখেছি। আবার সে শয্যা গ্রহণকালে সুবহানাল্লাহ, আলহামদু লিল্লাহ ও আল্লাহু আকবার পড়লে তা মৌখিক উচ্চারণে এক শতবার এবং মীযানে এক হাজারবার হবে। তোমাদের মধ্যে কে এক দিন ও এক রাতে দুই হাজার পাঁচ শত গুনাহে লিপ্ত হয়? (তাতে এতোগুলো পাপও ক্ষমাযোগ্য হয়)। বলা হলো, হে আল্লাহর রাসূল! সে কিভাবে এরূপ আমল না করে থাকতে পারে? তিনি বলেনঃ তোমাদের কেউ নামাযে রত থাকাকালে তার নিকট শয়তান এসে তাকে এই এই প্রয়োজনের কথা স্মরণ করাতে থাকে। অতএব সে যেন তা স্মরণ না করে। -(আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ, আহমাদ, ইবনে হিব্বান)