অনুচ্ছেদ-১৯
ইচ্ছাকৃত হত্যার সদৃশ-এর দিয়াত
সুনানে আবু দাউদ : ৪৫৫৫
সুনানে আবু দাউদহাদিস নম্বর ৪৫৫৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، فِي الدِّيَةِ الْمُغَلَّظَةِ فَذَكَرَ مِثْلَهُ سَوَاءً . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ أَبُو عُبَيْدٍ وَعَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ إِذَا دَخَلَتِ النَّاقَةُ فِي السَّنَةِ الرَّابِعَةِ فَهُوَ حِقٌّ وَالأُنْثَى حِقَّةٌ لأَنَّهُ يَسْتَحِقُّ أَنْ يُحْمَلَ عَلَيْهِ وَيُرْكَبَ فَإِذَا دَخَلَ فِي الْخَامِسَةِ فَهُوَ جَذَعٌ وَجَذَعَةٌ فَإِذَا دَخَلَ فِي السَّادِسَةِ وَأَلْقَى ثَنِيَّتَهُ فَهُوَ ثَنِيٌّ وَثَنِيَّةٌ فَإِذَا دَخَلَ فِي السَّابِعَةِ فَهُوَ رَبَاعٌ وَرَبَاعِيَةٌ فَإِذَا دَخَلَ فِي الثَّامِنَةِ وَأَلْقَى السِّنَّ الَّذِي بَعْدَ الرَّبَاعِيَةِ فَهُوَ سَدِيسٌ وَسَدَسٌ فَإِذَا دَخَلَ فِي التَّاسِعَةِ وَفَطَرَ نَابُهُ وَطَلَعَ فَهُوَ بَازِلٌ فَإِذَا دَخَلَ فِي الْعَاشِرَةِ فَهُوَ مُخْلِفٌ ثُمَّ لَيْسَ لَهُ اسْمٌ وَلَكِنْ يُقَالُ بَازِلُ عَامٍ وَبَازِلُ عَامَيْنِ وَمُخْلِفُ عَامٍ وَمُخْلِفُ عَامَيْنِ إِلَى مَا زَادَ . وَقَالَ النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ بِنْتُ مَخَاضٍ لِسَنَةٍ وَبِنْتُ لَبُونٍ لِسَنَتَيْنِ وَحِقَّةٌ لِثَلاَثٍ وَجَذَعَةٌ لأَرْبَعٍ وَالثَّنِيُّ لِخَمْسٍ وَرَبَاعٌ لِسِتٍّ وَسَدِيسٌ لِسَبْعٍ وَبَازِلٌ لِثَمَانٍ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ أَبُو حَاتِمٍ وَالأَصْمَعِيُّ وَالْجَذُوعَةُ وَقْتٌ وَلَيْسَ بِسِنٍّ . قَالَ أَبُو حَاتِمٍ قَالَ بَعْضُهُمْ فَإِذَا أَلْقَى رَبَاعِيَتَهُ فَهُوَ رَبَاعٌ وَإِذَا أَلْقَى ثَنِيَّتَهُ فَهُوَ ثَنِيٌّ وَقَالَ أَبُو عُبَيْدٍ إِذَا أُلْقِحَتْ فَهِيَ خَلِفَةٌ فَلاَ تَزَالُ خَلِفَةً إِلَى عَشْرَةِ أَشْهُرٍ فَإِذَا بَلَغَتْ عَشْرَةَ أَشْهُرٍ فَهِيَ عُشَرَاءُ . قَالَ أَبُو حَاتِمٍ إِذَا أَلْقَى ثَنِيَّتَهُ فَهُوَ ثَنِيٌّ وَإِذَا أَلْقَى رَبَاعِيَتَهُ فَهُوَ رَبَاعٌ .
যায়িদ ইবনু সাবিত (রাঃ) সূত্র হতে বর্ণিতঃ
যায়িদ ইবনু সাবিত (রাঃ) সূত্রে কঠোর দিয়াত সম্পর্কে বর্ণিত। অতঃপর পূর্বোক্ত হাদিসের অনুরুপ।ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, আবূ ‘উবাইদ প্রমুখ বলেছেন, যখন কোন উষ্ট্রী চতুর্থ বছর বয়সে পদার্পণ করে তখন পুরুষ উটকে বলা হয় হিক্কুন এবং স্ত্রী উটকে বলা হয় হিক্কাতুন। কারণ, তখন ঐ উট বা উষ্ট্রী বাহনোপযোগী ও ভারবাহী পশুতে পরিণত হয়। যখন তা পঞ্চম বছরে পদার্পণ করে পুরুষটিকে জায্উন ও স্ত্রীটিকে জায্আতুন বলা হয়। যখন তা ষষ্ঠ বছরে পদার্পণ করে এবং তার উপর ও নীচের মাড়ির সামনের দিকে দু’টি করে মোট চারটি দাঁত পড়ে যায় তখন তাকে সানিয়ুন ও ছানিয়্যাতুন বলা হয়। যখন তা সপ্তম বছরে পদার্পণ করে তখন যথাক্রমে রাবাউন ও রাব’ইয়্যাহ বলা হয়। যখন তা অষ্টম বছরে পদার্পণ করে এবং সামনের চারটি দাঁতের পরবর্তী দাঁত পড়ে যায় তখন তাকে যথাক্রমে সাদীস্ ও সাদাস বলা হয়। যখন তা নবম বছরে পদার্পণ করে এবং তার দাঁত পুনরায় উঠে তখন তাকে বাযিল বলা হয়। আর যখন দশম বছরে পদার্পণ করে তখন তাকে মুখলিফ বলা হয়। এরপর নির্ধারিত কোন নাম নেই বরং এক বছর বেশী হলে বাযিলে ‘আম ও দু’বছরের বেশী হলে বাযিলে ‘আমাইন বলা হয়। অতঃপর এক বছর হলে মিখলাফে ‘আম ও দু’বছর হলে মিখলাফে ‘আমাইন বলা হয়, অতঃপর এভাবে নামকরণ করা হয়।নাদর ইবনু শুমাইল (রহঃ) বলেন, এক বছর হলে বিনতু মাখাদ্, দুই বছর হলে বিনতু লাবুন, তিন বছর হলে হিক্কাহ্, চার বছর হলে জাযা’আহ, পাঁচ বছর হলে সানিয়্যু, ছয় বছর হলে রাবা’, সাত বছর হলে সাদীস, আট বছর হলে বাযিল বলা হয়। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, আবূ হাতিম ও আবূ আসমাঈ বলেন, জাযা’আহ্ হচ্ছে সময়, তা বয়স নয়। আবূ হাতিম (রহঃ) বলেন, কতিপয় বিশেষজ্ঞ বলেন, সম্মুখের দাঁত পড়ে গেলে বলা হয় রাবা’উন। আর মাড়ির দাঁত পড়ে গেলে বলা হয় সানী। আবূ ‘উবাইদ (রহঃ) বলেন, উষ্ট্রী গর্ভবতী হলে খালিফাহ বলা হয়। অতঃপর দশ মাসের পূর্ব পর্যন্ত তাকে খালিফাহ্ বলা হয়ে থাকে। কিন্তু যখন দশম মাসে পদার্পণ করে তখন তাকে ‘উশারা বলা হয়। আবূ হাতিম (রহঃ) বলেন, যখন উপর ও নীচের মাড়ির সামনের দু’টি করে দাঁত পড়ে যায় তখন তাকে সানিয়্যন বলা হয়। আর যখন চারটি দাঁত পড়ে যায় তখন তাকে বলা হয় রাবা’উন।