অনুচ্ছেদ-১
মদ হারাম হওয়ার বর্ণনা
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبُو حَيَّانَ، حَدَّثَنِي الشَّعْبِيُّ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ عُمَرَ، قَالَ نَزَلَ تَحْرِيمُ الْخَمْرِ يَوْمَ نَزَلَ وَهِيَ مِنْ خَمْسَةِ أَشْيَاءَ مِنَ الْعِنَبِ وَالتَّمْرِ وَالْعَسَلِ وَالْحِنْطَةِ وَالشَّعِيرِ وَالْخَمْرُ مَا خَامَرَ الْعَقْلَ وَثَلاَثٌ وَدِدْتُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمْ يُفَارِقْنَا حَتَّى يَعْهَدَ إِلَيْنَا فِيهِنَّ عَهْدًا نَنْتَهِي إِلَيْهِ الْجَدُّ وَالْكَلاَلَةُ وَأَبْوَابٌ مِنْ أَبْوَابِ الرِّبَا .
‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মদ হারাম হওয়ার বিধান যেদিন অবতীর্ণ হলো তখন তা পাঁচটি জিনিস থেকে তৈরি করা হতোঃ আঙ্গুর, খেজুর, মধু, গম ও বার্লি। মদ সেই পানীয় যা মানুষকে জ্ঞানশূন্য করে দেয়। তিনটি বিষয় সম্পর্কে আমি আশা করেছিলাম, তা সুস্পষ্টভাবে আমাদের নিকট বর্ণনা না করা পর্যন্ত যদি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের হতে বিদায় না নিতেন! সেগুলো হলো, দাদার মীরাস, কালালার ব্যাখ্যা ও সুদের কিছু বিষয়।
حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ مُوسَى الْخُتَّلِيُّ، أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ، - يَعْنِي ابْنَ جَعْفَرٍ - عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، قَالَ لَمَّا نَزَلَ تَحْرِيمُ الْخَمْرِ قَالَ عُمَرُ اللَّهُمَّ بَيِّنْ لَنَا فِي الْخَمْرِ بَيَانًا شِفَاءً فَنَزَلَتِ الآيَةُ الَّتِي فِي الْبَقَرَةِ { يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ قُلْ فِيهِمَا إِثْمٌ كَبِيرٌ } الآيَةَ قَالَ فَدُعِيَ عُمَرُ فَقُرِئَتْ عَلَيْهِ قَالَ اللَّهُمَّ بَيِّنْ لَنَا فِي الْخَمْرِ بَيَانًا شِفَاءً فَنَزَلَتِ الآيَةُ الَّتِي فِي النِّسَاءِ { يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَقْرَبُوا الصَّلاَةَ وَأَنْتُمْ سُكَارَى } فَكَانَ مُنَادِي رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أُقِيمَتِ الصَّلاَةُ يُنَادِي أَلاَ لاَ يَقْرَبَنَّ الصَّلاَةَ سَكْرَانُ فَدُعِيَ عُمَرُ فَقُرِئَتْ عَلَيْهِ فَقَالَ اللَّهُمَّ بَيِّنْ لَنَا فِي الْخَمْرِ بَيَانًا شِفَاءً فَنَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ { فَهَلْ أَنْتُمْ مُنْتَهُونَ } قَالَ عُمَرُ انْتَهَيْنَا .
‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মদ পান হারাম হওয়া সম্পর্কিত আদেশ তখনও অবতীর্ণ হয়নি। আমি বললাম, হে আল্লাহ! আমাদের জন্য মদের বিষয়টি সুস্পষ্ট করে দিন। অতঃপর সূরাহ আল-বাক্বারাহর (২১৯ নং) আয়াত অবতীর্ণ হলোঃ “(হে রাসূল)! তারা আপনাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে প্রশ্ন করছে। আপনি বলুন, উভয়ের মধ্যে বড় বড় পাপের উপাদান আছে, যদিও এতে লোকদের জন্য কিছু উপকারিতাও আছে। কিন্তু উভয় কাজের পাপ ও অকল্যাণের পরিমাণ উপকারিতার চেয়ে অনেক বেশি।” অতঃপর ‘উমার (রাঃ)-কে ডাকা হলো এবং তাকে এ আয়াত পড়ে শুনানো হলো। তিনি বললেন, হে আল্লাহ! মদের ব্যাপারে আমাদের সুস্পষ্টভাবে বলে দিন। অতঃপর সূরাহ আন-নিসার (৪২ নং) আয়াত অবতীর্ণ হলোঃ “হে ঈমানদারগণ! তোমরা মাতাল অবস্থায় সলাতের কাছেও যাবে না; সলাত তখন পড়বে যখন তোমরা বুঝতে পারো তোমরা কি পড়ছো।” এরপর হতে যখন সলাতের জামা‘আত প্রস্তুত হতো, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ঘোষক ঘোষণা করতেন, সাবধান! মাতাল অবস্থায় সলাতের কাছেও আসবে না। ‘উমার (রাঃ)-কে ডেকে এনে এ আয়াত পড়ে শুনানো হলো। তিনি আবার দু‘আ করলেন, হে আল্লাহ! মদের বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে বলে দিন। তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হলোঃ “হে ঈমানদারগণ! মদ, জুয়া, আস্তানা ও পাশা এসবই নাপাক, শয়তানী কাজ। তোমরা এসব থেকে দূরে থাকো......”(সূরাহ আল-মায়িদাহঃ ৯০-৯১)। ‘উমার (রাঃ) বলেন, আমরা এসব কাজ বর্জন করলাম।