অনুচ্ছেদ-১২

ওয়ালাআ (আযাদকৃত গোলামের পরিত্যক্ত মাল)

সুনানে আবু দাউদহাদিস নম্বর ২৯১৭

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرِو بْنِ أَبِي الْحَجَّاجِ أَبُو مَعْمَرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، عَنْ حُسَيْنٍ الْمُعَلِّمِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ رِئَابَ بْنَ حُذَيْفَةَ، تَزَوَّجَ امْرَأَةً فَوَلَدَتْ لَهُ ثَلاَثَةَ غِلْمَةٍ فَمَاتَتْ أُمُّهُمْ فَوَرِثُوهَا رِبَاعَهَا وَوَلاَءَ مَوَالِيهَا وَكَانَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ عَصَبَةَ بَنِيهَا فَأَخْرَجَهُمْ إِلَى الشَّامِ فَمَاتُوا فَقَدِمَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ وَمَاتَ مَوْلًى لَهَا وَتَرَكَ مَالاً لَهُ فَخَاصَمَهُ إِخْوَتُهَا إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَقَالَ عُمَرُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ مَا أَحْرَزَ الْوَلَدُ أَوِ الْوَالِدُ فَهُوَ لِعَصَبَتِهِ مَنْ كَانَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَكَتَبَ لَهُ كِتَابًا فِيهِ شَهَادَةُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ وَزَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ وَرَجُلٍ آخَرَ فَلَمَّا اسْتُخْلِفَ عَبْدُ الْمَلِكِ اخْتَصَمُوا إِلَى هِشَامِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ أَوْ إِلَى إِسْمَاعِيلَ بْنِ هِشَامٍ فَرَفَعَهُمْ إِلَى عَبْدِ الْمَلِكِ فَقَالَ هَذَا مِنَ الْقَضَاءِ الَّذِي مَا كُنْتُ أَرَاهُ ‏.‏ قَالَ فَقَضَى لَنَا بِكِتَابِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَنَحْنُ فِيهِ إِلَى السَّاعَةِ ‏.‏

আমর ইবনু শু‘আইব (রহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদার সূত্র হতে বর্ণিতঃ

রিয়াব ইবনু হুযাইফাহ জনৈক মহিলাকে বিবাহ করে এবং তার গর্ভে তিনটি সন্তান জন্ম হয়। অতঃপর তাদের মা মারা গেলে তারা তার পরিত্যক্ত বাড়ি ও আযাদকৃত দাসের সম্পদের উত্তরাধিকারী হয়। ‘আমর ইবনুল ‘আস (রাঃ) ছিলেন তাদের আত্মীয়। পরবর্তী সময় তিনি তাদেরকে সিরিয়ায় প্রেরণ করেন। তারা সেখানে মৃত্যু বরণ করে। পরে ‘আমর ইবনুল ‘আস সেখানে যান। তখন ঐ মহিলার মুক্তদাস কিছু মালপত্র রেখে মারা যায়। মহিলার ভাইয়েরা ‘আমরের বিরুদ্ধে ‘উমার ইবনুল খাত্তাবের (রাঃ) নিকট অভিযোগ করলে ‘উমার (রাঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ পিতা বা পুত্র যে ওয়ালাআ সঞ্চয় করলো সেগুলো তার আসাবা পাবে। ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) বলেন, ‘উমার (রাঃ) ‘আমরকে একটি রায় লিখেন। এতে ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ, যায়িদ ইবনু সাবিত (রাঃ) ও অন্য এক লোক সাক্ষী হন। ‘আবদুল মালিক যখন (৬৮৫ খৃ.) খলীফা হলেন, তখন হিশাম ইবনু ইসমাঈল বা ইসমাঈল ইবনু হিশামের নিকট অনুরূপ একটি অভিযোগ করা হয়। তিনি বিষয়টি ‘আবদুল মালিকের নিকট পাঠিয়ে দেন। ‘আবদুল মালিক বলেন, আমার মনে হয় এর ফায়সালা ইতিপূর্বে আমার নজরে পড়েছে। তিনি বলেন, তিনি ‘উমার ইবনুল খাত্তাবের (রাঃ) রায় অনুসারেই রায় দিলেন। আর সেই ওয়ালাআর সম্পত্তি এখনো আমাদের অধিকারে রয়েছে।

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন