অনুচ্ছেদ-৮০
ঘুমালে উযু নষ্ট হয় কিনা
সুনানে আবু দাউদ : ২০৩
সুনানে আবু দাউদহাদিস নম্বর ২০৩
حَدَّثَنَا حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ الْحِمْصِيُّ، - فِي آخَرِينَ - قَالُوا حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، عَنِ الْوَضِينِ بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ مَحْفُوظِ بْنِ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَائِذٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، - رضى الله عنه - قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وِكَاءُ السَّهِ الْعَيْنَانِ فَمَنْ نَامَ فَلْيَتَوَضَّأْ " .
আলী ইবনু আবু ত্বালিব (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ চক্ষুদ্বয় হচ্ছে পশ্চাৎদারের সংরক্ষণকারী। কাজেই যে ব্যক্তি (চোখ বন্ধ করে) ঘুমায়, সে যেন উযু করে।
এ অনুচ্ছেদের হাদীস থেকে শিক্ষাঃ১। হালকা ঘুমে উযু নষ্ট হয়না। ২। রাতের এক তৃতীয়াংশের পরও ‘ইশার সালাত বিলম্বে আদায় করা জায়িয। বিশেষ করে এ সময়ে নিতান্ত প্রয়োজন থাকলে। ৩। অনেক লোকের উপস্তিতিতে দু’ ব্যক্তির পরস্পরে চুপি চুপি কানে কানে কথা বলা জায়িয। আর নিষেধ হচ্ছে কেবল তিনজন থাকলে একজনকে বাদ দিয়ে দু’জনে চুপিসারে কথা বলা। ৪। ইক্বামাত ও সালাতের মাঝে দীর্ঘ সময় ব্যবধান হলে পুনরায় ইক্বামাত দেয়ার প্রয়োজন নেই। ৫। দাঁড়িয়ে বা বসে ঘুমালে উযু নষ্ট হয় না।৬। যমীনের সাথে ঠেস লাগিয়ে ঘুমানো উযু ভঙ্গের কারণ।