অনুচ্ছেদ- ৫৫

নাক পরিষ্কার করা

সুনানে আবু দাউদহাদিস নম্বর ১৪২

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، - فِي آخَرِينَ - قَالُوا حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ كَثِيرٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ لَقِيطِ بْنِ صَبْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، لَقِيطِ بْنِ صَبْرَةَ قَالَ كُنْتُ وَافِدَ بَنِي الْمُنْتَفِقِ - أَوْ فِي وَفْدِ بَنِي الْمُنْتَفِقِ - إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَلَمَّا قَدِمْنَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ نُصَادِفْهُ فِي مَنْزِلِهِ وَصَادَفْنَا عَائِشَةَ أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ قَالَ فَأَمَرَتْ لَنَا بِخَزِيرَةٍ فَصُنِعَتْ لَنَا قَالَ وَأُتِينَا بِقِنَاعٍ - وَلَمْ يَقُلْ قُتَيْبَةُ الْقِنَاعَ وَالْقِنَاعُ الطَّبَقُ فِيهِ تَمْرٌ - ثُمَّ جَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏"‏ هَلْ أَصَبْتُمْ شَيْئًا أَوْ أُمِرَ لَكُمْ بِشَىْءٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْنَا نَعَمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ فَبَيْنَا نَحْنُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جُلُوسٌ إِذْ دَفَعَ الرَّاعِي غَنَمَهُ إِلَى الْمُرَاحِ وَمَعَهُ سَخْلَةٌ تَيْعَرُ فَقَالَ ‏"‏ مَا وَلَّدْتَ يَا فُلاَنُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ بَهْمَةً ‏.‏ قَالَ فَاذْبَحْ لَنَا مَكَانَهَا شَاةً ‏.‏ ثُمَّ قَالَ لاَ تَحْسِبَنَّ - وَلَمْ يَقُلْ لاَ تَحْسَبَنَّ - أَنَّا مِنْ أَجْلِكَ ذَبَحْنَاهَا لَنَا غَنَمٌ مِائَةٌ لاَ نُرِيدُ أَنْ تَزِيدَ فَإِذَا وَلَّدَ الرَّاعِي بَهْمَةً ذَبَحْنَا مَكَانَهَا شَاةً ‏.‏ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ لِي امْرَأَةً وَإِنَّ فِي لِسَانِهَا شَيْئًا يَعْنِي الْبَذَاءَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَطَلِّقْهَا إِذًا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ لَهَا صُحْبَةً وَلِي مِنْهَا وَلَدٌ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَمُرْهَا - يَقُولُ عِظْهَا - فَإِنْ يَكُ فِيهَا خَيْرٌ فَسَتَفْعَلُ وَلاَ تَضْرِبْ ظَعِينَتَكَ كَضَرْبِكَ أُمَيَّتَكَ ‏"‏ ‏.‏ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَخْبِرْنِي عَنِ الْوُضُوءِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ أَسْبِغِ الْوُضُوءَ وَخَلِّلْ بَيْنَ الأَصَابِعِ وَبَالِغْ فِي الاِسْتِنْشَاقِ إِلاَّ أَنْ تَكُونَ صَائِمًا ‏"‏ ‏.‏

লাক্বীত্ব ইবনু সাব্‌রাহ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট আগত বনু মুসতাফিক্ব গোত্রের প্রতিনিধি দলটির নেতা ছিলাম আমি অথবা বলেছেন, আমি তাঁদের মধ্যেই ছিলাম। আমরা যখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে পৌছলাম তখন তাঁকে তাঁর ঘরে উপস্থিত পেলাম না, অবশ্য উম্মুল মু’মিনীন ‘আয়িশাহ (রাঃ)-কে পেলাম। তিনি আমাদের জন্য ‘খাযিরাহ’ (এক প্রকার খাদ্য) তৈরীর আদেশ দিলেন। অতঃপর আমাদের জন্য তা তৈরী করা হলো এবং আমাদের সম্মুখে ক্বিনা’ (অর্থাৎ খেজুর ভর্তি একটি পাত্র) পেশ করা হলো। বর্ণনাকারী কুতাইবাহ “খেজুর ভর্তি পাত্র” কথাটি উল্লেখ করেননি। অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এসে বললেনঃ তোমরা কিছু খেয়েছো কি? অথবা তিনি বললেন, তোমাদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে কি? আমরা বললাম, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রসূল! লাক্বীত্ব বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট বসা ছিলাম। এমন সময় এক রাখাল তাঁর মেষপাল খোঁয়াড়ে নিয়ে এলেন। আর সাথে একটি ছাগলের বাচ্চা ছিল, সেটি চিৎকার করছিল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেনঃ হে উমুক! কি বাচ্চা জন্ম হয়েছে? সে বলল, মাদী। তিনি বলেন, সেটির পরিবর্তে আমাদের জন্য একটি বকরী যাবাহ্ করি। অতঃপর (প্রতিনিধি দলের নেতাকে উদ্দেশ্য করে) বললেনঃ এমনটি মনে করো না যে, বকরীটি তোমার জন্য যাবাহ্ করছি। বরং আমাদের কাছে একশ’টি বকরী আছে। তাই আমরা এর সংখ্যা আর বাড়াতে চাই না। সেজন্যই কোন বাচ্চা জন্ম হলে আমরা সেটির পরিবর্তে একটি বকরী যাবাহ্ করি। লাকীত্ব বলেন, হে আল্লাহর রসূল! আমার একজন স্ত্রী আছে। সে অশ্লীলভাষী। তিনি বললেনঃ তাহলে তাকে ত্বালাক দাও। লাক্বীত্ব বলেন, আমার সাহচর্যে সে দীর্ঘ দিন অতিবাহিত করেছে এবং তার গর্ভজাত আমার একটি সন্তানও রয়েছে। তিনি বললেনঃ তবে তাকে উপদেশ দাও। তার মাঝে কল্যাণ থাকলে সে উপদেশ গ্রহন করবে। জেনে রাখ, নিজের জীবন সঙ্গিণীকে ক্রীতদাসীদের মত প্রহার করবে না। অতঃপর আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমাকে উযু সম্পর্কে অবহিত করুন। তিনি বলেনঃ পরিপূর্ণরূপে উযু করবে, অঙ্গুলিসমূহ খিলাল করবে এবং নাকে উত্তমরূপে পানি পৌছাবে, তবে সিয়াম রত অবস্থায় নয়।

হাদীস থেকে শিক্ষাঃ ১। উযুতে দু’হাত ও দু’পায়ের অঙ্গুলিগুলো খিলাল করা ওয়াজিব। ২। রোযাদারের জন্য উযুতে নাকের (খুব) ভেতরে পানি পৌছানো অপছন্দনীয়। কেননা এতে পানি কন্ঠনালীর ভেতরে ঢুকে রোযা ভঙ্গ হওয়ার ভয় আছে।

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন