অনুচ্ছেদ-৩০৬
তাহাজ্জুদ সলাতের বাধ্যবাধকতা রহিত করে শিথিল করা হয়েছে
সুনানে আবু দাউদ : ১৩০৪
সুনানে আবু দাউদহাদিস নম্বর ১৩০৪
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمَرْوَزِيُّ ابْنُ شَبُّويَةَ، حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ يَزِيدَ النَّحْوِيِّ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ فِي الْمُزَّمِّلِ { قُمِ اللَّيْلَ إِلاَّ قَلِيلاً * نِصْفَهُ } نَسَخَتْهَا الآيَةُ الَّتِي فِيهَا { عَلِمَ أَنْ لَنْ تُحْصُوهُ فَتَابَ عَلَيْكُمْ فَاقْرَءُوا مَا تَيَسَّرَ مِنَ الْقُرْآنِ } وَنَاشِئَةُ اللَّيْلِ أَوَّلُهُ وَكَانَتْ صَلاَتُهُمْ لأَوَّلِ اللَّيْلِ يَقُولُ هُوَ أَجْدَرُ أَنْ تُحْصُوا مَا فَرَضَ اللَّهُ عَلَيْكُمْ مِنْ قِيَامِ اللَّيْلِ وَذَلِكَ أَنَّ الإِنْسَانَ إِذَا نَامَ لَمْ يَدْرِ مَتَى يَسْتَيْقِظُ وَقَوْلُهُ { أَقْوَمُ قِيلاً } هُوَ أَجْدَرُ أَنْ يُفْقَهَ فِي الْقُرْآنِ وَقَوْلُهُ { إِنَّ لَكَ فِي النَّهَارِ سَبْحًا طَوِيلاً } يَقُولُ فَرَاغًا طَوِيلاً .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি সূরাহ মুয্যাম্মিল সম্পর্কে বলেন, আল্লাহর বাণীঃ “কুমিল লায়লাহ ইল্লা ক্বালীলান নিসফাহু” (অর্থঃ আপনি রাতের কিছু অংশ ব্যতীত সারা রাত আল্লাহর ‘ইবাদাতে দাঁড়িয়ে থাকুন)। অতঃপর এর পরবর্তী আয়াতটি এ নির্দেশকে রহিত করেঃ “আলিমা আন লান তুহ্সূহু ফাতাবা ‘আলাইকুম ফাক্বরাউ মা তাইয়াস্সারা মিনাল কুরআন। ” (অর্থঃ তিনি খুব ভাল করেই জানেন যে, তা করা তোমাদের পক্ষে অসম্ভব। তাই তিনি তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন। সুতরাং এখন তোমরা কুরআনের যতটুকু পাঠ করা সম্ভব ততটুকুই পড়ো) এবং রাতের প্রথামাংশ। তাদের সলাত রাতের প্রথমভাগেই হয়ে থাকতো। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, কাজেই আল্লাহ তোমাদের উপর যেটুকু রাতের ইবাদত ফরয করেছেন তা সঠিকভাবে আদায় করো। কেননা মানুষ ঘুমিয়ে গেলে কখন সে জাগ্রত হবে তা বলতে পারে না। আল্লাহর বাণীঃ “আকওয়ামু কীলা” –অর্থ হচ্ছে কুরআনকে অনুধাবন করার অধিক যোগ্য। আল্লাহর বাণীঃ “ইন্না লাকা ফিন নাহারি সাবহান তাবীলা” এর অর্থ হচ্ছে, আপনি দিনের বেলায় বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকেন।