অনুচ্ছেদ- ২৬২
যিনি বলেন, সূর্যগ্রহণের সলাতে রুকূ’ হবে চারটি
সুনানে আবু দাউদ : ১১৮৪
সুনানে আবু দাউদহাদিস নম্বর ১১৮৪
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا الأَسْوَدُ بْنُ قَيْسٍ، حَدَّثَنِي ثَعْلَبَةُ بْنُ عِبَادٍ الْعَبْدِيُّ، مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ أَنَّهُ شَهِدَ خُطْبَةً يَوْمًا لِسَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ قَالَ قَالَ سَمُرَةُ بَيْنَمَا أَنَا وَغُلاَمٌ مِنَ الأَنْصَارِ نَرْمِي غَرَضَيْنِ لَنَا حَتَّى إِذَا كَانَتِ الشَّمْسُ قِيدَ رُمْحَيْنِ أَوْ ثَلاَثَةٍ فِي عَيْنِ النَّاظِرِ مِنَ الأُفُقِ اسْوَدَّتْ حَتَّى آضَتْ كَأَنَّهَا تَنُّومَةٌ فَقَالَ أَحَدُنَا لِصَاحِبِهِ انْطَلِقْ بِنَا إِلَى الْمَسْجِدِ فَوَاللَّهِ لَيُحْدِثَنَّ شَأْنُ هَذِهِ الشَّمْسِ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي أُمَّتِهِ حَدَثًا قَالَ فَدَفَعْنَا فَإِذَا هُوَ بَارِزٌ فَاسْتَقْدَمَ فَصَلَّى فَقَامَ بِنَا كَأَطْوَلِ مَا قَامَ بِنَا فِي صَلاَةٍ قَطُّ لاَ نَسْمَعُ لَهُ صَوْتًا قَالَ ثُمَّ رَكَعَ بِنَا كَأَطْوَلِ مَا رَكَعَ بِنَا فِي صَلاَةٍ قَطُّ لاَ نَسْمَعُ لَهُ صَوْتًا ثُمَّ سَجَدَ بِنَا كَأَطْوَلِ مَا سَجَدَ بِنَا فِي صَلاَةٍ قَطُّ لاَ نَسْمَعُ لَهُ صَوْتًا . ثُمَّ فَعَلَ فِي الرَّكْعَةِ الأُخْرَى مِثْلَ ذَلِكَ قَالَ فَوَافَقَ تَجَلِّي الشَّمْسِ جُلُوسَهُ فِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ قَالَ ثُمَّ سَلَّمَ ثُمَّ قَامَ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَشَهِدَ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَشَهِدَ أَنَّهُ عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ ثُمَّ سَاقَ أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ خُطْبَةَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
সামুরাহ ইবনু জুনদুব (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ও এক আনসারী যুবক তীর চালনা করছিলাম। এমন সময় সূর্য যখন লোকদের নজরে আনুমানিক দুই বা তিন তীর পরিমাণ উপরে উঠেছিল তখন তা কালজিরা বা কালো ফলের মত হয়ে যায়। তখন আমাদের একজন তার সাথীকে বলল, চলো মসজিদে যাই। আল্লাহর শপথ, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উম্মাতের উপর এ সূর্যের কারণে নিশ্চয়ই নতুন কিছু ঘটতে যাচ্ছে। বর্ণনাকারী বলেন, আমরা গিয়ে দেখি, তিনি বেরিয়ে এসে সম্মুখে অগ্রসর হয়ে সলাত আরম্ভ করেছেন। তিনি আমাদেরকে নিয়ে সলাতে এত দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেন যে, ইতিপূর্বে কখনো তিনি এত দীর্ঘক্ষণ দাঁড়াননি। তবে (নিঃশব্দে ক্বিরাআত পড়ায়) আমরা সলাতের মধ্যে তাঁর কোন শব্দ শুনতে পাইনি। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তিনি আমাদেরকে নিয়ে রুকূ’ করলেন এবং এত লম্বা রুকূ’ করলেন যে, ইতিপূর্বে কখনো এত দীর্ঘ রুকূ’ করেননি। এতেও আমরা তাঁর (তাসবীহ পাঠের) শব্দ শুনতে পাইনি। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তিনি এত দীর্ঘ সাজদাহ্ করলেন যে, ইতিপূর্বে সলাতে কখনো এরূপ দীর্ঘ সাজদাহ্ করেননি। এতেও আমরা তাঁর কোনও শব্দ শুনতে পাইনি। অতঃপর দ্বিতীয় রাক’আতেও অনূরুপ করলেন। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি দ্বিতীয় রাক’আতে বসা অবস্থায় থাকতেই সূর্য গ্রাসমুক্ত হয়ে যায়। অতঃপর তিনি সালাম ফিরিয়ে দাঁড়িয়ে আল্লাহর যথাযথ প্রশংসা ও গুণ বর্ণনা করে সাক্ষ্য দেন যে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো ইলাহ নেই এবং আরো সাক্ষ্য দেন যে, তিনি তাঁর বান্দাহ্ ও রসূল। অতঃপর আহমাদ ইবনু ইউনূস (রহঃ) তার বর্ণনায় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ভাষণের বর্ণনা দেন। [১১৮৪]
[১১৮৪] এর সানাদ দুর্বল। এটি বর্ণনা করেছেন বুখারী 'আফ’আলুল ‘ইবাদ' গ্রন্থে এবং নাসায়ী (অধ্যায়ঃ সূর্য গ্রহণ, অনুঃ ১৫, হাঃ ১৪৮৩), তিরমীযী (অধ্যায়ঃ সলাত, অনুঃ সূর্যগ্রহণ এর সলাতে ক্বিরআত, হাঃ ৫৬২, ইমাম তিরমীযী বলেন, সামুরাহর হাদীসটি হাসান সহিহ), ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ সলাত ক্বায়িম, অনুঃ সূর্যগ্রহণ এর সলাত সম্পর্কে), আহমাদ (৫/১৬), এর সানাদ দুর্বল। সানাদে সা’রাবাহ ইবনু আব্বাদ সম্পর্কে হাফিয বলেনঃ মাক্ববূল।