পরিচ্ছেদঃ
ওযু করা এবং তা পরিপূর্ণ করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করণঃ
সহিহ তারগিব ওয়াত তাহরিব : ১৮৭
সহিহ তারগিব ওয়াত তাহরিবহাদিস নম্বর ১৮৭
(صحيح لغيره) و عَن أَبِيْ أُماَمَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " أَيُّمَا رَجُلٍ قَامَ إِلَى وَضُوئِهِ يُرِيدُ الصَّلَاةَ، ثُمَّ غَسَلَ كَفَّيْهِ نَزَلَتْ. كل خَطِيئَتُهُ مِنْ كَفَّيْهِ مَعَ أَوَّلِ قَطْرَةٍ، فَإِذَا مَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ وَاسْتَنْثَرَ نَزَلَتْ خَطِيئَتُهُ مِنْ لِسَانِهِ وَشَفَتَيْهِ مَعَ أَوَّلِ قَطْرَةٍ، فَإِذَا غَسَلَ وَجْهَهُ نَزَلَتْ كل خَطِيئَتُهُ مِنْ سَمْعِهِ وَبَصَرِهِ مَعَ أَوَّلِ قَطْرَةٍ، فَإِذَا غَسَلَ يَدَيْهِ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ، وَرِجْلَيْهِ إِلَى الْكَعْبَيْنِ سَلِمَ مِنْ كُلِّ ذَنْبٍ هُوَ لَهُ، وَمِنْ كُلِّ خَطِيئَةٍ كَهَيْئَتِهِ يَوْمَ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ " . قَالَ: " فَإِذَا قَامَ إِلَى الصَّلَاةِ رَفَعَ اللهُ بِهَا دَرَجَتَهُ، وَإِنْ قَعَدَ قَعَدَ سَالِمًا. رواه أحمد
আবু উমামা (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ “যে কোন ব্যক্তি সালাতের ইচ্ছায় ওযুর পানি নেয়, অতঃপর উভয় হাতের কজি ধৌত করে, তখন পানির প্রথম বিন্দুর সাথে তার উভয় কব্জির প্রতিটি পাপ নেমে যায়। অতঃপর যখন কুলি করে, নাকে পানি দেয় ও নাক ঝাড়ে তখন পানির প্রথম ফোঁটার সাথে তার জিহ্বা ও উভয় ঠোঁটের পাপ ঝরে পড়ে যায়। যখন মুখমন্ডল ধৌত করে, তখন পানির প্রথম ফোঁটার সাথে তার কান ও চোখের প্রতিটি পাপ ঝরে পড়ে যায়। যখন উভয় হাত কনুই পর্যন্ত ও উভয় পা টাখনু পর্যন্ত ধৌত করে, তখন সে সকল পাপ থেকে মুক্ত হয়ে এমন দিনের ন্যায় পবিত্র হয়, যে দিন তার মাতা তাকে (নিস্পাপাবস্থায়) ভূমিষ্ট করেছিল। তিনি বলেনঃ যখন সে সালাতে দন্ডায়মান হয়, আল্লাহ তার মর্যাদা বাড়িয়ে দেন।যখন সে নামায শেষ করে বসে তখন পাপ মুক্ত অবস্থায় বসে।” (হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ইমাম আহমাদ) (সহীহ লি গাইরিহী) ইমাম আহমাদ অন্য একটি সহীহ সনদে হাদীছটি এরূপই বর্ণনা করেন। তবে সেখানে আরো বেশী উল্লেখ রয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ الوضوء يُكفر ما قبله ثم تصير الصلاة نافلة “ওযু পূর্বের পাপরাশি মোচন করে দেয়। অতঃপর নামায হয়ে যায় নফল বা অতিরিক্ত।”(সহীহ লি গাইরিহী) ইমাম আহমাদ অন্য সনদে বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃإِذَا تَوَضَّأَ الرَّجُلُ الْمُسْلِمُ خَرَجَتْ ذُنُوبُهُ مِنْ سَمْعِهِ وَبَصَرِهِ وَيَدَيْهِ وَرِجْلَيْهِ، فَإِنْ قَعَدَ قَعَدَ مَغْفُورًا لَهُ “যখন মুসলিম ব্যক্তি ওযু করে, তখন তার চোখ, কান, উভয় হাত ও উভয় পায়ের পাপসমূহ বের হয়ে যায়। যখন সে (সালাত শেষ করে) বসে, তখন তাকে ক্ষমা করে দেয়া হয়।”(হাদীছটির সনদ হাসান) (সহীহ লি গাইরিহী) আহমাদের অন্য বর্ণনায় রয়েছেঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ إذا توضأ المسلم فغسل يديه كفر عنه ما عملت يداه فإذا غسل وجهه كفر عنه ما نظرت إليه عيناه وإذا مسح برأسه كفر به ما سمعت أذناه فإذا غسل رجليه كفر عنه ما مشت إليه قدماه ثم يقوم إلى الصلاة فهي فضيلة“যখন মুসলিম ব্যক্তি ওযু করে, অতঃপর তার হস্তদ্বয় ধৌত করে, তখন তার উভয় হাত দ্বারা কৃত কর্মের কাফফারা হয়ে যায়। যখন সে মুখমন্ডল ধৌত করে, তখন উভয় চোখ দিয়ে সে যে দিকে দৃষ্টিপাত করেছে তার কাফফারা হয়ে যায়। যখন সে মাথা মাসেহ করে, তখন তার উভয় কান যা শুনেছে তার কাফফারা হয়ে যায়। যখন সে পদদ্বয় ধৌত করে, তখন তার উভয় পা যে দিকে চলেছে তার কাফফারা হয়ে যায়। অতঃপর সে ছালাতে দন্ডায়মান হয়, তখন তার ছালাত হয় অতিরিক্ত।”(এ হাদীছটির সনদও হাসান) ত্বাবরানীর {কাবীর} গ্রন্থে একটি রেওয়ায়াতে রয়েছে। আবু উমামা (রাঃ) বলেনঃ আমি যদি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে হাদীছটি সাতবার না শুনতাম, তবে তা বর্ণনা করতাম না। তিনি বলেনঃ إذا توضأ الرجل كما أمر ذهب الإثم من سمعه وبصره ويديه ورجليه“যেভাবে আদেশ করা হয়েছে সেভাবে যদি কোন ব্যক্তি ওযু করে, তবে তার কান, চোখ, উভয় হাত ও উভয় পায়ের পাপসমূহ দূর হয়ে যাবে।” (এ হাদীছটির সনদও হাসান)