পরিচ্ছদঃ
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর পানপাত্র
শামায়েলে তিরমিযি : ১৪৫
শামায়েলে তিরমিযিহাদিস নম্বর ১৪৫
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ، قَالَ : أَنْبَأَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ ، قَالَ : أَنْبَأَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ ، قَالَ : أَنْبَأَنَا حُمَيْدٌ ، وَثَابِتٌ ، عَنْ أَنَسٍ ، قَالَ : " لَقَدْ سَقَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , بِهَذَا الْقَدَحِ الشَّرَابَ كُلَّهُ ، الْمَاءَ , وَالنَّبِيذَ , وَالْعَسَلَ , وَاللَّبَنَ " .
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সঃ) -কে এ পেয়ালা দ্বারা যাবতীয় পানীয় তথা নাবীয, কিসমিস, মধু ও দুধ ইত্যাদি পান করিয়েছি। [১৪৫]ব্যাখ্যাঃ নাবীয হলো, কোন পাত্রে কয়েকটি খেজুর বা কিছু পরিমাণ কিসমিস সন্ধ্যায় ভিজালে সকালে এবং সকালে ভিজালে সন্ধ্যায় যে শরবত তৈরি হয়। আনাস (রাঃ) এর উক্তির মর্ম হলো, তিনি ঐ পাত্রটিতে খুরমা অথবা কিসমিস ভিজিয়ে রাখতেন এবং ঐ পেয়ালাতে প্রস্তুত নাবীয রাসূলুল্লাহ (সঃ) এ কে পান করাতেন। সাধারণত তিনি সন্ধ্যায় ভিজানো নাবীয সকালে এবং সকালে ভিজানো নাবীয সন্ধ্যায় পান করতেন। উল্লেখ্য যে, নেশা তৈরি হলে নাবীয ব্যবহার করা যাবে না।
[১] সহীহ বুখারী, হা/৫৬৩৮; সহীহ মুসলিম, হা/৫৩৫৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৩৬০৬; সহীহ ইবনে হিব্বান, হা/৫৩৯৪; বায়হাকী, হা/১৭১৯২; শারহুস সুন্নাহ, হা/৩০২০।