পরিচ্ছদঃ ২১
নেকী ও সংযমশীলতার কাজে পারস্পরিক সহযোগিতার গুরুত্ব
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,﴿ وَتَعَاوَنُواْ عَلَى ٱلۡبِرِّ وَٱلتَّقۡوَىٰۖ ﴾ [المائدة: ٢] অর্থাৎ “সৎকাজ ও আত্মসংযমে তোমরা পরস্পর সহযোগিতা কর।” (সূরা মায়েদাহ ২ আয়াত)তিনি আরো বলেন,﴿ وَٱلۡعَصۡرِ ١ إِنَّ ٱلۡإِنسَٰنَ لَفِي خُسۡرٍ ٢ إِلَّا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّٰلِحَٰتِ وَتَوَاصَوۡاْ بِٱلۡحَقِّ وَتَوَاصَوۡاْ بِٱلصَّبۡرِ ٣ ﴾ [العصر: ١، ٣] অর্থাৎ “সময়ের শপথ!। মানুষ অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত। কিন্তু তারা নয়, যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে এবং পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দেয়। আর উপদেশ দেয় ধৈর্য ধারণের।” (সূরা আসর)ইমাম শাফেয়ী রাহিমাহুল্লাহ বলেন, লোকেরা অথবা তাদের অধিকাংশই এই সূরা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করার ব্যাপারে উদাসীন। (তফসীর ইবনু কাসীর)
রিয়াদুস সলেহিন : ১৮৪
রিয়াদুস সলেহিনহাদিস নম্বর ১৮৪
وَعَنِ ابنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ الله عَنهُمَا : أنَّ رَسُولَ الله صلى الله عليه وسلم لَقِيَ رَكْباً بالرَّوْحَاءِ، فَقَالَ: «مَنِ القَوْمُ؟» قَالُوا : اَلْمُسلِمُونَ، فَقَالُوا : مَن أنتَ ؟ قَالَ: «رَسُولُ الله»، فَرَفَعَت إِلَيْهِ امرأةٌ صَبياً، فَقَالَتْ: ألِهَذَا حَجٌّ ؟ قَالَ: «نَعَمْ، وَلَكِ أجْرٌ». رواه مسلم
ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
রওহা নামক স্থানে এক কাফেলার সঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাক্ষাৎ হল। তিনি বললেন, ‘‘তোমরা কারা?’’ তারা বলল, ‘(আমরা) মুসলিম।’ অতঃপর তারা বলল, ‘আপনি কে?’ তিনি বললেন, ‘‘(আমি) আল্লাহর রাসূল।’’ অতঃপর একজন মহিলা তার এক বাচ্চাকে তাঁর দিকে তুলে বলল, ‘এর কি হজ্জ আছে?’ তিনি বললেন, ‘‘হ্যাঁ, আর তুমিও নেকী পাবে।’’[১]
[১] মুসলিম ১৩৩৬, আবূ দাউদ ১৭৩৫, আহমাদ ১৯০১, ২১৮৮, ২৬০৫, ৩১৮৫, ৩১৯২, মুওয়াত্তা মালেক -৯৬১, নাসায়ী ২৬৪৫, ২৬৪৬, ২৬৪৭, ২৬৪৮, ২৫৪৯